Translate

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯

হযরত রাসূল (সঃ) এর সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) এর পরিচিতি।


বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) - এর সর্ব কনিষ্ঠ কন্যার নাম ছিল হযরত ফাতিমাতুজ জোহরা (রাঃ)। হযরত রাসূল (সঃ) - এর নবুয়ত লাভের পরের বছর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হিজরী ৬ষ্ঠ সালে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশেই হযরত রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাঃ) - এর সাথে হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর বিয়ে দেন।বিয়ের ৭ মাস ১৫ দিন পর তাদের প্রথম বাসর রাত যাপন করা হয়। বিয়ের সময় হযরত ফাতিমার বয়স ছিল ১৫ বছর ৫ মাস এবং হযরত আলীর বয়স হয়েছিল ২১ বছর ৫ মাস। হযরত রাসূল (সঃ) তার কন্যাদের মধ্যে হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে। সর্বাপেক্ষা অধিক স্নেহ করতেন। তিনি কোথাও যাওয়ার সময় সর্বশেষে তার নিকট থেকে বিদায় নিতেন। তাকে না বলে তিনি কোথাও যেতেন না।আবার কোন স্থান থেকে বাড়ি ফিরে তিনি সর্বপ্রথম কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ না করে ও কিছু কথাবার্তা না বলে অন্য কারও সাথে দেখা বা আলাপ করতেন না। হযরত ফাতিমা (রাঃ) তাঁর স্বামী হযরত আলী (রাঃ) - কে অত্যন্ত ভালবাসতেন, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও খেদমত করতেন। তিনি নবী কন্যা বলে কখনও স্বামীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করতেন না। হযরত আলী (রাঃ) - ও তার স্ত্রী হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে নিজের প্রাণাপেক্ষা বেশি ভালবাসতেন। হযরত ফাতিমা (রাঃ) জীবিত থাকা পর্যন্ত হযরত আলী (রাঃ) অন্য কোন বিয়ে করেননি।তার ইন্তেকালের পরে সংসার অচল হয়ে পড়ায় হযরত উমামা (রাঃ) - কে বিয়ে করেছিলেন। হযরত রাসূল (সঃ) - এর ওফাতের ছ'মাস পরে হযরত ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসিনী হন। হযরত রাসূল (সঃ) ওফাতের আগেই কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে জানিয়েছিলেন - মা! তুমি আমার ইন্তেকালে দুঃখিত হয়াে না, আমার মৃত্যর ঠিক ছ'মাস পরেই তুমি জান্নাতে আমার সাথে মিলিত হবে। বিশ্বনবী হযত মুহাম্মদ (সঃ) - এর বংশ একমাত্র হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর বংশ থেকেই দুনিয়ায় জারী রয়েছে। তার তিন পুত্র ও তিন কন্যা জন্মগ্রহণ।করেছিলেন। পুত্রদের নাম যথাক্রমে হযরত ইমাম হাসান (রাঃ), হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও হযরত মােহসিন (রাঃ)। হযরত মােহসিন (রাঃ) শিশুকালেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কন্যাদের নাম যথাক্রমে হযরত রােকেয়া (রাঃ), হযরত কুলসুম (রাঃ) ও হযরত জয়নাব (রাঃ)। জ্যেষ্ঠা কন্যা হযরত রােকেয়া (রাঃ) শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) - এর ১৫ পুত্র ও ৮ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। আর হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) - এর পুত্র ও কন্যা।জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের বংশধরগণই আজ পর্যন্ত দুনিয়ায় বিদ্যমান রয়েছেন - তারাই প্রকৃত সৈয়দ বংশ নামে অভিহিত। হযরত ফাতেমা (রাঃ) ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ওফাত লাভ করেন।

উল্লখ্য যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মেয়ে হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এর পরিচিতি।


হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ)ঃ হযরত উম্মে কুলসুম ৬০৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মা খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত রােকেয়া (রাঃ) এর ইন্তেকালের পর হযরত রাসূল (সঃ) তার তৃতীয় কন্যা হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) কে হযরত উসমান (রাঃ) - এর সাথে বিয়ে দেন। এজন্য হযরত উসমান (রাঃ) আর একটি উপাধি হয় “জিনুরায়েন” অর্থাৎ দুটি নূরের অধিকারী। হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) - এর কোন সন্তানাদি জন্মেনি। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে হিজরী নবম সালের শাবান মাসে তিনি ইন্তেকাল করেন।

উল্লেখ যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মেয়ে হযরত রোকেয়া (রাঃ) এর পরিচিতি।


হযরত রােকেয়া (রাঃ)ঃ হযরত রােকেয়া ( রাঃ ) তাঁর বােন হযরত জয়নাব (রাঃ) - এর তিন বছরের ছােট ছিলেন। বয়োঃপ্রাপ্ত হলে আবু লাহাবের পুত্র ওতবার সাথে তার বিয়ে হয়। আবু লাহাবের আর এক পুত্রের সাথে হযরত রােকেয়া (রাঃ) - এর ছােট বােন হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) - এর বিয়ে হয়। যখন পবিত্র কুরআনের সূরা লাহাব নাজিল হয় তখন আবু লাহাব হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রতি রাগান্বিত হয়ে তার উভয় পুত্রকে বলেন, তােমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দাও। মুহাম্মদের কন্যাদেরকে তালাক না দিলে আমি তােমাদের মুখ দর্শন করবাে না। তারা নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও হযরত রাসূল (সঃ) - এর দুই কন্যাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়। এ উভয় মেয়ের বিয়েই বাল্যকালে সম্পন্ন হয়েছিল। তখনও তাদের কোন সন্তানাদি জন্মে নাই। অতঃপর মক্কা বিজয়ের পরে ওতবা ইসলাম গ্রহণ করে। ওতবা হযরত রােকেয়া (রাঃ) - কে তালাক দেয়ার পর হযরত রাসূল (সঃ) তাকে হযরত উসমান (রাঃ) - এর সাথে বিয়ে দেন। হযরত উসমান (রাঃ) আবিসিনিয়া হিজরত করার সময় হযরত রােকেয়া (রাঃ) - কেও সাথে নিয়ে যান। তৎপর হযরত রাসূল (সঃ) মদীনা হিজরত করার পরে হযরত উসমান (রাঃ) তাঁর স্ত্রী হযরত রােকেয়া (রাঃ) - কে সাথে নিয়ে মদীনা চলে যান। হযরত রাসূল (সঃ) যখন বদরের যুদ্ধে যান তখন হযরত রােকেয়া (রাঃ) কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়ে শয্যা শায়িনী ছিলেন। সেজন্য তাকে দেখাশুনা করার জন্য হযরত উসমান (রাঃ) যুদ্ধে যেতে পারেন নি। হযরত রাসূল (সঃ) বদরের যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পূর্বেই হযরত রােকেয়া (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। আবিসিনিয়ায় অবস্থানকালে হযরত উসমান (রাঃ) - এর ঔরসে হযরত রােকেয়া (রাঃ) - এর একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, তার নাম রাখা হয়েছিল আবদুল্লাহ। হযরত রোকেয়া (রাঃ) এর ইন্তেকালের কিছুদিন পরেই তিনিও মৃত্যুমুখে পতিত হন।

উল্লেখ্য যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

হযরত রাসূল (সঃ) এর বড় মেয়ে হযরত জয়নাব (রাঃ) এর পরিচিতি।


হযরত জয়নাব (রাঃ)ঃ হযরত রাসূল (সঃ) - এর জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন হযরত জয়নাব (রাঃ)। হযরতের বিয়ের পাঁচ বছর পরে, অর্থাৎ তার ত্রিশ বছর বয়সে ৬০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত জয়নাব (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। হযরত জয়নাব (রাঃ) মা খাদিজাতুল কোবরার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। জয়নাব (রাঃ) বয়ােঃপ্রাপ্ত হলে তার খালাতাে ভাই আবু আস ইবনে রবির সাথে তার বিয়ে হয় । হযরত রাসূল (সঃ) নবুয়ত লাভের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, কিন্তু তার স্বামী আবুল আস ইসলাম ইসলাম গ্রহণ করেননি।
তিনি ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে ওফাত লাভ করেন।

উল্লখ্য যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাটের নেক দৃষ্টির বদৌলতে ৫ তলার ছাদ থেকে পড়েও অক্ষত আশেকে রাসূল সাইদুর।


মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বর্তমান ইসলাম ধর্মের নানাবিধ কুসংস্কার দূর করে হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রকৃত ইসলাম জগতে তুলে ধরার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ইতিমধ্যেই জগতের অসংখ্য মানুষের ভুল ভেঙ্গেছে। অসংখ্য মানুষ জাগতিক বিপদাপদ থেকে অলৌকিকভাবে রক্ষা পাচ্ছে।সংঘটিত এসব অলৌকিক ঘটনাই প্রমাণ করে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান নূরে মােম্মদীর ধারক ও বাহক।

কয়েক বছর পূর্বে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের মুরীদ সন্তান জনাব সাইদুর রহমান (২৫), পিতা জনাব মফিজুল হক, উত্তর ভাষানটেক ( হাজী ওছমানের বাড়ী), ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি। কন্ট্রাকটরের অধীনে চাকুরী করেন। সম্প্রতি তার কাজের সাইট ছিল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের নির্মানাধীন নেভি কলােনীতে। ঘটনার দিন তিনি একটি ৫তলা ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে রং করছিলেন। বিল্ডিং এর রংয়ের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাবধানে কাজ করলেও ঝুঁকি থেকেই যায়। মৃত্যুর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন কার্নিশে দাঁড়িয়ে রশি দিয়ে ঝুলে কাজ করতে হয়। একদিন সাইদুরের জীবনে নেমে আসে চরম বিপদ। ৫তলা ভবনের ছাদের উপর পানির ট্যাংকের কার্নিশে দাঁড়িয়ে রং - এর কাজ করার সময় হঠাৎ পা ফসকে ৫তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পড়ার সময় সাইদুর সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজানের ওসিলা ধরে চিৎকার দেয় বাবা বাঁচাও। অতঃপর তার আর জ্ঞান নেই। কিন্তু তার সহকর্মীরা অনুভব করেছেন কি যেন একটি নিচে পড়েছে। সাঈদুর যখন বাবা বাঁচাও বলে চিৎকার করে তখন সবাই শুনতে পায় এবং নিচে তাকিয়ে দেখে সাইদুরের অসার দেহ মাটিতে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। সহকর্মীরা দ্রুত নিচে নেমে আসে।তাদের কন্ট্রাকটর কবির সাহেব ছুটে আসেন। মুমূর্ষ সাইদুরকে গাড়িতে করে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসকগণ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সাইদুরের জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে এলে জানতে চায় সে কোথায়? তার মাের্শেদ সূফী সম্রাট কোথায়? এসব বলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁদতে থাকে আর বলতে থাকে ‘আমার বাবাজান ( সুফী সম্রাট ) যদি আমাকে না বাঁচাতেন তবে আমি বেঁচে উঠতাম না। ৫ তলা থেকে পা ফসকে পড়ার সময় বাবা ! বলে চিঙ্কার দিলে তিনি তার রহমতের হাত দুটো বাড়িয়ে দেন। ফলে আমার মনে হয়েছে যেন তুলতুলে নরম একটি বিছানায় শুয়ে পড়েছি।' সত্যিই সাইদুর ৫তলা থেকে যে স্থানটিতে পড়েছিল ।সে স্থানের মাটি ছিল নরম। অথচ তার মাত্র ১ ফুট দূরে পাকা রয়েছে । পাকার উপর পড়লে তার দেহেটি থেতলে যেত। নির্ঘাত মৃত্যু হতাে। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকগণ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখতে পান সাইদুরের শরীরে কোন আঘাত লাগেনি সে সুস্থ। পরদিন হাসপাতাল থেকে সাইদুর রিলিজ হয়ে বাসায় ফিরে যায়। এ ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সাইদুর রহমানের প্রতি নূরে মােহাম্মদী’র ধারক ও বাহক সূফী স্রাটের নেক দৃষ্টি থাকার কারণে ৫তলা থেকে পড়েও অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেছে।এমনিভাবে জগতের মানুষ যদি নূরে মােহাম্মদী ’র ধারক ও বাহকের সাহচর্যে থাকে জাগতিক বিপদ আপদ তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে নূরে মােহাম্মদী ’র পরিচয় নসীব করেন। আমিন।

শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯

হযরত রাসূল (সঃ) - এর সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বক্তব্যঃ


পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলােকে বিশ্বনবী হযরত রাসূল (সঃ) - এর সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বক্তব্যঃ
★ হযরত রাসূল (সঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর জন্যই আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টিরাজি সৃজন করেছেন।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর দূর থেকেই সমগ্র বিশ্বজাহান সৃষ্টি হয়েছে।

★ হযরত রাসূল (সঃ) হায়াতুন্নবী হিসেবে সর্বকালে বিরাজমান ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।

★ হযরত রাসূল (সঃ) গায়েবের সংবাদদাতা ছিলেন বলেই তিনি সুদূর অতীত সম্পর্কে এবং ভবিষ্যতে কেয়ামত কবে ও কিভাবে হবে ইত্যাদির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন।

★ হযরত রাসূল (সঃ) সমস্ত নবী ও রাসূলগণের ইমাম (ইমামুল মুরছালিন) হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন ।
★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর সত্যায়ন ব্যতীত কোন নবী ও রাসূল তার উম্মতের জন্য শাফায়াত করতে পারবেন না।

★ হযরত রাসূল (সঃ) সমগ্র বিশ্বজাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য নবী নিজ নিজ সম্প্রদায়ের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর উপর দরূদ না পড়লে কারাে ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর শাফায়াত ছাড়া কারাে মুক্তি হবে না।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - কে শ্রদ্ধার সাথে ভাল না বাসলে কেউ মু'মেন হতে পারে না ।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - কে আল্লাহ তায়ালা রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন।

★ হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রতি দরূদ ও মিলাদ পড়লে মানুষের বিপদ আপদ, বালা - মুছিবত, রােগ - শোক দূর হয়, আয় - রােজগারে বরকত হয় এবং নবীজীর শাফায়াত পাওয়া যায়।

★ হযরত রাসূল (সঃ) দোজাহানের বাদশাহ। তাঁকে আল্লাহ সকল ধনভাণ্ডারের চাবি দান করেছেন। সুতরাং তিনি গরীব হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

★ হযরত রাসূল (সঃ) এখনাে তার আশেক উম্মতের বিপদে সাহায্য করে থাকেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে মানুষ আসে কেন?


* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে মানুষ মনের মাঝে অনন্ত প্রশান্তি অনুভব করে এবং দুনিয়ার সমস্ত দুঃখ - কষ্টের কথা ভুলে যায়।

* তার কাছে এলে মানুষের মনে মহান আল্লাহ তায়ালার কথা স্মরণ হয় এবং আল্লাহর মহব্বতে বুক ফেটে কান্না আসে।

* তাঁর কাছে এসে তার বয়ান শুনলে হযরত রাসূল (সঃ) - এর মহব্বতে মানুষ অঝাের নয়নে কাঁদতে থাকে ।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে অন্তরের কলুষতা দূর করে মানুষ সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হতে পারে ।

* তাঁর কাছে এলে কালবে আল্লাহর জ্বিকির জারি হয়।

* তাঁর কাছে এলে দুনিয়ার চিন্তামুক্ত হয়ে একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায় করা যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের শিক্ষা আমল করলে আশেকে রাসূল হয়ে । স্বপ্ন ও মােরাকাবায় হযরত রাসূল (সঃ) - এর দীদার লাভ করা যায়।

* তাঁর কাছে এলে নির্ভুলভাবে ইবাদত - বন্দেগী করা যায়।

* তাঁর কাছে এলে ইসলামের শাশ্বত শান্তির বাণীর বাস্তবমুখী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানা যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের নিগূঢ় তত্ত্বকথা শােনা যায়।

* তার কাছে এলে সৃষ্টি জগতের ভেদ ও রহস্যের কথা শােনা যায় এবং মনের অনেক অজানা প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায়।

* তাঁর কাছে এলে ধর্মীয় বিষয়ে সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে দুনিয়ার মােহ - মায়া দূর হয়ে নিজের পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবােধ জাগ্রত হয়।

* তার কাছে এলে স্বর্গীয় প্রশান্তি সব কিছু ভুলিয়ে মানুষকে আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রেমে দেওয়ানা করে তােলে।

* তাঁর কাছে এলে মানুষের রােগ - যাতনা দূর হয় এবং দেহ - মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

* তাঁর কাছে এলে কঠিন মছিবত থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ নির্দেশনা লাভ করা যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে জাগতিক বহুবিধ সমস্যার সমাধান আল্লাহর রহমতে এমনিতেই হয়ে যায়।

* তার কাছে এলে স্বপ্ন ও মােরাকাবায় নিজেই আগাম বিপদ সংকেত জানা যায়।

* তার কাছে এলে সকল বিষয়ে সৎ ও নির্ভুল পরামর্শ পাওয়া যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে বিপদ থেকে পরিত্রাণের পথ নির্দেশনা লাভ করা যায়।

* তাঁর কাছে এলে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত হাছিল করে ইহকাল ও পরকালের শান্তি লাভ করা যায় ।

* তার কাছে এলে অলী - আল্লাহগণের যে অলৌকিক কারামত রয়েছে, তা বাস্তবে প্রত্যক্ষ করা যায়।

* সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে এলে, যেকোনো বিপদ - আপদে অলৌকিক ভাবে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।

* তার শিক্ষা অনুসরণ করলে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও মানুষ আল্লাহর রহমত লাভ করে উপকৃত হতে পারে।

* তার কাছে এসে চরম বিপদের মধ্যে আল্লাহর সাহায্য পায়নি এরকম লােক খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।

মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯

হযরত রাসূল (সঃ) এর পুত্র- হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) এর সম্পর্কে কিছু কথাঃ


হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) অষ্টম হিজরির যিলহজ্জ মাসে হযরত মারিয়া কিবরিয়া (রাঃ) - এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। মদীনা মুনাওয়ারার আলিয়া নামক স্থানে হযরত রাসূল (সঃ) হযরত মারিয়া (রাঃ) - এর জন্য বাসস্থান নির্মাণ করেছিলেন সেখানেই তার জন্ম হয়। এই জন্য আলিয়া মহল্লাটি মাশরবায়ে ইব্রাহীম নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) হযরত রাসূল (সঃ) - এর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র সালমা নামক ধাত্রী সূতিকা গৃহে নবজাত ইব্রাহিম (রাঃ) - এর পরিচর্যা করেন এবং তার স্বামী আবু রাফি হযরত রাসূল (সঃ) - এর নিকট এই সুসংবাদ পৌছান। এই সংবাদে সন্তুষ্ট হয়ে হযরত রাসূল (সঃ) আবু রাফিকে একটি গােলাম দান করেন। সপ্তম দিবসে হযরত রাসূল (সঃ) - এর তার আকীকানুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন। তার মাথার চুল কেটে চুলের সমপরিমাণ রূপা দান করেছিলেন।হযরত রাসূল (সঃ) - এর ভক্তিভাজন পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) - এর নামানুসারে তার নাম রাখলেন ইব্রাহীম। অতঃপর তাকে দুগ্ধ পান করানাের জন্য উম্মু বুর্দা আনুসারিয়াকে ধাত্রী নিযুক্ত করলেন এবং পারিশ্রমিক স্বরূপ তাঁকে এক কিত্তা খেজুর - বাগান দান করলেন। উম্মু বুৰ্দার ঘরেই হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) - এর ইন্তেকাল হয়। সংবাদ পেয়ে হযরত রাসূল (সঃ) হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) - কে সঙ্গে নিয়ে উম্মু বুৰ্দার বাড়ীতে গেলেন। তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন, প্রাণ - প্রতীম ইব্রাহীম (রাঃ) অন্তিম অবস্থায় আছেন, যেন পিতার নিকট হতে শেষ বিদায় গ্রহণের অপেক্ষা করছেন। তিনি তাকে তুলে কোলে নিলেন। তার পবিত্র নয়নযুগল হতে দরদর করে অশ্রুজল প্রবাহিত হতে লাগল। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) বললেন - হুজুর , আপনারও এ - অবস্থা? তিনি বললেন, ইহা রহমত। তিনি আরও বললেন - “ হে প্রিয় ইব্রাহীম, তােমার কারণে আমরা চিন্তিত, নয়নে অশ্রু, অন্তরে দুঃখ, কিন্তু আমরা এমন কোন কথা বলব না যা আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয় "। হযরত ইব্ন আবু আওফ (রাঃ) বলেন, তিনি (হযরত ইব্রাহীম) শৈশবেই পরলােক গমন করেছেন।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

হযরত রাসূল (সঃ) এর পুত্র- হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এর সম্পর্কে কিছু কথাঃ

হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ঃ হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল তৌয়ব ও তাহির হযরত রাসূল (সঃ) এর নবুওয়ত লাভের পর তার জন্ম হয় এবং শৈশবেই তিনি পরলােক গমন করেন। তাঁর মৃত্যু সম্পর্কেই সূরা আল কাওছার অবতীর্ণ হয়। হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) - এর ইন্তেকালের পর তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য কেউ থাকবে না ভেবে একদিন আস ইবন ওয়ালি বলল, মুহাম্মদ (সঃ) পুত্রহীন নির্বংশ। তার নাম লওয়ার জন্যও কেহ থাকবে না। তিনি মরে গেলে তার উৎপাত হতে তােমরা শান্তি লাভ করবে। তখনই সূরা কাওসার অবতীর্ণ করে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি উত্তরে বলে দিলেন- নির্বোধ কাফেরগণ বহু পুত্রের পিতা হওয়ার গৌরবে এবং জনবহুল বংশের অহঙ্কারে মত্ত হয়ে রাসূল (সঃ) - কে এসব কথা বলেছিল। যবুর ও কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সম্বন্ধে কি বলেছেন তা তারা জানত না। পবিত্র যবুরে মুহাম্মদ (সঃ) - এর প্রশংসায় লিখিত হয়েছে, আমি তােমার নাম সমস্ত পুরুষ পরম্পরায় স্মরণ করবাে। এই জাতিরা যুগে যুগে চিরকাল তােমার প্রশংসা করবে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রশংসায় যবুরে অন্যত্র আছে- তার নাম অনন্ত কাল থাকবে ; সূর্যের স্থিতি পর্যন্ত তাঁর নাম সতেজ থাকবে , মানুষেরা তাতে আশীর্বাদ পাবে, সমুদয় জাতি তাকে ধন্য ধন্য বলবে। পবিত্র যবুর ও কুরআনের ঘােষণার ফলে আজ বিশ্ব জগতে হযরত রাসূল (সঃ) - এর সুনাম ও সুখ্যাতি সকলের নিকটই প্রিয়। শক্ৰমিত্র নির্বিশেষে সকলেই তার সুখ্যাতি ও যশকীর্তি গাইতে বাধ্য। অসংখ্য মুসলমান অন্তরে বাহিরে, সুখে দুঃখে, আনন্দে-বিপদে সর্বাবস্থায় আজানে, ইকামতে, তাশাহহুদে, নামাজে, কালিমায় সর্বদা তার পবিত্র নাম স্মরণ করে এবং মুগ্ধ প্রাণে তার যশকীর্তি গাইতে থাকে। আর যারা নিজেদের জনবহুল বংশের অহঙ্কারে মত্ত ছিল, আজ কোথায়ও তাদের নাম শুনতে পাওয়া যায় না।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

হযরত রাসূল (সঃ) এর পুত্র- হযরত কাসিম (রাঃ) এর সম্পর্কে কিছু কথাঃ

হযরত কাসিম (রাঃ)ঃ হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রথম সন্তান ছিলেন হযরত কাসেম (রাঃ)। হযরতের বিয়ের তিন বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হযরত কাসিম (রাঃ) দুই বছর বয়সে পরলােক গমন করেন। তাঁর নাম অনুসারেই হযরত রাসূল (সঃ) - কে আবুল কাসিম বা কাসিমের পিতা বলা হতাে। হযরত রাসূল (সঃ) এই শব্দটি খুব ভালবাসতেন। এ জন্যই সাহাবীগণ অতি ভক্তি ও ভালবাসার সাথে তার কথা উল্লেখ করতে আবুল কাসিম (সঃ) বলতেন।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাটের উসিলায় মৃত বাচ্চা জীবিত হলো-


আশেকা রাসূল মােছাম্মৎ হাওয়া খাতুন, স্বামীঃ আবদুল লতিফ মােল্লা, বনগাঁও, উথুরা, ভালুকা, ময়মনসিংহ। তিনি ২০১৩ ইং সালে মােহাম্মদী ইসলামের তরীকা গ্রহণ করেন। এই তরীকা গ্রহণের পর তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজানের অশেষ দয়ায় অনেক বিপদ - আপদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এমনই একটি ঘটনা আজ উপস্থাপন করা হলাে। মােছা: হাওয়া খাতুনের পুত্রবধূ যখন ৯ মাসের গর্ভবতী তখন তাকে নিয়ে আলট্রাসােনােগ্রাফী করাতে হাসপাতালে নিয়ে যান। আল্টাসােনােগ্রাফী দেখে ডাক্তার বলে বাচ্চার অবস্থান ভাল নয়, ১০ দিনের মধ্যে রােগীকে সিজার করতে হবে এমতাবস্থায় সে মন থেকে সিজারের ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছিল না, তাই মহান মাের্শেদের কাছে আজিজি করতে থাকেন। তিনি যেন সহায় হন। হঠাৎ যখন তার পুত্রবধূর প্রসব বেদনা শুরু হয়, তিনি তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতালের ডাক্তাররা রােগীর অবস্থা দেখে কোন চিকিৎসা দিতে চাচ্ছিল না। তারা হাসপাতাল থেকে তাদের বের করে দেন। তখন তিনি নিরাশার মাঝে একমাত্র আশার আলাে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী মাের্শেদ কেবলাজানের কথা স্মরণ করে কাঁদতে থাকেন আর বলেন, “ওগাে দয়াল দরদী বাবাজান ! আপনি আমার একমাত্র সহায়, আপনি দয়া করুন। ”এইভাবে আজিজি করে তার পুত্রবধূকে নিয়ে হাসপাতালের বাইরে তাদের গাড়ীতে নিয়ে আসেন। গাড়ীতে তার পুত্রবধূ একটি সন্তান প্রসব করে কিন্তু বাচ্চাটি একদম অচেতন কোন সাড়া দিচ্ছিল না, আবার তারা বাচ্চাটিকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। তখন ডাক্তাররা বলে বাচ্চা মৃত। এ বিপদে তিনি বাবাজানবে স্মরণ করে কান্নাকাটি করে একটি মানত করেন। বাচ্চা জন্মের এক ঘন্টা পরে সারাশব্দ করতে থাকে। পরে ডাক্তাররা চিকিৎসা দেন। হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা সবাই অবাক হয়ে যান। মহান মাের্শেদের দয়ায় এভাবেই তিনি কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি লাভ করেন।

দেওয়ানবাগ শরীফে খেদমতের বরকতে অলৌকিকভাবে চাকরি স্থায়ী হয়।


আশেকে রাসূল দলিলুর রহমান, ঢাকাস্থ দনিয়ার শেখদিতে বসবাস করেন। ঘটনাটি ২০০৮ সালের জুন মাসের। তিনি দীর্ঘ পঁচিশ বছর বাংলাদেশ সরকারের পূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগে (ই - এম) ইলেকট্রিশিয়ান তথা বৈদ্যুতিক কারিগর হিসেবে অস্থায়ী চাকরি করে আসছিলেন। তিনিসহ প্রায় দু ’ হাজার লােক এ বিভাগে নিয়মিত চাকরি করছিলেন কিন্তু তাদের কারাের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।অনেকেই বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে, তিনিও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। দীর্ঘ এ সময়ে তাদের কারাের আশাই পূর্ণ হয়নি। এদিকে তিনি যখনই সময় পান, মাের্শেদের দরবার শরীফে খেদমত করেন। অবশেষে তিনি তার মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর উসিলা ধরে মনে মনে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকেন। একদিনের ঘটনা-তিনি পূর্ত ভবনের হেড অফিসে বেতন তুলতে গেলে আল্লাহ্ ও আল্লাহর বন্ধুর দয়া লাভের সুসংবাদ শুনতে পান যে, তার চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে প্রমােশন দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানাে হয়েছে। আগে যেখানে পেনশন পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না, সেখানে চাকরি স্থায়ী হওয়ার ফলে শতভাগ পেনশন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলেন।উপরন্তু ২০% সম্মানী ভাতাও পাবেন। আর কোন বদলির ঝামেলা থাকবে না। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চব্বিশটি পদ নতুন সৃষ্টি করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম একটি পদ ছিলাে বৈদ্যুতিক কারিগরের এ পদ। এ পদের জন্য অনেকে বিভিন্নভাবে তদবির করেছে, কিন্তু আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়ায় পার্থিব কোন তদবির ছাড়া সম্পূর্ণ অলৌকিকভাবে তার এ স্থায়ী চাকরি ও প্রমােশন হয়ে যায়।

বাহরাইনে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের জন্মদিনে ১০ দিনার খরচ করায় ৭০ দিনার প্রাপ্তি।


আশেকে রাসূল অলি আহম্মেদ। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের নিকটে। ঘটনাটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের, তিনি ২০১৪ সালে বাহরাইনে ছিলেন। সেখানে তিনি একটি সেলুনে কাজ করতেন। দোকানটি ছিল বাহরাইনের আশকর এলাকায়। বলতে গেলে দোকানটি ছিল শহর থেকে দূরে একটি গ্রাম্য অঞ্চলে অবস্থিত। এদিকে মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান খুবই নিকটে চলে আসে। বাহরাইনে সকল আশেকে রাসূল ভাইয়েরা মিলে মানামা শহরে মহান মাের্শেদের শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।২২/২৩ ডিসেম্বর দয়াল বাবাজানের শুভ জন্মদিন।পালনের জন্য সবাই শরীক হচ্ছিলেন। কিন্তু ঐ সময় অনুষ্ঠানের শরীকানা দেয়ার মতাে তার হাতে কোন টাকাই ছিল না। সে সময় তিনি আল্লাহ ও তাঁর বন্ধুকে ভালােবেসে তার হাতের মােবাইলটি ১২ দিনারে বিক্রি করে দেন। অতঃপর মহান মাের্শেদের জন্মদিনের মিলাদ মাহফিলে ১০ দিনার দিয়ে শরীক হন। পরের দিনের ঘটনা- প্রতিদিনের মতাে সে তার কর্মস্থলে যায় এবং কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দুপুর একটার দিকে একজন ইরানী কাস্টমার আসেন।দোকানে তারা তিনজন কর্মচারী ছিল। প্রত্যেকেই কাজে ব্যস্ত ছিল, কেবল সে - ই কাস্টমারের অপেক্ষায় ছিল। ফলে সে - ই তার সেভ করে দিলেন। কাজ শেষে তার বিল হয় ৫ দিনার। উল্লেখ্য বাহরাইনের এক দিনার বাংলাদেশি টাকায় ২২০ টাকা। ওদেশে কাজ শেষে বিল দেয়ার সময় লােকেরা ১ / ২ দিনার বখশিশ দিয়ে থাকে। কিন্তু এ লােকটি বিলসহ তাকে ৭০ দিনার প্রদান করেন। সে কাষ্টমারকে বলে - আপনার বিল হয়েছে ৫ দিনার, অথচ আপনি আমাকে ৭০ দিনার দিয়েছেন, মনে হয় আপনার ভুল হয়েছে। জবাবে সে বলে - না, আমি খুশি হয়ে এ দিনার তােমাকে দিয়েছি। দোকানের সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল। আরাে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলাে - এ কাস্টমারকে ইতিপূর্বে তারা যেমন দেখেনি, এ ঘটনার পরেও আর কোন দিন দেখেনি।তার তখন আর বুঝতে বাকী রইল না যে, এটি আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়া। সে তখন উপলব্ধি করে যে, সে যে পথে অর্থ খরচ করেছে, এ পথই আল্লাহ ও তার রাসূলের পথ।

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুরের ওসিলায় বিমান দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ইমরান হাসান।


জনাব ইমরান হাসান, লাল খাঁ, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। তিনি মহান সংস্কারক , মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের মুরীদ সন্তান। কর্মজীবনে তিনি প্রয়ােজনের তাগিদে দেশে বিদেশে সফর করেন। যখনই সফরে যান তখনই বিপদ আপদে সর্বদা তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে স্মরণ করেন এবং আল্লাহর বন্ধুর উসিলায় বিপদ থেকে তিনি মুক্তি লাভ করে থাকেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ইং কোরিয়ার সিউল থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিমানে তার নির্দিষ্ট আসনে বসেছেন। তখনই তার মনে আজানা ভয় হচ্ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বিমান আকাশে উড্ডয়ন করার পর প্রায় ৯ হাজার ৬ শত উপরে উঠলে, সমস্ত যাত্রী আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পাইলট সবাইকে সতর্ক করে প্রভুর নাম স্মরণ করতে অনুরােধ করেন। এসময় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বিমানটি কাঁপতে থাকে। তখন ইমরান হাসান ভাবছেন তাদের বিমানটি নির্ঘাত বিধ্বস্ত হয়ে ভূমিতে পড়ে যাবে। আড়াইশ যাত্রী মারা যাবে। তখন তিনি তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে স্মরণ করে অঝােরে কাঁদতে থাকেন, আর আশু বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আজিজি করতে থাকেন। ইমরান হাসান তাদের এ চরম বিপদে দেখেতে পেলেন তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেব্‌লা সশরীরে বিমানের অভ্যন্তরে হাজির হয়েছেন এবং সমস্ত যাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলছেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আল্লাহর নাম স্মরণ করুন। ইমরান হাসানের কাছে এসে হাসতে হাসতে বলছেন, যার মাের্শেদ যুগের ইমাম তার কোন ভয় নেই। তােমার বিপদ কেটে যাবে পরে মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বেরিয়ে আসে। বিমানটি ঢাকা বিমান বন্দরে সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ করে। বাংলাদেশের মাটিতে নেমে যাত্রীরা হাফ ছেড়ে বাঁচে। আত্মীয় - স্বজনকে জড়িয়ে ধরে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে ইমরান হাসান দেওয়ানবাগ শরীফে পৌছে স্বীয় মাের্শেদের কদম মােবারক ধরে ক্ষমা চান এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘটনা বর্ণনা করেন। আল্লাহুর বন্ধু সূফী সম্রাট হুজুর কেব্‌লার উসিলায় ইমরান হাসান এ বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে নবজীবন লাভ করলেন। মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজান আল্লাহর মনােনীত প্রতিনিধি। যিনি বর্তমান জামানার মুক্তিকামী মানুষের হেদায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভক্ত অনুসারীরা বিপদে পড়ে তাকে স্মরণ করলে, মহান আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করে থাকেন। মহান আল্লাহর বন্ধুর পরিচয় যেন মুক্তিকামী মানুষ সহজেই লাভ করতে পারে , আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক এনায়েত করুন ।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কথার বরকতে ৬০ বছরের বিরান ভূমিতে বাম্পার ফসল হলো।


আশেকে রাসূল রফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলায় বসবাস করেন। তার জেলার একটি গ্রামের নাম পাঁচফোড়া। ঐ গ্রামে সাত বিঘা জমির বিশাল একটি জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল সুদীর্ঘ ষাট বছর এখানে কোন ফসল হয়নি। উপরন্ত এ বিরান ভূমিতে কেউ ফসলের চাষ করলে তাদের গৃহপালিত গবাদি পশু মরে যেত। এমনকি চাষীরা অসুস্থ হয়ে পড়ত অথবা তাদের পরিবার পরিজনের কেউ কেউ দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ত, যা কখনাে ভাল হতাে না। এ ঘটনাটি তাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে চলে আসছে। বিষয়টি তাদের সবাইকে ভাবিয়ে তােলে। অবশেষে ঘটনাটি তিনি তার মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে অবহিত করে এ সমস্যার সমাধান প্রার্থনা করেন। মহান মাের্শেদ দয়া করে তার সকল কথা শুনলেন, অতঃপর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথনির্দেশনা দেন যে, আপনার এ এলাকায় একটি খানকাহ শরীফ নির্মাণ করেন। অতঃপর আমাদের মােহাম্মদী ইসলামের অনুসারী আশেকে রাসূল জাকেরদের দ্বারা ঐ জমি চাষ করানাের ব্যবস্থা করেন। মহান মাের্শেদের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কতিপয় আশেকে রাসূল ঐ গ্রামে যান এবং চাষাবাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমেই তারা সেখানে তরমুজের চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেচ দিতে গিয়ে তারা সমস্যায় পড়ে যান। অতঃপর আল্লাহর অলৌকিক সাহায্য লাভের আশায় মহান মাের্শেদের দরবার শরীফে এক হাজার টাকা মানত করেন। আর মানত করার সাথে সাথে আকাশ অন্ধকার করে মেঘ আসে এবং মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এভাবে পরম করুণাময় আল্লাহ্ বৃষ্টির মাধ্যমে সেচ সমস্যার সমাধান করে দেন। এদিকে তরমুজের চারা লাগানাে শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ে তরমুজ ধরা শুরু করে। দীর্ঘ ষাট বছরের পরিত্যক্ত জমিতে যখন তরমুজের ফলন হওয়া শুরু করে, তখন সমগ্র গ্রাম জুড়ে আনন্দের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে ভালাে ফলনের আশায় তিনি দরবার শরীফে একশ একটি তরমুজ মানত করেন। একদিন হঠাৎ করেই প্রচণ্ড শিল্লাবৃষ্টি শুরু হয়। অত্র গ্রামের শত শত বিঘা জমির তরমুজের ফলন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মহান মাের্শেদের বরকতে মহান আল্লাহ অলৌকিকভাবে তাদের চাষ করা ফসল রক্ষা করেন। এমনকি একটি তরমুজও নষ্ট হয়নি। বরং বৃষ্টির পরে তরমুজ খেতের চেহারাই পাল্টে যায়। যেখানে ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছিল, সেখানে ফলাফল বিপরীত হলাে। তখন সুবিশাল এ গ্রামের মধ্যে একমাত্র এ জমিনেই তরুমুজের বাম্পার ফলন হয়। অতঃপর তিনি মানত আদায় করেন এবং মহান মাের্শেদের বরকতে সােয়া লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর জমিতে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ চাষ হয়।এভাবে মহান রাব্বুল আলামীন তার অলী বন্ধুর বরকতে তাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর এরূপ দয়া দেখে তাদের হৃদয় কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে।

আশেকে রাসূল (সঃ) মিলাদ মাহফিলে- ১২০০ লোকের খাবার খেল ২৫০০ জন লোক।


আশেকে রাসুল দানেস ইবনে আলীমুদ্দিন, ঢাকা জেলার দোহারের অধিবাসী। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের ঘটনা। তিনি দেওয়ানবাগ শরীফে আয়ােজিত বাৎসরিক বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনের প্রচার ও দাওয়াতকল্পে এলাকায় আশেকে রাসূল (সঃ) মিলাদ মাহফিলের আয়ােজন করেছিলেন।তিনি এক হাজার থেকে বারােশ' মানুষ খেতে পারে এ পরিমাণ তাবারুক রান্না করেন। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামীনের অপার দয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য লােক স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশ্বনবী হযরত রাসূল (সঃ) - এর শানে আয়ােজিত এ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে। বাদ এশা প্রধান বক্তা মঞ্চে আসলে পুরুষ প্যান্ডেল ও মহিলা প্যান্ডেল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তখন গণনা করে দেখেন প্রায় দু হাজার পাঁচশ ’ লােকের সমাগম হয়ে গেছে। তিনি তখন বিপাকে পড়ে যান। হাজার-বারােশ' লােকের তাবারুক দিয়ে আড়াই হাজার লােককে কিভাবে খাওয়াবেন? এ চরম বিপদে মােরাকাবায় বসে তিনি তার মহান মুর্শেদের উসিলা ধরে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেন। মুর্শেদের উসিলা ধরে সাহায্য চাওয়ায় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাবারুকে বরকত আসে।অতঃপর নির্ধারিত সময়ে তাবারুক বিতরণ শুরু করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, মাহফিলে উপস্থিত আড়াই হাজার লােকে তৃপ্তির সাথে আহার করার পরও অনেক তাবারুক বেঁচে যায়, যা আরাে প্রায় দেড়শ, লােকে আহার করতে পারতাে। এভাবেই সেদিন তারা আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর অবারিত বরকত প্রত্যক্ষ করেছিলেন। হযরত রাসূল (সঃ) - এর বরকতের ধর্ম মােহাম্মদী ইসলাম দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে এ ঘটনার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কি আমানত দিয়েছেন?


মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জগতে সাগর-মহাসাগর পাহাড়-পর্বত, গ্রহ-নক্ষত্র, সৌরজগত এবং মানুষসহ অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। মহান দয়াময় আল্লাহ তায়ালা তার এ সমগ্র সৃষ্টির মাঝে 'আশরাফুল মাখলুকাত' বা হিসেবে মানুষকেই স্থান দিয়েছেন। আর এই মানুষকেই একটি 'আমানত' দান করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এ 'আমানত' অন্যান্য সৃষ্টিকে দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন, কিন্তু তারা কেউ ভয়ে গ্রহণ করেনি।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেনঃ (ইন্না আরাদনাল আমানাতা আলাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াল জিবালি ফাআবাইনা আইইয়াহ মিলনাহা ওয়া আশফাকনা মিনহা ওয়া হামালাহাল ইনসানু ইন্নাহু কানা জালু জাহুলা।)

অর্থাৎঃ "আমি আসমান, জমিন ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত পেশ করেছিলাম, তারা তা বহন করতে অস্বীকার করল এবং তাতে শঙ্কিত হল, কিন্তু মানুষ তা বহন ; সে কত যালিম, অজ্ঞ"। (সূরা আল্ আহযাব- অায়াত ৭২)।

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পবিত্র এ আমানত মানুষ গ্রহণ করেছে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের জন্য এ আমানত কোনটি? যার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অজ্ঞ বলেছেন। তাফসীরকারকগণ আমানতের ব্যাখায় ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ বলছেন আমানত হলো ঈমান, কেউ বলছেন শরীয়ত, কেউবা আবার কোরআনকে বুঝাচ্ছেন।

সমস্যা হচ্ছে, তাফসীরকারক বা আলেম সমাজ এ তিনটি মতবাদের মধ্যে যার যার পছন্দের মতবাদ নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করেন। এতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পড়েন বিপাকে। সত্যিকার অর্থে আমানত কি ঈমান? যদি আমানত ঈমান হতো, তবে পৃথিবীতে সবাই ঈমানদার থাকতো কেউ বেইমান বা কাফের থাকতো না। তার মানে ঈমান কখনো আমানত নয়। সুতরাং এ ব্যাখ্যা সঠিক নয়।

যদি আমানত বলতে কোরআনকে বোঝানো হয় তবে জগতের সকল মানুষের কাছে কোরআন আসেনি। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর পূর্ববর্তী কোন নবী রাসূলের উম্মত কোরআন পায়নি। কিন্ত আল্লাহ এখানে জগতের সকল মানুষের কথা বলেছেন। সুতরাং কোরআনও আমানত হতে পারে না।

আবার আমানত যদি শরীয়ত হয় তবেও সমস্যা কেননা সকল নবীর শরীয়ত এক নয়। একেক নবীর শয়ীয়ত একেক রকম। তার মানে শরীয়তও আমানত নয়।

মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বলেনঃ মূলত আমানত হচ্ছে রুহ। কেননা, মহান আল্লাহ তায়ালা এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেনঃ ওয়া নাফাকতু ফিহি মির রুহি (সূরা আল হিজর, আয়াত-১৫)। অর্থাৎঃ আমার রুহ থেকে রুহ আদমের ভিতরে ফুকে দিলাম। (সূরা হিজর আয়াত-১৫)

এখানে লক্ষনীয় যে, প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে প্রাণ আছে। শুধুমাত্র আদম সন্তান তথা মানুষের মধ্যেই রুহু আছে। প্রাণ আর রুহ এক জিনিস নয়। প্রাণের জন্ম পিতার শুক্রকিট হতে। আর রুহ আলমে আরওয়াহ হতে আগত। প্রতিটি প্রাণীর মাঝে নফস বা প্রাণ আছে। আর মানুষের মাঝে নফস ও রুহ দুটোই আছে। আর রুহুই আল্লাহর বিশেষ দান বা আমানত। যা প্রতিটি মানুষের মাঝেই বিদ্যমান।

জাগতিক কাজ-কর্মে রুহুকে কলুষিত না করে, তাকে পাক পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর কাছে সমর্পণ করা আমানতের উত্তম প্রতিদান হবে।