আশুরা শব্দের অর্থ হচ্ছে দশম। ইসলামী ইতিহাসে মহররম মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়।
অাশুরার গুরুত্ব অত্যধিক। এ দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা আরশ, কুরছি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টির পর মহান প্রভূ হিসেবে আরশে অধিষ্ঠিত হন। এ দিনটি মহান রাব্বুল আলামিন সহ সকল সৃষ্টির জন্য আনন্দময়। এই আরশে সমাসীন হওয়ার আনন্দকে কেন্দ্র করে এ দিনকে মহান আল্লাহ তায়ালা বরকতময় করেছন।
এদিনে হযরত আদম (অাঃ) কে সৃষ্টি করা হয়। এদিনে তাকে প্রতিনিধি করে দুনিয়াতে পেরণ করা হয়।
এদিনে হযরত নুহ (আঃ) এর নৌকা মহাপ্লাবনের পর জুদি পাহাড়ের নিকট ভিড়েছিল।
এদিনে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ভূমিষ্ঠ হন। এদিনে তিনি নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্ত হন ও খলিলুল্লাহ উপাধি পান।
এদিনে হযরত আইয়ুব (আঃ) রোগমুক্ত হন।
এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন।
এদিনে হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা পেয়েছিলেন।
এদিনে হযরত সোলায়মান (আঃ) তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।
এদিনে হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
এদিনে হযরত ইয়াকুব (আঃ) হারানো পুত্র ইউসুফ (আঃ) কে ফিরে পেয়েছিলেন।
এদিনে ফেরাউনে স্ত্রী বিবি আছিয়া শিশু মুসা (আঃ) কে গ্রহণ করেছিলেন।
এদিনে সর্বপ্রথম বৃষ্টি ও রহমত বর্ষিত হয়েছে।
এদিনে হযরত রাসূল (সঃ) মদিনায় পৌছেছিলেন।
এদিনে কারবালায় এজিদ বাহিনী কাছে নবী পরিবারের ৭২ জন মাথা নত না করে মিথ্যার কাছে সত্যের জয় হয়।
এদিনে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর বিশ্বময় মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও বহুমুখী কারণে আশুরা দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।