Translate

বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

বীর উত্তম এম. আজিজুর রহমান- বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ানবাগী হুজুর সম্পর্কে মূল্যবান অভিমত দিলেন


('মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' পুস্তকে অত্যন্ত মূল্যবান অভিমত দিলেন মেজর জেনারেল (অবঃ) এম অাজিজুর রহমান বীর উত্তম। নিচে তা হুবুহু তুলে ধরা হলো।)

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রখ্যাত ধর্মীয় ও অাধ্যাত্মিক নেতা সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ঘটনাবলীকে নিয়ে রচিত 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' গ্রন্থটি পাঠ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থের লেখকগণকে এক এক দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখতে দেখেছি। কিন্তু এ গ্রন্থে দেওয়ানবাগী হুজুরের অনবদ্য অবদানের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে পটভূমি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয় পযর্ন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহকে সামগ্রিকভাবে অতি সংক্ষেপে প্রান্জল ভাষায় অনেক দূর্লভ ছবিসহ এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পাঠক মাত্রই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অভ্যূদয় সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সর্বোপরি একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। এদেশের আলেম সমাজ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, তখন তিনি দেশ ও জাতিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য সহপাঠীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমার জানা মতে হয়তো তিনিই একমাত্র আলেম বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি স্বাধীনতা লাভের পর হতে এখন পর্যন্ত তিনি মানুষের ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে ও জাতীয় জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট রয়েছেন। মানবতাবাদী এই মহামানবের অসাধারণ চারিত্রিক গুনাবলীকে এক কথায় অনবদ্য বলা যায়। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। সেই সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতিকে জানানোর জন্য 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' গ্রন্থটির বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।

এম আজিজুর রহমান- বীর উত্তম

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব) বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ানবাগী হুজুর সম্পর্কে মূল্যবান মতামত দেন


'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' গ্রন্থে প্রখ্যাত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, চেয়ারম্যান এন্ড চীফ রিসার্চার- সেন্টার ফর বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ, মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অবঃ) এর অভিমত নিচে দেওয়া হলো।

একাত্তরের ২০শে নভেম্বর শনিবার ছিল ঈদুল ফিতর। পাকিস্তানি পশুশ্রেণীর সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের অত্যাচার ও নির্যাতনে মানুষ প্রায় সহায়হীন। গোটা বাংলাদেশ তখন অবরুদ্ধ। ইতর গোত্রীয় এ দালালের অনেকেই ছিল বর্ণচোরা। গায়ে সাইনবোর্ড না থাকলেও এরা সাইনবোর্ডওয়ালা দালালদের চেয়েও জঘন্য ছিল। অবাক হতে হয় ভেবে তাদের অনেকেই ছিল স্কুলের শিক্ষক ও সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। এদের ভয়ে রেডিওতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শুনতে হতো নিচু ভল্যুয়মে; মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা আর স্বাধীনতার কথা বলতে হতো এদিক ওদিক তাকিয়ে নিচুস্বরে।

ঈদের জামাতে ইমাম সাহেব সব শ্রেনীর মানুষের আর্জি মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করেন। মোনাজাত হয় সাধারণ মোনাজাতের চেয়ে দীর্ঘ। কিন্তু একাত্তরের ঈদুল ফিতর ছিল একদমই ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের। এমন ঈদ অতীতে কখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও কোনদিন হবে না.....।

এস ফোর্স বিগ্রেড ২য় এবং ১১তম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের যেসব অফিসার এবং সৈনিক সেসময় যুদ্ধে ছিলেন না এবং সেক্টর সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন তারা জামাতের আয়োজন করেন। ইমামতি করেন ২য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মাহবুব এ খোদা। নামাজ শেষে ইমাম সাহেব অত্যন্ত আবেগময় এক মোনাজাত করেন। নামাজিরা কাদঁতে কাদঁতে এক পর্যায়ে মাটিতে গড়াতে থাকেন। ইমাম সাহেব মোনাজাতের এক পর্যায়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন ঈদুল আযহার (কোরবানীর ঈদ) জামাত যেন স্বাধীন বাংলাদেশের রেইসকোর্স ময়দানে পড়তে পারেন।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দোয়া কবুল করেছিলেন।

বিজয়ের প্রাক্কালে এস ফোর্সের কমান্ডার লে. কর্ণেল কাজী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, ২য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসহ ঢাকা প্রবেশ করেন। ২য় ইষ্ট বেঙ্গল ঢাকা প্রবেশ করে দুই দিন ঢাকা স্টেডিয়ামে কাটিয়ে রমনা রেসকোর্স (বর্তমানে সরওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে আশ্রয় নেন। তখনো ভারতীয় বাহিনী ঢাকা সেনানিবাসে আমাদের প্রবেশাধিকার দেয়নি। এরই মধ্যে অাসে ঈদুল আযহা বা কোরবাণীর ঈদ। আল্লাহর অপার মহিমা! যেন ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মাহবুব এ খোদার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেছিলেন। তিনিই রেসকোর্স ময়দানে ঈদুল আযহার নামাজে ইমামতি করেন।

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের ১ম সেনাবাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ানবাগী হুজুর সম্পর্কে মূল্যবান অভিমতে যা বললেন


(বাংলাদেশের ১ম সেনাবাহিনীর প্রধান, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত, মুক্তিযুদ্ধের ৩ নং সেক্টর ও 'এস' ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম (অবঃ)- সম্প্রতি সূফী সম্রাট মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার মুক্তিযুদ্ধে দিনগুলো নিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' বইটির পান্ডুলিপি পড়ে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মূল্যবান অভিমত দিয়ে বলেনঃ)

'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' বইটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সব কথাই স্মৃতিতে ভেসে উঠেছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে আমি আমার সেক্টরে যে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই ক্যাম্প থেকেই সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব এ খোদা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আমার সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যোদ্ধা ছিল প্রায় ৩০ হাজারের উপর। তাদের সবার কথা মনে রাখা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়, যদি না সে ব্যক্তির সাধারণের চেয়ে কিছু অসাধারণ কাজকর্ম পরিলক্ষিত হয়। সূফী সম্রাট মাহবুব এ খোদা হযরত দেওয়ানবাগী ছিলেন তেমনই এক ব্যক্তি।

তাঁর কার্যক্রম প্রথমে আমার নজরে অাসে ধর্মগড় অপারেশনে। সেই অপারেশনে তাঁর বীরত্বের কারণে অামি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি শুধু যুদ্ধই করেননি, তিনি আমার সেক্টরের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। নামাজের সময় তাঁর বয়ান এতই শ্রুতিমধুর ছিল যে, তা শুনতে ইচ্ছে করত। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ প্রান্তে আমার হেড কোয়ার্টার হেজামারাতে রোজার ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের খুৎবা এবং মুনাজাত এমনই প্রাণবন্ত ছিল যে, সেদিন জামায়াতে এমন কোন লোক ছিল না, যে কাঁদে নাই। সেদিন হুজুর সবারই মন কেড়ে নিয়েছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন যে- আল্লাহ আমরা যেন ঈদুল আজহার নামাজ রেইস কোর্স ময়দানে পড়তে পারি। হয়েছিলও তাই। আমরা ঈদুল আজহার নামাজ রেইস কোর্স ময়দানেই পড়েছিলাম।

যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমি তাঁকে একটি নতুন ব্যাটালিয়নের (১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ধর্ম প্রচারে তিনি অাত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে তিনি একজন সফল ধর্ম প্রচারক। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুক।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

মিলাদের বরকতে অলৌকিকভাবে সাধারণ পানি ডাবের পানিতে পরিণত হলো।

আশেকে রাসূল মুন্না, বিবাড়িয়া জেলায় বসবাস করেন। ঘটনার দিনটি ছিল পহেলা রমজান। তিনি তার বাসায় ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। তিনি তার মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার সুমহান শিক্ষা অনুযায়ী ইফতারী সামনে রেখে সবাইকে নিয়ে মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠের ব্যবস্থা করেন। সে তার সাধ্যমত ইফতার সামগ্রীর আয়োজন করেছিল। তবে তার মনে একটু আক্ষেপ ছিল এই যে, ইফতারে মেহমানদের জন্য কোন সরবতের ব্যবস্থা করতে পারেনি। সবার সামনেই সাধারণ পানি দেয়া হয়েছে। মনে মনে ভাবছিল হায়রে! রাসূলের মিলাদের অনুষ্ঠানে যদও একটু চিনি ও লেবু দিয়ে সরবত বানিয়ে দিতে পারতাম, তবে রোজাদারদের দেহমন তৃপ্ত হত। যাই হোক মিলাদ শেষ হলো। ইফতারেরও সময় হলো সবাই সাধারণ পানি মুখে দিল। কিন্তু আশেকে রাসূল আলম ভাই গ্লাসের পানি শেষ করে বলল - মুন্না ভাই, আমাকে আরও একটু ডাবের পানি দিন তো। তিনি অবাক হয়ে গেলেন! সাধারণ পানি ডাবের পানিতে রূপান্তর হলো কিভাবে? আমি বললাম -ভাই, আমাকে লজ্জা দেবেন না, আমি তো ডাবের পানি দূরের কথা, কোন শরবতই করতে পারিনি। তার এ কথা শুনে একে একে সবাই বলতে লাগল, কি ভাই! আমাদের চমকে দেওয়ার জন্য ডাবের পানির ব্যবস্থা করেছেন নাকি? ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সবাই বলছে, আমরা তো অতীব সুস্বাদু ডাবের পানি পান করেছি। অতঃপর তিনি নিজেই তা পান করলেন, তার পরিবারের সবাই পান করলো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তা ছিল ডাবের পানি। তখন আর বুঝতে বাকী রইল না, নিঃসন্দেহে পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন তার রাসূলের মিলাদের বরকতে সাধারণ পানিকে ডাবের পানিতে পরিণত করে ইফতারে শরবতের ব্যবস্থা করেছেন। পরিশেষে সবাই এ অলৌকিক ডাবের পানি তৃপ্তির সাথে পান করেন। তারপরও কয়েক জগ ডাবের পানি উদ্বৃত্ত থাকে। যা তারা এক সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করেন।

সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ

প্রতি সোমবার কেন আবু লাহাবের কবরের আজাব মাফ করা হয়?

আমরা অনেকেই কাট্টা কাফের আবু লাহাবের নাম শুনেছি। সে হযরত রাসূল (সঃ) এর আপন চাচা ছিল। সে ইসলামের অন্যতম শত্রু ছিল। পবিত্র কোরআনে তাকে অভিশাপ দিয়ে আল্লাহ সূরা নাজিল করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ

*ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।

*তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না।

*অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে,

*আর তার স্ত্রীও- যে কাঠবহনকারিণী (যে কাঁটার সাহায্যে নবী-কে কষ্ট দিত এবং একজনের কথা অন্যজনকে ব’লে পারস্পরিক বিবাদের আগুন জ্বালাত)।

*আর (দুনিয়াতে তার বহনকৃত কাঠ-খড়ির পরিবর্তে জাহান্নামে) তার গলায় শক্ত পাকানো রশি বাঁধা থাকবে।

এই আবু লাহাবের দূনিয়াতে যত দিন বাচা ছিল ততদিন নবীজীর বিরোধিতা করছেন। অথচ অাশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতি সোমবার দিন তার কবরের আজাব মাফ হয়। তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী দিয়ে একপ্রকার রসালো মিষ্ট পদার্থ বের হয় এবং তা দিয়ে সে পুরো সপ্তাহের তৃষ্ণা মেটায়। কিন্তু আল্লাহ তাকে অভিশাপ দেয়ার পরও কেন তার সাথে এমন দয়া করছেন। ঘটনাটি ছিল এমনঃ

হযরত রাসূল (সঃ) যখন তার মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করেন তখন সবার আগে এই সুসংবাদ টি নিয়ে সোয়াইবা নামক দাসী তার কাছে গিয়ে বলেন, আপনার মৃত ভাই হযরত আব্দুল্লাহ (আঃ) এর উত্তরসূরী হয়ে হযরত আমিনা (অাঃ) এর কোলে শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মৃত ভাইয়ের বংশে পুত্র সন্তান হওয়ায় আবু লাহাব এ খুশির সংবাদদাতা দাসী সোয়াইবাকে তার শাহাদাত অাঙ্গুলী ইশারা করে সাথে সাথে মুক্ত করে দেন।

আবু লাহাব শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মে খুশির কারণে প্রতি সোমবার তার কবরের আজাব মাফ হয় ও তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী অগ্রভাগ দিয়ে রসালো পদার্থ বের হয়। উল্লেখ যে আবু লাহাব মারা যাওয়ার পর তার ভাই হযরত আব্বাস (রাঃ) একবার তাকে স্বপ্নে দেখেন। তখন তাকে জিজ্ঞাস করেন। দুনিয়াতে নবীজীর বিরোধিতা করেছেন, আল্লাহ কবরে আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করছেন? জবাবে আবু লাহাব জানায় সপ্তাহে ছয়দিন আল্লাহ আমায় অনেক কষ্টে রাখেন শুধুমাত্র সোমবার নবীজির জন্মে আনন্দিত হওয়ার আমার আজাব লাঘব করা হয়।

এ ঘটনাটি বোখারী শরীফে উল্লেখ রয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি আল্লাহ কাট্টা কাফেরকে যদি তার হাবীবের জন্মে আনন্দিত হওয়ার কারণে প্রতি সোমবার আজাব মাফ করতে পারেন, তবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করার কারণে আমাদের কেও মাফ করতে পারেন।

তাই আসুন নবীজীর শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করি। মহান দয়াময় রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের সহায় হন। আমিন।

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮

আখেরী চাহার শোম্বা কি?


আখেরী অর্থ শেষ, চাহার অর্থ চতুর্থ আর শোম্বা বুধবার। মুসলিম বিশ্বে হযরত রাসূল (সঃ) জীবনের শেষ বুধবারকেই তথা হিজরী সফর মাসের শেষ বুধবার "আখেরী চাহার শোম্বা" বলা হয়।

হযরত রাসূল (সঃ) জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বার্ধক্যজনিতকারণে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। ১১ হিজরী ২৫শে সফর চতুর্থ বুধবার তিনি হঠাৎ সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এ দিনকে কেন্দ্র করে হযরত রাসূল (সঃ) এর পরিবারবর্গ ও আশেকে রাসূলেরা আনন্দে উদ্বেলিত হয় পরে। এ দিন তারা দান-ক্ষয়রাত করে আনন্দ প্রকাশ করে।

প্রতিবছর এ দিবসকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিশ্বে নানা রকমের অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়।

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর "গর্বিত পিতা" ও সৈয়দা হামিদা (রহঃ) "রত্নগর্ভা মাতা" সম্মাননায় ভূষিত ।

গত ১৮ অক্টোবর ২০১৮ রোজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থানার অন্তর্গত আরামবাগ হাই স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে মতিঝিল থানা আশেকে রাসূল (সঃ) পরিষদের উদ্দেগ্যে এক বিশাল সংবধর্ণা ও স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান ও কুতুবুল আকতাব সৈয়দা হামিদা বেগম (রহঃ) এর ৩ জন সাহেবজাদী ও ৪ জন সাহেবজাদা পর্যায়ক্রকেম বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি হতে ধর্ম বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করে প্রত্যেকে স্ব-স্ব ইউনিভার্সিটি হতে 'ফিলোসপি অব ডক্টরেট' পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সাত সন্তানের এ অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বীকৃতি সরূপ তাদের প্রত্যেকে বিশেষ সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তাদের এ অভূতপূর্ব সাফল্যের পিছনে পথপ্রদর্শক, দিকনির্দেশনা দাতা ও অনুপ্রেরণাদানকারী হিসেবে সফল পিতা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর ও মাতা হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহঃ) কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এ মহতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি জনাব মোঃ ফারুক (এম. ফারুক), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার ও আরামবাগ এলাকার কৃতী সন্তান সাবেক সাংসদ আব্দুর রহিম। এছাড়া অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব, পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আলেম ওলামা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সহস্রাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- গাছের হাটা


একদিন একজন আরব পৌত্তলিক হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকট এসে বলল - আপনি যে সত্যিই আল্লাহর নবী, যদি এর উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেন, তবে আমি ইসলাম গ্রহণ করব।

হযরত রাসূল (সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি প্রমাণ দেখতে চাও? সে বলল - ঐ যে দূরে একটা গাছ দেখা যাচ্ছে, ঐ গাছটি যদি আপনার নবুয়তের সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে আমি ইসলাম গ্রহণ করবো।

হযরত রাসূল (সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি প্রমাণ দেখতে চাও? সে বলল- ঐ যে দূরে একটা গাছ দেখা যাচ্ছে, ঐ গাছটি যদি আপনার নবুয়তের সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে আমি আপনাকে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করবো।
হযরত রাসূল (সঃ) বললেন, তুমি ঐ গাছের নিকট গিয়ে বলো যে, হে গাছ! আল্লাহর নবী তোমাকে ডেকেছেন। লোকটি সত্যিই সেই গাছের নিকট গিয়ে ঐ কথা বলা মাত্র গাছটি একদিকে ঝুকে পড়ল। ফলে এর একদিকের শিকড়গুলি পৃথক হয়ে গেল। তৎপর গাছটি সোজা হয়ে পুনরায় বিপরীত দিকে ঝুকে পড়ল, তাতে এর অপরদিকের শিকড়গুলিও পৃথক হয়ে গেল। অতঃপর গাছটি আপনা আপনি চলে এসে হযরত রাসূল (সঃ) এর পায়ের উপর সিজদা করলো।


সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা

বিঃ দ্রঃ প্রতিকী ছবি।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- বীরের পরাজয়।


আরবের একজন শক্তিশালী বীরপুরুষ ছিল রোকনা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে এত অধিক শক্তি প্রদান করেছিলেন যে, যদি একশত লোক একত্রিত হয়ে তার একখানা পা ধরে টানাটানি করত, তথাপি তাকে একটুও সরাতে পারত না। দশজন লোক ধরে যে পাথর উত্তোলন করতে সক্ষম হতো না, সে বাম হাত দিয়ে তা উঠিয়ে দূরে ছুড়ে মারত। বিশাল বিশাল গাছ সে টান দিয়ে উপরিয়ে ফেলত।

একদিন উক্ত বীর রোকনা মাঠের মধ্যে উট চরাচ্ছিল। এমন সময় হযরত রাসূল (সঃ) সেখান দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে দেখে রোকনা গর্ব করে বলল, হে মুহাম্মদ! তুমি তো আমাদের দেব দেবীদেরকে নিন্দা করে থাকো। আজ আসো, কার আল্লাহর কতদূর ক্ষমতা, তা পরীক্ষা করে দেখা যাক। তুমি তোমার আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থণা করো। আর আমি আমার দেবতার কাছে সাহায্য প্রাথর্ণা করি। তারপর আমরা উভয়েই কুস্তি লড়বো। যদি আমি পরাজিত হই, তবে তোমার ধর্ম গ্রহণ করবো। আর যদি তুমি পরাজিত হও, তবে হয় আমার ধর্ম গ্রহণ করবে, অন্যথায় তোমাকে হত্যা করবো।

রোকনা এই কথা বলে হযরত রাসূল (সঃ) এর সম্মতির অপেক্ষা না করেই তাকে ভীষণভাবে আক্রমণ করলো। কিন্তু সে তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও হযরত রাসূল (সঃ) কে নিদিষ্ট স্থান থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণও সরাতে পারল না।
অনেকক্ষণ পযর্ন্ত সে টানাটানি করার পর লজ্জিত হয়ে বলল- হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমি বুঝতে পেরেছি যে, আপনার আল্লাহই সর্বশক্তিমান এবং আপনি আল্লাহর সত্য নবী। আমি জানি যে, খোদায়ী শক্তি না থাকলে সমগ্র আরবে এমন কোন বীর পুরুষ নেই যে, আমার টানে সে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারে। দয়া করে আপনি আপনার পবিত্র হাত বাড়িয়ে দিন- আমি আপনার হাতে হাত রেখে এখনই ইসলাম গ্রহণ করছি। অতঃ পর রোকনা তখনই ইসলাম গ্রহণ করল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা

বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- খুটির কান্না থামানো।


মসজিদে নববীতে মিম্বর তৈরী হওয়ার পূর্বে হযরত রাসূল (সঃ) খেজুর গাছের একটা শুষ্ক খুটিতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে খুতবা পাঠ করতেন। কিছুদিন পর মসজিদে মিম্বর নির্মিত হলে, তিনি সেই খুটি পরিত্যাগ করে মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করতে থাকেন। তখন হযরত রাসূল (সঃ) এর বিচ্ছেদ জনিত ব্যথায় ঐ খুটি হতে করুণ সুরে ক্রন্দন ধ্বনি হতে থাকে।

হযরত রাসূল (সঃ) ক্রন্দনের কারণ বুঝতে পেরে খুটির গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন ও চুম্বন প্রদান করলেন। তৎক্ষণাৎ তার ক্রন্দন বন্ধ হয়ে গেল। মসজিদে নববীর ঐ থাম্বাটির নাম ছিল ' উস্তনায়ে হান্নানা'।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- ভবিষ্যতবাণীর সত্যতা।


একদা হযরত রাসূল (সঃ) জেহাদে যোগদানকারী একজন গাজীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এ লোকটি দোযখবাসীদের মধ্যে একজন। সাহাবাগণ একথা শুনে অত্যন্ত বিস্মিত হলেন। কারণ তারা সকলেই তাকে পরম পূন্যবান বলে জানতেন।

এর কিছুদিন পর সে লোকটা আত্নহত্যা করে মৃত্যুবরণ করলো। আর এই কথা সর্বজন বিদিত যে, আত্নহত্যাকারী ব্যক্তি কখনই জান্নাতি হবে না। ফলে হযরত রাসূল (সঃ) এর মন্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হলো।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- চোখ পুনঃস্থাপন।


ওহুদের যুদ্ধের সময় অস্ত্রের আঘাতে একজন মুসলিম সৈনিকের চক্ষু মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। হযরত রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখনই তার সেই চক্ষু মাটি হতে উঠিয়ে যথাস্থানে বসিয়ে দিলেন। চক্ষুটি সম্পূর্ণরূপে লেগে গেল এবং নিরাময় হয়ে গেল। অতঃপর তার চোখে কোন ব্যথা হয়নি এবং চিরজীবন সম্পূর্ন সুস্থ ও উহা উজ্জ্বল ছিল। (আবু নাঈম, বায়হাকী শরীফ)

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- অশ্বের পা মাটিতে প্রোথিত


হযরত রাসূল (সঃ) হিজরতের উদ্দেশ্যে যখন মদীনা অভিমুখে রওনা হন, তখন কুরায়েশ কাফেরগণ তাকে ধরার জন্য চতুর্দিকে অশ্বারোহী প্রেরণ করে। হযরত রাসূল (সঃ) এর গতিপথ দেখে সোরাকা ইবনে মালেক তার অশ্বকে সেদিকে ধাবিত করল।

কিন্তু সোরাকা নবীজীর নিকটবর্তী হতে না হতেই মাটি তার অশ্বের পা অাটকে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে তার অশ্বের পা মাটিতে প্রোথিত হয়ে গেল। সে নিরূপায় হয়ে অবশেষে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে আশ্রয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাহমাতাল্লিল আলামিন তাকে ক্ষমা করলেন। সে বিপদ হতে মুক্তি পেয়ে তখনই হযরত রাসূল (সঃ) এর কাছে ইসলাম গ্রহণ করল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃ দ্রঃ প্রতিকী ছবি

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- আকাশের চাঁদকে দিখন্ডিত করা।


হযরত রাসূল (সঃ) এর নবুয়তের কথা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর নানান দেশে হতে দলে দলে লোক এসে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে লাগল। সে সময় পারস্য দেশ হতে একদল ইহুদী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করার জন্য মক্কায় আগমন করলো।

পথিমধ্যে আবু জেহেলের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হলো। সে জিজ্ঞাসা করল- তোমরা কোথায় যাচ্ছ? তারা উত্তর করল - আমরা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আবু জেহেল বলল- মুহাম্মদ যে সত্যিই আল্লাহর নবী ভালভাবে তার প্রমাণ না নিয়ে তোমরা হঠাৎ কিছু করো না।

তারা জিজ্ঞেস করলো- আমরা কিভাবে তা বুঝতে পারবো?
আবু জেহেল বলল- চলো আমিও তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছি, যা করতে হয় তা আমিই করব।
অতঃপর লোকগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আবু জেহেল হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকটে এসে বলল- হে মুহাম্মদ। তুমি তো আমাদের দেব দেবীকে নিন্দা করো। আর বলে থাকো যে, তুমিই আল্লাহর নবী! আজ যদি তার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারো তবে এই তলোয়ার দিয়ে তোমার গর্দান দ্বি-খন্ডিত করে ফেলব।
হযরত রাসূল (সঃ) আবু জেহেলের কথায় ভীত বা রাগান্বিত না হয়ে বেশ ধীরে সুস্থেই বলল- বল! তোমরা কি প্রমাণ দেখতে চাও?
তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল এবং আকাশে সবেমাত্র পূর্ণিমার চাঁদ উদয় হয়েছিল। হঠাৎ আকাশের দিকে আবু জেহেলের দৃষ্টিপাত হওয়ার সে বলল- তুমি যদি আকাশের ঐ চাঁদটিকে দ্বিখন্ডিত করে দেখাতে পার। তবেই বিশ্বাস করব যে, তুমি সত্যিই আল্লাহর নবী। হযরত রাসূল (সঃ) স্বীয় শাহাদাত অঙ্গুলি উঠিয়ে চাঁদের দিকে ইশারা করে বললেন, "হে চাঁদ! তুমি দ্বিখন্ডিত হয়ে যাও"। সাথে সাথে চাঁদ ঠিক মাঝখানে দুই ভাগ হয়ে দুদিকে সরে গেল। সকলেই এই দৃশ্য বিষ্ময়ের সাথে তাকিয়ে দেখল- আকাশের চাঁদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুদিকে সরে গেছে।

কিছুক্ষণ পর আবু জেহেল পুনরায় বলল- হে মুহাম্মদ! চাঁদকে আদেশ কর, সে পুনরায় একত্রিত হয়ে যাক।
হযরত রাসূল (সঃ) পুনরায় শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা চাঁদের দিকে ইশারা করা মাত্র তা একত্রিত হয়ে গেল।

এই আশ্চর্য ব্যাপার দেখে উপস্থিত সকলেই তাকে সত্যনবী বলে বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহণ করল। কিন্তু পাপিষ্ঠ আবু জেহেল ঈমান আনল না। সে বলল - এবারে মুহাম্মদ উপস্থিত লোকের প্রত্যেকের চক্ষুর উপরে তার যাদু খাটিয়েছে - সত্যিই মুহাম্মদ একজন পাকা যাদুকর।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- পাথরের ভিতর ময়ূর।


একবার আবু জেহেল বলল- হে মুহাম্মদ! আমার ঘরে একখানা বড় পাথর আছে। তুমি যদি তা হতে একটি জীবিত ময়ূর বের করতে পার, তবে বিশ্বাস করবো যে, সত্যিই তুমি আল্লাহর নবী।
আসলে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি ঈমান আনার ইচ্ছা আবু জেহেলের কোন দিনই ছিল না। সে শুধু হুজুর (সঃ) কে অপমান অপদস্থ করার উদ্দেশ্যেই এক এক সময় অসম্ভব কাজের কথা বলতো। অার যখনই তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করতেন। তখনই সে বলতো, মুহাম্মদ (সঃ) একজন পাকা যাদুকর। আবু জেহেলের কথামত হযরত রাসূল (সঃ) তার বাড়িতে গিয়ে সে পাথরটি দেখলেন। তারপর দু'হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করার পর, যে মাত্র তার হাতের ছড়ি দিয়ে পাথরটির ওপর আঘাত করলেন, তৎক্ষনাৎ উহার ভিতর হতে একটি সুন্দর জীবিত ময়ূর বের হয়ে নাচতে লাগলো। এই আশ্চর্য ঘটনা দেখেও পাপীষ্ঠ আবু জেহেল ঈমান আনেনি।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
ছবি প্রতীকী

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- গাছের অাঘাত


একদা হযরত রাসূল (সঃ) কুরায়েশদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে মক্কার বাইরে কোন এক নির্জন স্থানে গিয়ে গাছের ছায়ায় শয়ন করলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন। এমন সময় জনৈক কুরাইশ তাকে সে স্থানে একাকী নিদ্রিত দেখে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে চুপি চুপি সেই গাছের নিচে গিয়ে গাছের শাখা হতে হযরত রাসূল (সঃ) এর ঝুলানো তলোয়ার খানা খুলতে উদ্দ্যত হলো। এমন সময়ে আল্লাহর কুদরতে গাছের একটি শাখা প্রসারিত হয়ে লোকটির মাথায় এমন একটি অাঘাত করল যে, তৎক্ষনাৎ তার মস্তক চূর্ণ হয়ে মগজ বের হয়ে গেল। লোকটি সেখানেই মৃত্যু মুখে পতিত হলো।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
ছবি প্রতীকী

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- হুবাল মূর্তির জীবন্ত হওয়া ও সাক্ষ্যদান।


একবার ইয়ামেন হতে বার হাজার লোক মক্কায় হজ্জ্ব করতে এসেছিলেন। তারা তাদের উপাস্য হুবাল নামক বিরাট পাথরের মূর্তিটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। উক্ত হুবাল দেবতার মূর্তির সর্বাঙ্গ স্বর্ণের দ্বারা মন্ডিত ও বহু মূল্যবান বর্মে সজ্জিত ছিল। তারা সকলেই সেই মূর্তিটিকে সিজদাহ করত ও তাঁর সম্মুখে দাড়িয়ে প্রার্থনা করত।
হযরত রাসূল (সঃ) তাদেরকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে সত্য ধর্ম গ্রহণ করতে বললে তাদের দলপতি বলল যে, আপনি যে সত্যই আল্লাহর নবী তার প্রমাণ কি? হযরত রাসূলে করীম (সঃ) বললেন- তোমাদের ঐ দেবমূর্তি যদি আমার নবুয়ত সম্বন্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে কি তোমরা আমাকে আল্লাহর নবী বলে বিশ্বাস করবে? তারা সকলেই বললেন- তাহলে তো কোন কথাই নাই- আমাদের দেবতাই যদি আপনাকে নবী বলে স্বীকার করে, তবে আমরা নবী বলে স্বীকার করব না কেন?
তখন হযরত রাসূল (সঃ) হুবাল নামক মূর্তিটিকে তার কাছে ডাকলেন। তার আহবানে মূর্তিটি আসলে তিনি মূর্তিটির দিকে নিজের হাতের ছড়ি উঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- বল আমি কে? হুবাল তৎক্ষনাৎ উত্তর করলো- "আন্তা রাসূলুল্লাহ, ওয়া আনা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।" আপনি আল্লাহর রাসূল এবং আমি সাক্ষী দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। আরো সাক্ষী দিচ্ছি মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল।
হযরত রাসূল (সঃ) পুনরায় প্রশ্ন করলেন- তুমি কে? হুবাল উত্তর করল- আমি পাথর ব্যতিত অন্য কিছুই নই। তারা যে আমাকে তাদের মাবুদ বলে পূজা করে এটা তাদের মারাত্মক ভুল।
পৌত্তলিকগণ তাদের দেবতার মুখে একথা শুনে তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং সেই দিন বার হাজার পৌত্তলিক ইসলাম গ্রহণ করেন।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- পানির অভাব দূর হলো।


তবুকের যুদ্ধের সময় হযরত রাসূল (সঃ) এর সাথে ত্রিশ হাজার সৈন্য ছিল। হঠাৎ পানির অভাব দেখা দেয়ায় সৈন্যদের মধ্যে একটা ভীষণ ত্রাসের সঞ্চার হলো। সকলে হযরত রাসূল (সঃ) কে এই বিপদের কথা জানালেন। হযরত রাসূল (সঃ) বলেন, যদি কোন পাত্রে কিছু পানি থেকে থাকে, তবে সে পাত্রটি আমার কাছে নিয়ে এসো। সৈন্যগণ একটু পানিসহ একটা পাত্র নিয়ে এসে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর সামনে উপস্থিত হলেন। এরপর তিনি তুর্নীর হতে একটা তীর বের করে ঐ পানি পাত্রের মধ্যে খাড়া করে ধরলেন। তৎক্ষনাৎ সে পাত্রটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর সৈন্যগণ ঐ পাত্র হতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রয়োজনমত পানি নিয়ে পিপাসা মিটাতে লাগলো, কিন্তু পাত্রটির পানি নিঃশেষ হলো না।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।

শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- বিষ মেশানো মাংস খেয়ে হজম করা।


একদা হযরত রাসূল (সঃ) সাহাবাগণসহ বসে আছেন। এমন সময় এক ইহুদী কিছু ভূনা গোশত নিয়ে এসে বলল- হে আল্লাহর নবী! আমি আপনার জন্য কিছু গোশত এনেছি, মেহেরবানী করে ইহা আহার করুন। হযরত রাসূল (সঃ) উক্ত গোশত আহার করতে উদ্যত হলে গোশতের ভিতর হতে আওয়াজ হলো- ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমার সাথে বিষ মিশানো অাছে, অতএব আপনি আমাকে আহার করবেন না। হযরত রাসূল (সঃ) ইহুদীকে জিজ্ঞেস করলেন- তোমার গোশতের সাথে বিষ মিশান আছে কি-না? ইহুদী উত্তর করিল - হ্যাঁ আছে, কিন্তু আপনি তা কিভাবে জানতে পারলেন? হযরত রাসূল (সঃ) বললেন - তোমার গোশতই আমাকে উহা বলে দিয়েছে। ইহুদী বলল- আপনি যদি এই বিষ মিশান গোশত আহার করে হজম করতে পারেন, তবেই বুঝব যে, আপনি সত্যই আল্লাহর রাসূল এবং আমি আপনার নিকট ইসলাম গ্রহণ করব। তখন হযরত রাসূল (সঃ) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলে কয়েক টুকরো গোশত আহার করলেন এবং সাহাবাদেরকেও বিসমিল্লাহ বলে আহার করতে বললেন। আল্লাহর রহমতে সেই বিষ মিশ্রিত গোশত খাওয়ায় হযরত রাসূল (সঃ) ও সাহাবাদের কোনই ক্ষতি হলো না। এ ঘটনা দেখে ইহুদী ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- পাথরের টুকরো কথা বলে।


একদা হযরত রাসূল (সঃ) তাঁর সাথী সাহাবীদের নিয়ে বসে আছেন, এমন সময় আবু লাহাব তাঁর মুঠোর মধ্যে কয়েক টুকরা পাথর গুজে নিয়ে গিয়ে বলল, "তুমি যদি সত্য পয়গম্বর হও, তবে আমার এ মুঠের মধ্যে কি আছে বলো দেখি?" হযরত রাসূল (সঃ) বললেন, আপনার মুঠোর মধ্যে যা আছে, তা যদি আমার পয়গম্বরী সম্পর্কে সাক্ষ্য দান করে, তবে আপনি মুসলমান হবেন কিনা বলুন? আবু লাহাব ভাবল, তার মুঠোর মধ্যে পাথর কুচি আছে তা তো আর কথা বলবে না, তখন রাসূল (সঃ) এর সাথে ওয়াদা করতে বাধা কি? এ ভেবে সে বলল, যদি তা হয় তবে আমি মুসলমান হবো। আবু লাহাব যেই মুসলমান হবে স্বীকার করল, ওমনি তার হাতের পাথর গুলো মুঠো থেকে বলতে লাগল, আশহাদু আল্লাহ্ ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্। অর্থাৎ - আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ্ ভিন্ন আর কেউ উপাস্য নেই, হযরত রাসূল (সঃ) তাঁর প্রেরিত রাসূল। আবু লাহাব তা শুনে পাথর কুচিগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলল - পাথর কি কখনো কথা বলে? এসব যাদুর ব্যাপার। এই বলে সে চলে গেল, মুসলমান হলো না।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- বোবার মুখে কথা।

একবার একজন বোবা লোক হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকট আগমন করেন। লোকটি জীবনেও কোনো দিন একটি কথাও বলতে পারেনি। সে সময় কতিপয় ইহুদী সেখানে উপস্থিত ছিল, তারা হযরত রাসূল (সঃ) কে বলল যে, আপনি যদি এ লোকটিকে কথা বলাতে পারেন, তবে বুঝব যে আপনি সত্যিই আল্লাহর নবী।
হযরত রাসূল (সঃ) সেই চির বোবা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন- বল, আমি কে?
বোবা লোকটি তৎক্ষণাৎ সুস্পষ্ট ভাষায় বলল- ' লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ ' (সঃ)। হযরত রাসূল (সঃ) - এর এই মুযেজা দেখে সেখানে উপস্থিত সব ইহুদীই ইসলাম গ্রহণ করেছিল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা

বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন কে? তার পরিচয় কি?



হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) হেরা গুহায় ১৫ বছর মোরাকাবার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন ধর্ম ইসলাম প্রচারের অনুমতি পান। এরপর হযরত রাসূল (সঃ) সর্বপ্রথম তার প্রিয়তমা স্ত্রী হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) কে ইসলামের দাওয়াত দেন। মা খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) হযরত রাসূল (সঃ) এর দাওয়াত সাদরে গ্রহণ করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। আর ইসলামের ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী নারী।

তিনি ৫৫৫ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় (হেজাজ) জন্মগ্রহণ করেন। 

উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর পিতার নাম খুওয়াইলিদ বিন আসাদ ও মাতার নাম ফাতেমা বিনতে জায়দা।

মা খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) আরবের সেরা ধনী নারী ছিলেন। তিনি ৪০ বছর বয়সে হযরত রাসূল (সঃ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের অনুষ্ঠানে তার সমস্ত সম্পদ রাসূল (সঃ) এর নিকট উৎসর্গ করেন। তার গর্ভেই হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর জন্ম। তার নিকট হতে রাসূল (সঃ) এর বংশধর জগতে বিদ্যমান।

তিনি ১০ রমজান ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে ওফাত লাভ করেন। তখনও ইসলাম ধর্মে মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার নামায পড়ার বিধান ছিলো না। তাই তাকে জানাযা ছাড়াই মক্কার কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লায় দাফন করা হয়। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নিজেই তার লাশ কবরে নামান। তার রওজা শরীফ জান্নাতুল মুয়াল্লায় অবস্থিত।
উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর  রওজা শরীফ

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর রওজা শরীফ কোথায় অবস্থিত?





দূরাচার এজিদ বাহিনী কর্তৃক হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) কে হত্যার পর তার দেহ মোবারক হতে মাথা মোবারক বিচ্ছিন্ন করা হয়।

পরবর্তীতে তার দেহ মোবারক ইরাকের কারবালায় সমাহিত করা হয়। সেখানে বিস্তৃত জায়গা নিয়ে রওজা শরীফ নির্মাণ করা হয়।

পক্ষান্তরে তার মাথা মোবারক মিশরের কায়রোতে সমাহিত করা হয়। সেখানে তার মাথা মোবারকের রওজা শরীফ নির্মাণ করা হয়।

প্রতিদিন অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষ বিভিন্ন নিয়তে এ দুই রওজা শরীফ জিয়ারত করে উপকার পাচ্ছে।

ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদাৎ বরণের মধ্য দিয়ে মোহাম্মদী ইসলাম বিলুপ্ত হয়েছে বলা হয় কেনো?



হযরত রাসূল (সঃ) হেরাগুহায় সাধনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে যে জীবন বিধান প্রচলন করেছিলেন উহাকে "মোহাম্মদী ইসলাম" বা "মোহামেডান ল" বলে।

হযরত রাসূল (সঃ) এর জীবদ্দশায় চক্রান্তকারীরা অসংখ্যবার তাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু মহান আল্লাহর দয়ায় চক্রান্তকারীরা সফল হয়নি।

হযরত রাসূল (সঃ) এর ওফাতের পর চক্রান্তকারীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে সাহাবায়েকেরাম ও নবী পরিবারের ওপর বার বার আক্রমন করেছে। তারা হযরত আবু বকর (রা) এর সাথে যাকাত নিয়ে ফেতনা করেছিলো, হযরত উমর (রাঃ) কে হত্যা করেছে, হযরত ওসমান (রাঃ) কে হত্যা করেছে, হযরত আলী (রাঃ) কে হত্যা করেছে, হযরত হাসান (রাঃ) কে বিষ  প্রয়োগে হত্যা করেছে। এরই ধারাবাহিকতা সর্বশেষ কারবালায় নবীজির প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ) সহ নবী পরিবারের ৭২ জন সংঙ্গী সাথীকে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে মোহাম্মদী ইসলাম সমূলে ধ্বংস করে এজিদী আইন তথা এজিদী ইসলাম চালু করা হয়। 

আর এ কারণেই বলা হয়, ইমাম হোসাইন  (রাঃ)শাহাদাতের মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলাম বিলুপ্ত হয়েছে।

হযরত রাসূল (সঃ) কি পবিত্র আশুরা পালন করতেন?



হযরত রাসূল (সঃ) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কমপক্ষে ২ টি রোজা রাখতেন ও সাহাবীদেরকেও এ রোজা পালনের জন্য উৎসাহিত করতেন। তাছাড়া তিনি নফল ইবাদত বন্দেগী ও দান খয়রাত করতেন।

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আশুরা কি? আশুরার দিনে কি কি সংঘটিত হয়েছে?



আশুরা শব্দের অর্থ হচ্ছে দশম। ইসলামী ইতিহাসে মহররম মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। 

অাশুরার গুরুত্ব অত্যধিক। এ দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা আরশ, কুরছি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টির পর মহান প্রভূ হিসেবে আরশে অধিষ্ঠিত হন। এ দিনটি মহান রাব্বুল আলামিন সহ সকল সৃষ্টির জন্য আনন্দময়। এই আরশে সমাসীন হওয়ার আনন্দকে কেন্দ্র করে এ দিনকে মহান আল্লাহ তায়ালা বরকতময় করেছন।

এদিনে হযরত আদম (অাঃ) কে সৃষ্টি করা হয়। এদিনে তাকে প্রতিনিধি করে দুনিয়াতে পেরণ করা হয়।

এদিনে হযরত নুহ (আঃ) এর নৌকা মহাপ্লাবনের পর জুদি পাহাড়ের নিকট ভিড়েছিল।

এদিনে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ভূমিষ্ঠ হন। এদিনে তিনি নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্ত হন ও খলিলুল্লাহ উপাধি পান।

এদিনে হযরত আইয়ুব (আঃ) রোগমুক্ত হন।

এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন।

এদিনে হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা পেয়েছিলেন।

এদিনে হযরত সোলায়মান (আঃ) তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

এদিনে হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন।

এদিনে হযরত ইয়াকুব (আঃ) হারানো পুত্র ইউসুফ (আঃ) কে ফিরে পেয়েছিলেন।

এদিনে ফেরাউনে স্ত্রী বিবি আছিয়া শিশু মুসা (আঃ) কে গ্রহণ করেছিলেন।

এদিনে সর্বপ্রথম বৃষ্টি ও রহমত বর্ষিত হয়েছে। 

এদিনে হযরত রাসূল (সঃ) মদিনায় পৌছেছিলেন।

এদিনে কারবালায় এজিদ বাহিনী কাছে নবী পরিবারের ৭২ জন মাথা নত না করে মিথ্যার কাছে সত্যের জয় হয়।

এদিনে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর বিশ্বময় মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন।

আরও বহুমুখী কারণে আশুরা দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ৭ সন্তানের পিএইচডি

"বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলেই পরিচয়" এটি আমাদের সমাজের একটি জনপ্রিয় প্রবাদ বাক্য। বৃক্ষের পরিচয় হয় তার ফল দিয়ে। যে বৃক্ষের ফল যত দামী সে বৃক্ষের নাম যশ ততই বেশি। 

মুসলিম বিশ্বে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী একজন আলোচিত মহামানবের নাম। যিনি শুধু একজন যুগশ্রেষ্ঠ মহামানবই নন। তিনি জামানার মুজাজ্জেদ, ইমামুল মাহাদী, আল্লাহর জাত ও পাকের তাফসীর প্রণেতা, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা,  বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক আর্মি পারসন, ৪ টি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের একমাত্র উটের খামার প্রতিষ্ঠাতা, ১২ টি দরবারের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বের ১৫০ টির বেশি দেশে অসংখ্য বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সংস্থা, খানকায়ে মাহবুবীয়া, আশেকে রাসূল (সঃ) জামে মসজিদ ও  মজলিশের সত্ত্বাধীকারী।

শুধু তাই নয় তিনি তারকাজ্জল সাত সন্তানের সফল জনক। পৃথিবীর ইতিহাসে ও মুসলিম অঙ্গনে একমাত্র অলিআল্লাহ হিসেবে তার সাত সন্তানই হযরত রাসূল (সঃ) এর রেখে যাওয়া ধর্ম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবোর্চ্চ ডিগ্রী "ফিলোসপি অব ডক্টরেট " পিএইচডি অর্জন করছেন। যা আজ প্রশংসার দাবিদার।

পাশাপাশি তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন ও পিএইচডি দিচ্ছেন। 

তাই আগে পরে যে যাই আলোচনা সমালোচনা করুক না কেন, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজানের পরিবার যে, আজ ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী সবোর্চ্চ পরিবার। তা আজ বিশ্বময় সমাদৃত। 

অবশেষে মহান প্রভূর নিকট অধম গুনাহগার আকুতি, এ মহান পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে  আজীবন সুস্থতা দান করে বিশ্বময় মোহাম্মদী ইসলামের জাগরণ আনার সুযোগ দিয়ে আমাদের গোলামী করার সুযোগ দান করেন, আমিন।।