Translate

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বিরোধীতা করে কারা??

১. মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি: সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল   তিনি ৭২ জন সেচ্ছাসেবক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ঐ সময় অধিকাংশ আলেম তথা মাদ্রাসার হুজুরেরা পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছিল। কিন্তু দেওয়ানবাগী হুজুর ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে ঐ গ্রুপটা হিংসার বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীনভাবে অপপ্রচার শুরু করে।
২. স্বল্পজ্ঞানী ওলামায়ে কেরাম: সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সমাজে ধর্মের নামে স্বল্পজ্ঞানী ওলামায়ে কেরামদের মাধ্যমে পরিচালিত কুসংস্কার, অজ্ঞতা চিহ্নিত করেন এবং তা সবাইকে দূরে, থাকার পরামর্শ দিলে তারা কোন কিছু না বুঝেই দেওয়ানবাগী হুজুরের নামে মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচার করে।
৩। আউলিয়া বিরোধী বিপথগামী গ্রুপ: পবিত্র কোরআনে আউলিয়ায়ে কেরাম সম্পর্কে অায়াত রয়েছে। কিন্তু একটি শ্রেণী পবিত্র কোরআনে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অজান্তেই সকল আউলিয়া তথা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বিরোধীতা করে।
৪। স্বল্পজ্ঞানী উচ্ছৃংখল মানুষ: আমাদের সমাজে এমন একটি শ্রেণীর মানুষ আছে যারা কোন কিছুর সংবাদ পেলেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই পুনরায় সমাজে সেই সংবাদ ছড়িয়ে বেড়ায়। মূলত এ গ্রুপটা পরোক্ষভাবে মিথ্যাচার করে। বর্তমান সমাজে এ ধরণের মিথ্যাবাদীর সংখ্যাই বেশি।
এ ধরণের লোককে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি স্বচক্ষে দেওয়ানবাগী হুজুরকে দেখেছেন?
আপনি কি দেওয়ানবাগী হুজুরের কেন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আপনি কি দেওয়ানবাগী হুজুরের সাথে সরাসরি সাক্ষাত করেছিলেন?
আপনি কি দেওয়ানবাগী হুজুরের লিখিত কোন বই পড়েছিলেন?
তারা উত্তর দিবে "না" না" না" না।
তবে কেন একজন আউলিয়া সম্পর্কে না জেনে না বুঝে উল্টা পাল্টা মন্তব্য করেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো: এটা কি অন্যায় নয়? আজ হোক কাল হোক মরতে হবেই! কি জবাব দিবেন পরকালে?
তাই আসুন সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনে মিথ্যা এডিটিং করা ছবি, ভিডিও বিকৃত কন্ঠ বিশ্বাস না করে সরাসরি তার সানিধ্যে গিয়ে প্রকৃত ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা করি। মহান দয়াময় যেন আমাদের সবাইকে তার ছায়াতলে আশ্রয় দেন, আমিন।।

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

সুপ্রীম কোর্টে আশেকে রাসূল (সঃ) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

গতকাল ২১ মে রোজ সোমবার বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্টের শামসুল হক চৌধুরী হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের অনুমতিক্রমে অনুষ্ঠিতব্য এ মাহফিলে সুপ্রিমকোর্ট এর অগনিত সম্মানিত দেশবরেণ্য বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ, সম্মানিত সহকারী এটর্নি জেনারেল এডভোকেট জনাব লিখন, সাবেক এজিএস এডভোকেট জনাব তৌহিদ, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল, ব্যারিষ্টারবৃন্দ, বারের নির্বাচিত সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ উক্ত মিলাদ ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত থেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্মানিত আলেম ওলামাবৃন্দ মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। বিজ্ঞ প্রবীন আইনজীবীবৃন্দ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অত্র অনুষ্ঠানের আন্তরিক প্রশংসা জ্ঞাপন করেন। 

সুপ্রীম কোর্ট বারের সম্মানিত সভাপতি মহোদয়, জনাব এডভোকেট জয়নাল আবেদীন সাহেব আলোচনা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অত্র মহতী অনুষ্ঠানকে অলংকৃত করেছেন এবং অত্র অনুষ্ঠানে তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। সব শেষে তিনি ইফতার মাহফিলের সার্বিক খোজ খবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও মহামান্য আপীলেট ডিভিশনের আইনজীবী, সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সেক্রেটারি জনাব ড. মমতাজ উদ্দীন মেহেদী অত্র অনুষ্ঠানের সার্বিক খোজ খবর নেন।

ইফতার পূর্ব মিলাদ মাহফিল শেষে সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশিষ্ট তাসাউফ এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক, লেখক, বিশ্ববিখ্যাত তাসাউফ গবেষণা প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের সমন্বয়ক ও পরিচালক, সূফি সাধক দেওয়ানবাগী হুজুরের সম্মানিত মেঝো সাহেবজাদা প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত-এ-খোদা (মাঃ আঃ), মহামূল্যবান বাণীমোবারক প্রদান করে বিশ্বশান্তির জন্য আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।