Translate

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

মিলাদের বরকতে অলৌকিকভাবে সাধারণ পানি ডাবের পানিতে পরিণত হলো।

আশেকে রাসূল মুন্না, বিবাড়িয়া জেলায় বসবাস করেন। ঘটনার দিনটি ছিল পহেলা রমজান। তিনি তার বাসায় ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। তিনি তার মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার সুমহান শিক্ষা অনুযায়ী ইফতারী সামনে রেখে সবাইকে নিয়ে মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠের ব্যবস্থা করেন। সে তার সাধ্যমত ইফতার সামগ্রীর আয়োজন করেছিল। তবে তার মনে একটু আক্ষেপ ছিল এই যে, ইফতারে মেহমানদের জন্য কোন সরবতের ব্যবস্থা করতে পারেনি। সবার সামনেই সাধারণ পানি দেয়া হয়েছে। মনে মনে ভাবছিল হায়রে! রাসূলের মিলাদের অনুষ্ঠানে যদও একটু চিনি ও লেবু দিয়ে সরবত বানিয়ে দিতে পারতাম, তবে রোজাদারদের দেহমন তৃপ্ত হত। যাই হোক মিলাদ শেষ হলো। ইফতারেরও সময় হলো সবাই সাধারণ পানি মুখে দিল। কিন্তু আশেকে রাসূল আলম ভাই গ্লাসের পানি শেষ করে বলল - মুন্না ভাই, আমাকে আরও একটু ডাবের পানি দিন তো। তিনি অবাক হয়ে গেলেন! সাধারণ পানি ডাবের পানিতে রূপান্তর হলো কিভাবে? আমি বললাম -ভাই, আমাকে লজ্জা দেবেন না, আমি তো ডাবের পানি দূরের কথা, কোন শরবতই করতে পারিনি। তার এ কথা শুনে একে একে সবাই বলতে লাগল, কি ভাই! আমাদের চমকে দেওয়ার জন্য ডাবের পানির ব্যবস্থা করেছেন নাকি? ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সবাই বলছে, আমরা তো অতীব সুস্বাদু ডাবের পানি পান করেছি। অতঃপর তিনি নিজেই তা পান করলেন, তার পরিবারের সবাই পান করলো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তা ছিল ডাবের পানি। তখন আর বুঝতে বাকী রইল না, নিঃসন্দেহে পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন তার রাসূলের মিলাদের বরকতে সাধারণ পানিকে ডাবের পানিতে পরিণত করে ইফতারে শরবতের ব্যবস্থা করেছেন। পরিশেষে সবাই এ অলৌকিক ডাবের পানি তৃপ্তির সাথে পান করেন। তারপরও কয়েক জগ ডাবের পানি উদ্বৃত্ত থাকে। যা তারা এক সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করেন।

সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ

প্রতি সোমবার কেন আবু লাহাবের কবরের আজাব মাফ করা হয়?

আমরা অনেকেই কাট্টা কাফের আবু লাহাবের নাম শুনেছি। সে হযরত রাসূল (সঃ) এর আপন চাচা ছিল। সে ইসলামের অন্যতম শত্রু ছিল। পবিত্র কোরআনে তাকে অভিশাপ দিয়ে আল্লাহ সূরা নাজিল করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ

*ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।

*তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না।

*অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে,

*আর তার স্ত্রীও- যে কাঠবহনকারিণী (যে কাঁটার সাহায্যে নবী-কে কষ্ট দিত এবং একজনের কথা অন্যজনকে ব’লে পারস্পরিক বিবাদের আগুন জ্বালাত)।

*আর (দুনিয়াতে তার বহনকৃত কাঠ-খড়ির পরিবর্তে জাহান্নামে) তার গলায় শক্ত পাকানো রশি বাঁধা থাকবে।

এই আবু লাহাবের দূনিয়াতে যত দিন বাচা ছিল ততদিন নবীজীর বিরোধিতা করছেন। অথচ অাশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতি সোমবার দিন তার কবরের আজাব মাফ হয়। তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী দিয়ে একপ্রকার রসালো মিষ্ট পদার্থ বের হয় এবং তা দিয়ে সে পুরো সপ্তাহের তৃষ্ণা মেটায়। কিন্তু আল্লাহ তাকে অভিশাপ দেয়ার পরও কেন তার সাথে এমন দয়া করছেন। ঘটনাটি ছিল এমনঃ

হযরত রাসূল (সঃ) যখন তার মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করেন তখন সবার আগে এই সুসংবাদ টি নিয়ে সোয়াইবা নামক দাসী তার কাছে গিয়ে বলেন, আপনার মৃত ভাই হযরত আব্দুল্লাহ (আঃ) এর উত্তরসূরী হয়ে হযরত আমিনা (অাঃ) এর কোলে শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মৃত ভাইয়ের বংশে পুত্র সন্তান হওয়ায় আবু লাহাব এ খুশির সংবাদদাতা দাসী সোয়াইবাকে তার শাহাদাত অাঙ্গুলী ইশারা করে সাথে সাথে মুক্ত করে দেন।

আবু লাহাব শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মে খুশির কারণে প্রতি সোমবার তার কবরের আজাব মাফ হয় ও তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী অগ্রভাগ দিয়ে রসালো পদার্থ বের হয়। উল্লেখ যে আবু লাহাব মারা যাওয়ার পর তার ভাই হযরত আব্বাস (রাঃ) একবার তাকে স্বপ্নে দেখেন। তখন তাকে জিজ্ঞাস করেন। দুনিয়াতে নবীজীর বিরোধিতা করেছেন, আল্লাহ কবরে আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করছেন? জবাবে আবু লাহাব জানায় সপ্তাহে ছয়দিন আল্লাহ আমায় অনেক কষ্টে রাখেন শুধুমাত্র সোমবার নবীজির জন্মে আনন্দিত হওয়ার আমার আজাব লাঘব করা হয়।

এ ঘটনাটি বোখারী শরীফে উল্লেখ রয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি আল্লাহ কাট্টা কাফেরকে যদি তার হাবীবের জন্মে আনন্দিত হওয়ার কারণে প্রতি সোমবার আজাব মাফ করতে পারেন, তবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করার কারণে আমাদের কেও মাফ করতে পারেন।

তাই আসুন নবীজীর শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করি। মহান দয়াময় রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের সহায় হন। আমিন।

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮

আখেরী চাহার শোম্বা কি?


আখেরী অর্থ শেষ, চাহার অর্থ চতুর্থ আর শোম্বা বুধবার। মুসলিম বিশ্বে হযরত রাসূল (সঃ) জীবনের শেষ বুধবারকেই তথা হিজরী সফর মাসের শেষ বুধবার "আখেরী চাহার শোম্বা" বলা হয়।

হযরত রাসূল (সঃ) জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বার্ধক্যজনিতকারণে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। ১১ হিজরী ২৫শে সফর চতুর্থ বুধবার তিনি হঠাৎ সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এ দিনকে কেন্দ্র করে হযরত রাসূল (সঃ) এর পরিবারবর্গ ও আশেকে রাসূলেরা আনন্দে উদ্বেলিত হয় পরে। এ দিন তারা দান-ক্ষয়রাত করে আনন্দ প্রকাশ করে।

প্রতিবছর এ দিবসকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিশ্বে নানা রকমের অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়।