('মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' পুস্তকে অত্যন্ত মূল্যবান অভিমত দিলেন মেজর জেনারেল (অবঃ) এম অাজিজুর রহমান বীর উত্তম। নিচে তা হুবুহু তুলে ধরা হলো।)
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রখ্যাত ধর্মীয় ও অাধ্যাত্মিক নেতা সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ঘটনাবলীকে নিয়ে রচিত 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' গ্রন্থটি পাঠ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থের লেখকগণকে এক এক দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখতে দেখেছি। কিন্তু এ গ্রন্থে দেওয়ানবাগী হুজুরের অনবদ্য অবদানের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে পটভূমি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয় পযর্ন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহকে সামগ্রিকভাবে অতি সংক্ষেপে প্রান্জল ভাষায় অনেক দূর্লভ ছবিসহ এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পাঠক মাত্রই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অভ্যূদয় সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সর্বোপরি একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। এদেশের আলেম সমাজ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, তখন তিনি দেশ ও জাতিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য সহপাঠীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমার জানা মতে হয়তো তিনিই একমাত্র আলেম বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি স্বাধীনতা লাভের পর হতে এখন পর্যন্ত তিনি মানুষের ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে ও জাতীয় জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট রয়েছেন। মানবতাবাদী এই মহামানবের অসাধারণ চারিত্রিক গুনাবলীকে এক কথায় অনবদ্য বলা যায়। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। সেই সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতিকে জানানোর জন্য 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' গ্রন্থটির বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।
এম আজিজুর রহমান- বীর উত্তম