Translate

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর "গর্বিত পিতা" ও সৈয়দা হামিদা (রহঃ) "রত্নগর্ভা মাতা" সম্মাননায় ভূষিত ।

গত ১৮ অক্টোবর ২০১৮ রোজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থানার অন্তর্গত আরামবাগ হাই স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে মতিঝিল থানা আশেকে রাসূল (সঃ) পরিষদের উদ্দেগ্যে এক বিশাল সংবধর্ণা ও স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান ও কুতুবুল আকতাব সৈয়দা হামিদা বেগম (রহঃ) এর ৩ জন সাহেবজাদী ও ৪ জন সাহেবজাদা পর্যায়ক্রকেম বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি হতে ধর্ম বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করে প্রত্যেকে স্ব-স্ব ইউনিভার্সিটি হতে 'ফিলোসপি অব ডক্টরেট' পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সাত সন্তানের এ অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বীকৃতি সরূপ তাদের প্রত্যেকে বিশেষ সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তাদের এ অভূতপূর্ব সাফল্যের পিছনে পথপ্রদর্শক, দিকনির্দেশনা দাতা ও অনুপ্রেরণাদানকারী হিসেবে সফল পিতা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর ও মাতা হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহঃ) কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এ মহতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি জনাব মোঃ ফারুক (এম. ফারুক), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার ও আরামবাগ এলাকার কৃতী সন্তান সাবেক সাংসদ আব্দুর রহিম। এছাড়া অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব, পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আলেম ওলামা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সহস্রাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- গাছের হাটা


একদিন একজন আরব পৌত্তলিক হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকট এসে বলল - আপনি যে সত্যিই আল্লাহর নবী, যদি এর উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেন, তবে আমি ইসলাম গ্রহণ করব।

হযরত রাসূল (সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি প্রমাণ দেখতে চাও? সে বলল - ঐ যে দূরে একটা গাছ দেখা যাচ্ছে, ঐ গাছটি যদি আপনার নবুয়তের সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে আমি ইসলাম গ্রহণ করবো।

হযরত রাসূল (সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি প্রমাণ দেখতে চাও? সে বলল- ঐ যে দূরে একটা গাছ দেখা যাচ্ছে, ঐ গাছটি যদি আপনার নবুয়তের সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে আমি আপনাকে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করবো।
হযরত রাসূল (সঃ) বললেন, তুমি ঐ গাছের নিকট গিয়ে বলো যে, হে গাছ! আল্লাহর নবী তোমাকে ডেকেছেন। লোকটি সত্যিই সেই গাছের নিকট গিয়ে ঐ কথা বলা মাত্র গাছটি একদিকে ঝুকে পড়ল। ফলে এর একদিকের শিকড়গুলি পৃথক হয়ে গেল। তৎপর গাছটি সোজা হয়ে পুনরায় বিপরীত দিকে ঝুকে পড়ল, তাতে এর অপরদিকের শিকড়গুলিও পৃথক হয়ে গেল। অতঃপর গাছটি আপনা আপনি চলে এসে হযরত রাসূল (সঃ) এর পায়ের উপর সিজদা করলো।


সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা

বিঃ দ্রঃ প্রতিকী ছবি।

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- বীরের পরাজয়।


আরবের একজন শক্তিশালী বীরপুরুষ ছিল রোকনা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে এত অধিক শক্তি প্রদান করেছিলেন যে, যদি একশত লোক একত্রিত হয়ে তার একখানা পা ধরে টানাটানি করত, তথাপি তাকে একটুও সরাতে পারত না। দশজন লোক ধরে যে পাথর উত্তোলন করতে সক্ষম হতো না, সে বাম হাত দিয়ে তা উঠিয়ে দূরে ছুড়ে মারত। বিশাল বিশাল গাছ সে টান দিয়ে উপরিয়ে ফেলত।

একদিন উক্ত বীর রোকনা মাঠের মধ্যে উট চরাচ্ছিল। এমন সময় হযরত রাসূল (সঃ) সেখান দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে দেখে রোকনা গর্ব করে বলল, হে মুহাম্মদ! তুমি তো আমাদের দেব দেবীদেরকে নিন্দা করে থাকো। আজ আসো, কার আল্লাহর কতদূর ক্ষমতা, তা পরীক্ষা করে দেখা যাক। তুমি তোমার আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থণা করো। আর আমি আমার দেবতার কাছে সাহায্য প্রাথর্ণা করি। তারপর আমরা উভয়েই কুস্তি লড়বো। যদি আমি পরাজিত হই, তবে তোমার ধর্ম গ্রহণ করবো। আর যদি তুমি পরাজিত হও, তবে হয় আমার ধর্ম গ্রহণ করবে, অন্যথায় তোমাকে হত্যা করবো।

রোকনা এই কথা বলে হযরত রাসূল (সঃ) এর সম্মতির অপেক্ষা না করেই তাকে ভীষণভাবে আক্রমণ করলো। কিন্তু সে তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও হযরত রাসূল (সঃ) কে নিদিষ্ট স্থান থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণও সরাতে পারল না।
অনেকক্ষণ পযর্ন্ত সে টানাটানি করার পর লজ্জিত হয়ে বলল- হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমি বুঝতে পেরেছি যে, আপনার আল্লাহই সর্বশক্তিমান এবং আপনি আল্লাহর সত্য নবী। আমি জানি যে, খোদায়ী শক্তি না থাকলে সমগ্র আরবে এমন কোন বীর পুরুষ নেই যে, আমার টানে সে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারে। দয়া করে আপনি আপনার পবিত্র হাত বাড়িয়ে দিন- আমি আপনার হাতে হাত রেখে এখনই ইসলাম গ্রহণ করছি। অতঃ পর রোকনা তখনই ইসলাম গ্রহণ করল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা

বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- খুটির কান্না থামানো।


মসজিদে নববীতে মিম্বর তৈরী হওয়ার পূর্বে হযরত রাসূল (সঃ) খেজুর গাছের একটা শুষ্ক খুটিতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে খুতবা পাঠ করতেন। কিছুদিন পর মসজিদে মিম্বর নির্মিত হলে, তিনি সেই খুটি পরিত্যাগ করে মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করতে থাকেন। তখন হযরত রাসূল (সঃ) এর বিচ্ছেদ জনিত ব্যথায় ঐ খুটি হতে করুণ সুরে ক্রন্দন ধ্বনি হতে থাকে।

হযরত রাসূল (সঃ) ক্রন্দনের কারণ বুঝতে পেরে খুটির গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন ও চুম্বন প্রদান করলেন। তৎক্ষণাৎ তার ক্রন্দন বন্ধ হয়ে গেল। মসজিদে নববীর ঐ থাম্বাটির নাম ছিল ' উস্তনায়ে হান্নানা'।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- ভবিষ্যতবাণীর সত্যতা।


একদা হযরত রাসূল (সঃ) জেহাদে যোগদানকারী একজন গাজীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এ লোকটি দোযখবাসীদের মধ্যে একজন। সাহাবাগণ একথা শুনে অত্যন্ত বিস্মিত হলেন। কারণ তারা সকলেই তাকে পরম পূন্যবান বলে জানতেন।

এর কিছুদিন পর সে লোকটা আত্নহত্যা করে মৃত্যুবরণ করলো। আর এই কথা সর্বজন বিদিত যে, আত্নহত্যাকারী ব্যক্তি কখনই জান্নাতি হবে না। ফলে হযরত রাসূল (সঃ) এর মন্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হলো।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- চোখ পুনঃস্থাপন।


ওহুদের যুদ্ধের সময় অস্ত্রের আঘাতে একজন মুসলিম সৈনিকের চক্ষু মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। হযরত রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখনই তার সেই চক্ষু মাটি হতে উঠিয়ে যথাস্থানে বসিয়ে দিলেন। চক্ষুটি সম্পূর্ণরূপে লেগে গেল এবং নিরাময় হয়ে গেল। অতঃপর তার চোখে কোন ব্যথা হয়নি এবং চিরজীবন সম্পূর্ন সুস্থ ও উহা উজ্জ্বল ছিল। (আবু নাঈম, বায়হাকী শরীফ)

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবন কথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- অশ্বের পা মাটিতে প্রোথিত


হযরত রাসূল (সঃ) হিজরতের উদ্দেশ্যে যখন মদীনা অভিমুখে রওনা হন, তখন কুরায়েশ কাফেরগণ তাকে ধরার জন্য চতুর্দিকে অশ্বারোহী প্রেরণ করে। হযরত রাসূল (সঃ) এর গতিপথ দেখে সোরাকা ইবনে মালেক তার অশ্বকে সেদিকে ধাবিত করল।

কিন্তু সোরাকা নবীজীর নিকটবর্তী হতে না হতেই মাটি তার অশ্বের পা অাটকে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে তার অশ্বের পা মাটিতে প্রোথিত হয়ে গেল। সে নিরূপায় হয়ে অবশেষে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে আশ্রয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাহমাতাল্লিল আলামিন তাকে ক্ষমা করলেন। সে বিপদ হতে মুক্তি পেয়ে তখনই হযরত রাসূল (সঃ) এর কাছে ইসলাম গ্রহণ করল।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃ দ্রঃ প্রতিকী ছবি

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- আকাশের চাঁদকে দিখন্ডিত করা।


হযরত রাসূল (সঃ) এর নবুয়তের কথা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর নানান দেশে হতে দলে দলে লোক এসে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে লাগল। সে সময় পারস্য দেশ হতে একদল ইহুদী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করার জন্য মক্কায় আগমন করলো।

পথিমধ্যে আবু জেহেলের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হলো। সে জিজ্ঞাসা করল- তোমরা কোথায় যাচ্ছ? তারা উত্তর করল - আমরা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আবু জেহেল বলল- মুহাম্মদ যে সত্যিই আল্লাহর নবী ভালভাবে তার প্রমাণ না নিয়ে তোমরা হঠাৎ কিছু করো না।

তারা জিজ্ঞেস করলো- আমরা কিভাবে তা বুঝতে পারবো?
আবু জেহেল বলল- চলো আমিও তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছি, যা করতে হয় তা আমিই করব।
অতঃপর লোকগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আবু জেহেল হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকটে এসে বলল- হে মুহাম্মদ। তুমি তো আমাদের দেব দেবীকে নিন্দা করো। আর বলে থাকো যে, তুমিই আল্লাহর নবী! আজ যদি তার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারো তবে এই তলোয়ার দিয়ে তোমার গর্দান দ্বি-খন্ডিত করে ফেলব।
হযরত রাসূল (সঃ) আবু জেহেলের কথায় ভীত বা রাগান্বিত না হয়ে বেশ ধীরে সুস্থেই বলল- বল! তোমরা কি প্রমাণ দেখতে চাও?
তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল এবং আকাশে সবেমাত্র পূর্ণিমার চাঁদ উদয় হয়েছিল। হঠাৎ আকাশের দিকে আবু জেহেলের দৃষ্টিপাত হওয়ার সে বলল- তুমি যদি আকাশের ঐ চাঁদটিকে দ্বিখন্ডিত করে দেখাতে পার। তবেই বিশ্বাস করব যে, তুমি সত্যিই আল্লাহর নবী। হযরত রাসূল (সঃ) স্বীয় শাহাদাত অঙ্গুলি উঠিয়ে চাঁদের দিকে ইশারা করে বললেন, "হে চাঁদ! তুমি দ্বিখন্ডিত হয়ে যাও"। সাথে সাথে চাঁদ ঠিক মাঝখানে দুই ভাগ হয়ে দুদিকে সরে গেল। সকলেই এই দৃশ্য বিষ্ময়ের সাথে তাকিয়ে দেখল- আকাশের চাঁদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুদিকে সরে গেছে।

কিছুক্ষণ পর আবু জেহেল পুনরায় বলল- হে মুহাম্মদ! চাঁদকে আদেশ কর, সে পুনরায় একত্রিত হয়ে যাক।
হযরত রাসূল (সঃ) পুনরায় শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা চাঁদের দিকে ইশারা করা মাত্র তা একত্রিত হয়ে গেল।

এই আশ্চর্য ব্যাপার দেখে উপস্থিত সকলেই তাকে সত্যনবী বলে বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহণ করল। কিন্তু পাপিষ্ঠ আবু জেহেল ঈমান আনল না। সে বলল - এবারে মুহাম্মদ উপস্থিত লোকের প্রত্যেকের চক্ষুর উপরে তার যাদু খাটিয়েছে - সত্যিই মুহাম্মদ একজন পাকা যাদুকর।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- পাথরের ভিতর ময়ূর।


একবার আবু জেহেল বলল- হে মুহাম্মদ! আমার ঘরে একখানা বড় পাথর আছে। তুমি যদি তা হতে একটি জীবিত ময়ূর বের করতে পার, তবে বিশ্বাস করবো যে, সত্যিই তুমি আল্লাহর নবী।
আসলে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি ঈমান আনার ইচ্ছা আবু জেহেলের কোন দিনই ছিল না। সে শুধু হুজুর (সঃ) কে অপমান অপদস্থ করার উদ্দেশ্যেই এক এক সময় অসম্ভব কাজের কথা বলতো। অার যখনই তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করতেন। তখনই সে বলতো, মুহাম্মদ (সঃ) একজন পাকা যাদুকর। আবু জেহেলের কথামত হযরত রাসূল (সঃ) তার বাড়িতে গিয়ে সে পাথরটি দেখলেন। তারপর দু'হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করার পর, যে মাত্র তার হাতের ছড়ি দিয়ে পাথরটির ওপর আঘাত করলেন, তৎক্ষনাৎ উহার ভিতর হতে একটি সুন্দর জীবিত ময়ূর বের হয়ে নাচতে লাগলো। এই আশ্চর্য ঘটনা দেখেও পাপীষ্ঠ আবু জেহেল ঈমান আনেনি।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
ছবি প্রতীকী

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- গাছের অাঘাত


একদা হযরত রাসূল (সঃ) কুরায়েশদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে মক্কার বাইরে কোন এক নির্জন স্থানে গিয়ে গাছের ছায়ায় শয়ন করলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন। এমন সময় জনৈক কুরাইশ তাকে সে স্থানে একাকী নিদ্রিত দেখে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে চুপি চুপি সেই গাছের নিচে গিয়ে গাছের শাখা হতে হযরত রাসূল (সঃ) এর ঝুলানো তলোয়ার খানা খুলতে উদ্দ্যত হলো। এমন সময়ে আল্লাহর কুদরতে গাছের একটি শাখা প্রসারিত হয়ে লোকটির মাথায় এমন একটি অাঘাত করল যে, তৎক্ষনাৎ তার মস্তক চূর্ণ হয়ে মগজ বের হয়ে গেল। লোকটি সেখানেই মৃত্যু মুখে পতিত হলো।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
ছবি প্রতীকী

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- হুবাল মূর্তির জীবন্ত হওয়া ও সাক্ষ্যদান।


একবার ইয়ামেন হতে বার হাজার লোক মক্কায় হজ্জ্ব করতে এসেছিলেন। তারা তাদের উপাস্য হুবাল নামক বিরাট পাথরের মূর্তিটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। উক্ত হুবাল দেবতার মূর্তির সর্বাঙ্গ স্বর্ণের দ্বারা মন্ডিত ও বহু মূল্যবান বর্মে সজ্জিত ছিল। তারা সকলেই সেই মূর্তিটিকে সিজদাহ করত ও তাঁর সম্মুখে দাড়িয়ে প্রার্থনা করত।
হযরত রাসূল (সঃ) তাদেরকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে সত্য ধর্ম গ্রহণ করতে বললে তাদের দলপতি বলল যে, আপনি যে সত্যই আল্লাহর নবী তার প্রমাণ কি? হযরত রাসূলে করীম (সঃ) বললেন- তোমাদের ঐ দেবমূর্তি যদি আমার নবুয়ত সম্বন্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে কি তোমরা আমাকে আল্লাহর নবী বলে বিশ্বাস করবে? তারা সকলেই বললেন- তাহলে তো কোন কথাই নাই- আমাদের দেবতাই যদি আপনাকে নবী বলে স্বীকার করে, তবে আমরা নবী বলে স্বীকার করব না কেন?
তখন হযরত রাসূল (সঃ) হুবাল নামক মূর্তিটিকে তার কাছে ডাকলেন। তার আহবানে মূর্তিটি আসলে তিনি মূর্তিটির দিকে নিজের হাতের ছড়ি উঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- বল আমি কে? হুবাল তৎক্ষনাৎ উত্তর করলো- "আন্তা রাসূলুল্লাহ, ওয়া আনা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।" আপনি আল্লাহর রাসূল এবং আমি সাক্ষী দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। আরো সাক্ষী দিচ্ছি মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল।
হযরত রাসূল (সঃ) পুনরায় প্রশ্ন করলেন- তুমি কে? হুবাল উত্তর করল- আমি পাথর ব্যতিত অন্য কিছুই নই। তারা যে আমাকে তাদের মাবুদ বলে পূজা করে এটা তাদের মারাত্মক ভুল।
পৌত্তলিকগণ তাদের দেবতার মুখে একথা শুনে তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং সেই দিন বার হাজার পৌত্তলিক ইসলাম গ্রহণ করেন।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি