Translate

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

দেওয়ানবাগ শরীফে মানতের বরকতে হারানো মেয়েকে ফেরত পেলেন।


মহান রাব্বুল আলামীন মানব জাতিকে হেদায়েত করার জন্য অনাদিকাল হতে এ পৃথিবীতে নবী, রাসূল ও অলী আল্লাহগণকে প্রেরণ করেছেন। তাদেরকে আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। নবুয়াতের যুগে বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন বিপদে পড়ে তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তারা বিপদগ্রস্ত মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। অনুরূপ ভাবে বেলায়েতের যুগেও বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন বিপদে পড়ে অলী-আল্লাহর শরণাপন্ন হন, অলী-আল্লাহগণ তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। বর্তমান যুগে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজান হলেন আল্লাহর প্রেরিত জগৎশ্রেষ্ঠ অলী-আল্লাহ। তিনি মানুষকে আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ) - এর নৈকট্য লাভের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সমাজের অনেক বিপদগ্রস্ত মানুষ তার কাছে এসে বিপদ থেকে উদ্ধার পাচ্ছেন। এমন বহু ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। নিন্মে সুধী মহলের জ্ঞাতার্থে একটি ঘটনা উপস্থাপন করা হল।

ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালাশর গ্রামের বাসিন্দা জনাব মােঃ খলিলুর রহমান। তার মেয়ের নাম মােছাঃ সামিরা আক্তার মুন্নি। সে তার বাড়ির পাশে দশমাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো। প্রতিদিনের মত মুন্নি সেদিন সকালে বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু তারপর সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এদিকে তার বাবা - মা তার জন্য অপেক্ষায় ছিল। স্কুল থেকে বাসায় আসার সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে দেখে জনাব খলিলুর রহমানের স্ত্রী তাকে বলল স্কুল থেকে একটু খোজ নিয়ে আসতে। জনাব খলিলুর রহমান তার স্ত্রীর কথা মত স্কুলে খোঁজ নিতে গেল। কিন্তু স্কুলে গিয়ে কাউকে সে পেল না। দেখল যে সবাই চলে গেছে, স্কুলে তালা লাগানাে। না পেয়ে ভাবল যে হয়ত তার কোন সহপাঠির বাসায় বেড়াতে গেছে। এদিকে সন্ধ্যা পার হয়ে রাত্রি হয়ে গেল কিন্তু তাদের মেয়ে আর ফিরে আসছে না। মেয়ে ফিরে না আসাতে বাড়ীর সবাই চিস্তায় অস্থির হয়ে গেল। তারা তাদের আত্মীয় স্বজন, মেয়ের সাথে যারা পড়াশােনা করে সবার বাসায়ই খোঁজ নিল, কিন্তু কেউই তাদের মেয়ের কোনো সন্ধান দিতে পারল না। সারারাত মেয়েকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে সকালে তারা তাদের এলাকা ও আশে পাশে মাইকিং করে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মেয়ের ছবি সহ পােষ্টার ও লিফলেট বিতরণ করেন। এভাবে তাদের মেয়ের খোজে দিন অতিবাহিত হয় তাদের। তারা বিভিন্ন কবিরাজ এর স্মরণাপন্ন হয়। কিন্তু কেউ তাদের মেয়ের সঠিক খবর বলতে পারে না। কেউ আবার বলে মেয়ে মারা গেছে। একেক জনের একেক রকম কথা। এভাবে ৭টি মাস কেটে যায় তাদের। মেয়ের সন্ধানে কোন মাধ্যমই বাকি রাখেন নি। জনাব খলিলুর রহমান ও তার পরিবার- পরিজন। কিন্তু কোন সুফলই পাননি। যে জায়গাতেই মেয়ের সন্ধানে গিয়েছেন হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছুই জোটেনি খলিলুর রহমানের কপালে। এইভাবে মেয়ের আশা ছেড়েই দিতে চলেছিলেন।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে জনাব খলিলুর রহমান এর সাথে কথা হয় সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা এক ভক্ত অনুসারীর। তার নাম জনাব মােঃ তাজুল ইসলাম সাহেব। তাজুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান সাহেব বাসের মধ্যে পাশাপাশি সিটে বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় খলিলুর রহমান সাহেব তার মেয়ের প্রসঙ্গ টানেন। খলিলুর রহমান সাহেব বলেন আজ থেকে ৭মাস আগে আমার মেয়ে হারিয়ে যায়। অনেক খােজা খোজি করছি কোথাও পাচ্ছিনা। চেষ্টার কোন কিছুই বাকি রাখি নাই। অনেক কবিরাজ এর কাছে গেছি কিন্তু কেউ আমার মেয়ের কোন সন্ধানই দিতে পারছেনা। এখন আমার মেয়ে বেঁচে আছে না মরে গেছে, তাও নিশ্চিত হতে পারছি না। কোথায় গেলে এখন আমি আমার মেয়েকে খোঁজে পাব এই বলে খলিলুর রহমান সাহেব কেঁদে উঠলেন। তার কথা শুনে জনাব তাজুল ইসলাম সাহেব বললেন আপনি যদি আমার মহান মাের্শেদ সূফী ম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলার কাছে যান আর তিনি যদি দয়া করেন, তাহলে আপনার মেয়ে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার ঘরে ফিরে আসবে। আপনার আর এত খােজ খবর নিতে হবে না। তাজুল ইসলাম সাহেবের কাছে আশার এই বাণী শুনার পর সে সাথে সাথে নিয়ত করলেন যে সূফী সম্রাটের দরবারে যাবেন এবং গাড়িতে বসেই সূফী সম্রাটের দরবারে শরীফে মানত করলেন। কিন্তু হরতাল ও অবরােধের কারণে তার আর সুফী সম্রাটের দরবার শরীফ ঢাকায় আসার সুযােগ হয়নি। তিনি তাজুল ইসলামের কথা মত সূফী সম্রাটের উপর বিশ্বাস করে তার মেয়ের সন্ধান করা বাদ দিলেন। তাজুল ইসলাম সাহেবের সাথে কথা হওয়ার দুই সপ্তাহ পর হঠাৎ একদিন দুপুরে তার মা ঘরের ভিতর দেখে যে তাদের মেয়ে খাটের উপর বসে আছে। মেয়েকে দেখে তার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে তার মেয়ে ফিরে এসেছে। সে তার মেয়ের কাছে যায়, মেয়েও তার মাকে দেখে মা বলে কাছে যায়। তার মা তার মেয়েকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ৭ মাস পর হারানাে মেয়েকে কাছে পেয়ে বিশ্বাসী হচ্ছিল না তার। তারপর সে বাড়ির সবাইকে ডেকে বলছিল তােমরা কে আছ আমার মেয়েকে দেখে যাও আমার মুন্নি ফিরে এসেছে। এ কথা শুনে বাড়ির সবাই ভাল যে, মেয়ের শােকে হয়ত সে পাগল হয়ে গেছে। তারপরও দুই একজন বের হয়ে দেখে যে সত্যি সত্যি ফিরে এসেছে। ৭ মাস পর ফিরে এসেছে দেখে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুন্নিকে দেখতে এলাকার লােকজন এসে বাড়িতে ভিড় জমায়। বাবা মা আত্মীয় স্বজন হারানাে মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। এদিকে দিয়ে মুন্নির কাছে সবাই জানতে চায় যে, সে এতদিন কোথায় ছিল? কার কাছে ছিল? আবার কিভাবেই বা ফিরে আসল? মুন্নি বলে যে আমি এইসব কিছু বলতে পারি না। বার বার একই প্রশ্ন করা হলে সে বলে যে সে কিছুই বলতে পারে না।

অবশেষে জনাব খলিলুর রহমান সাহেবেরও তার স্ত্রীর বুঝতে আর বাকি রইলনা যে তাদের মেয়ে সূফী সম্রাটের দয়ার বদৌলতেই ফিরে এসেছে তা না হলে সাত মাস এত খোজাখুজির করা হল কোথাও পাওয়া গেল না। আর সূফী সম্রাটের দরবারে মানত করার দুই সপ্তাহের মাথায় তাদের মেয়ে ঘরে এসে বসে আছে এটা সূফী সম্রাটের দয়া ছাড়া অন্য কিছুই না। অতঃপর পরিবারের সবাই সূফী সম্রাটের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে দরবার শরীফে মানত আদায় করতে এসে ঘটনার বর্ণনা করেন। এই রকম একজন দুইজন নয়, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাটের কাছ এসে বিপদ থেকে উদ্ধার পাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ তিনি যেন দয়া করে সারাবিশ্বের মানুষকে তার এই মহান বন্ধুর পরিচয় নসিব করান। আমীন।

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

সূফী সম্রাটের উসিলায় নিখোজ হওয়ার ৬ দিন পর ফিরে এলেন।


আশেকে রাসূল মােঃ আজগর আলী রামপুরা ঢাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর উপজেলার রানীমুহরী গ্রামে। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারী তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়ােজিত আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যােগদানের জন্য সকালেই বাসা থেকে বের হন। সারাদিন অনুষ্ঠান শেষে তার বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি আর বাসায় ফিরেননি। তার পরিবার পরিজনরা তার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রাত কাটিয়ে দেন। অথচ তার কোন সন্ধান পেলেন না। পরদিন সকালে তার মেয়ে নাসিমা পিতার খোঁজে বাবে রহমতে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন যে, আজগর আলী নামের কোন লােক বাবে রহমতে নেই। তখন তার অন্তর ভয়ে কেপে উঠে। কোথায় গিয়েছে আজগর আলী? তিনি কি কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ? আবার কত মানুষ ডাকাত ছিনতাইকারীদের হামলায় পড়ে, কত মানুষ মলমপাটির খপ্পরে পড়ে। এসব চিন্তা করে নাসিমা পেরেশান হয়ে উঠেন। সম্ভাব্য বিপদের আশংকা করে সে কাদতে থাকে। তারপর বাবে রহমতে বসেই সে দশহাজার টাকা ও একটা মিলাদ শরীফ মানত করে আল্লাহ যেন দয়া করে তার পিতাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এরপরে সে অবিরাম দরূদে মাহদী পড়তে থাকেন। এদিকে আজগর আলীর আত্মীয় স্বজনরা ঢাকার মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও হাসপাতালে খবর নেন। কিন্তু কোথাও তার কোন খোঁজ পেলেন না। এমতাবস্থায় তারা বাবে রহমতে এসে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের কাছে কান্নাকাটি করে জানান যে , তাকে এখনাে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবাজান বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেন আর দরূদে মাহদী পাঠ করেন। দেখবেন, আল্লাহর রহমতে আজগর আলী ফিরে আসবেই। সূফী সম্রাটের কথায় আশ্বস্থ হয়ে তারা সবাই মিলাদ আর দরূদ শরীফ পড়তে থাকে। ওদিকে আজগর আলীর মেয়ে নাসিমা কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা - বড় আপাজানের কাছে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনিও তাদেরকে মানত করে দয়াল বাবাজানের কাছে আজিজি করতে পরামর্শ দেন। তিনি আরাে বলেন, আপনার আব্বা দয়াল নবীজির শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সুতরাং তাকে আল্লাহ যেভাবেই হােক রক্ষা করবেন। কারণ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সমস্ত সৃষ্টিরাজির জন্য সবচেয়ে রহমত ও বরকতের দিন। এ দিনে আল্লাহ্ মানুষের মছিবত দূর করেন। আপনারা ধৈৰ্য্য ধরেন নিশ্চয়ই তিনি ফিরে আসবেন।

এভাবে ছয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজগর আলী নিজে নিজেই একা বাসায় ফিরে আসেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন - আমি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আয়ােজিত বাবে রহমতে আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যাই। অনুষ্ঠান শেষে আমি কোথায় যে ছিলাম, তা জানি না। এ কয়দিন কি হয়েছে আমি তাও জানিনা। আজগর আলী বাসায় ফিরে আসার পর তার মেয়ে নাসিমা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাবে রহমতে এসে আর পিতাকে পাওয়ার সংবাদ জানিয়ে যান। আসলে এভাবে আল্লাহ তার বন্ধু - সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের বরকতে মানুষের বিপদ - আপদ দূর করেন। আল্লাহ সবাইকে এই মহামানবের সান্নিধ্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূফী সম্রাটের উসিলায় অগ্নিকান্ডে নিশ্চিত মৃত্যু হতে রক্ষা।


আশেকে রাসূল সিমজল হােসেন, ঢাকাস্থ কাওরান বাজারের বিএসইসি ভবনে ব্রাদারহুড সিকিউরিটিজ লিমিটেড - এ চাকরি করেছেন।তিনি নিজের আত্মার মুক্তি এবং আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর পরিচয় লাভ করার জন্য মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলায়েত লাভকারী, আকাশের পুর্ণিমার চাদ, আধুনিক সূফীবাদের জনক, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের কাছে তরিকা গ্রহণ করেন। তিনি এ মহামানবের প্রচারিত মােহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা - দীক্ষা নেয়ার পর থেকেই তার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি বিভিন্নভাবে আল্লাহর সাহায্য পেতে শুরু করেন।

ঘটনাটি ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে ফেব্রুয়ারির। সেদিন কাওরান বাজার বিএসইসি ভবনে আলােড়ন সৃষ্টিকারী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তার কর্মস্থল ছিল উক্ত ভবনের ৪র্থ তলায়। এই ভবনেই ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভি এবং আরটিভি - এর সম্প্রচার কার্যালয়। এর ফলে আগুন লাগার সংবাদ মুহর্তেই মিডিয়ায় সম্প্রচার হতে থাকে। এদিকে আগুন লাগার পর সময় যত গড়াচ্ছিল, আগুনের বিস্তৃতি, তীব্রতা ও ভয়াবহতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এ কঠিন অবস্থায় তিনিসহ আটজন ৪র্থ তলায় আটকা পড়েন। অগ্নিকাণ্ড সিড়ির গােড়া থেকে সূত্রপাত হওয়ায় তারা কেউ সিড়ি বেয়ে নামা তাে দূরের কথা, সিড়ির কাছেই যেতে পারছিলেন না । এদিকে আগুন সিড়ি থেকে এসি ডার দিয়ে বিভিন্ন ফ্লোরের ফলস সিলিং ফোম পুড়তে থাকে। সর্বত্র ধোয়ার তীব্রতায় কালাে অন্ধকার নেমে আসে। তাদের আটজনের মানসিক অবস্থা তখন এতটাই ভয়াবহ যে, তারা তখন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণতেছিল। এদিকে তার সাথে থাকা সাতজনই তখন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়ল। তখন সে ধােয়ায় এমনভাবে আচ্ছন্ন হয়েছিল যে, দু চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রচণ্ড কাশিতে শ্বাস - প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। এর তিনি পূর্বে মােবাইলে কয়েকজনের সাথে কথা বলে বিদায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন । তারা তাকে বাচানাের জন্য ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়েছে বলে সংবাদ জানায়। সমস্ত ভবনে তখন আমার মত শত শত লােকের আহাজারি চলছে। এসময় তিনি নিজেকে সবচাইতে বেশি অসহায় ভাবছিলেন।

ঠিক ঐ মুহর্তে তার স্মরণে আসে মহান মোর্শেদ, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের কথা। তিনি তখন অঝাের নয়নে কেদে কেদে দয়াল বাবাজানকে স্মরণ করতে থাকেন। তিনি বলেন বাবাজান! আমি আপনার একজন পাপী মুরিদ সন্তান। আজ অগ্নিকাণ্ডে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছি। জগতে আপনি ছাড়া আর কেউ নেই যে, আমাকে বাঁচাতে পারে। ওগো দয়াল বাবাজান! আমাকে দয়া করুন। এভাবে আজিজি করে তিনি যখন কাদছিলেন, ঠিক তখনই তিনি মহান মোর্শেদের সুমধুর কণ্ঠের আহবান শুনতে পান। তখন মমতামাখা কণ্ঠে তাকে ডাকলেন - “ সিমল মিয়া এদিকে আসুন। 'বাবাজানের কণ্ঠ শুনে প্রচণ্ড ধোয়ার মাঝে অনুমান করে তিনি বাবাজানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর সামনে এগুতেই দেখতে পান, মহান মুর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) দয়াল বাবাজান দয়া করে মই লাগিয়ে ৪র্থ তলায় তার জন্য অপেক্ষা করছেন। তারপর বাবাজান নিজ হাতে তাকে ধরে মইয়ে তুলে দেন এবং তৎক্ষণাৎ অন্ধকার ধোয়ার মাঝে অদৃশ্য হয়ে যান। সিমজল মিয়া মই বেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারপর ফায়ার সার্ভিসের লােকেরা তাক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পেয়ে আত্মীয় - স্বজন ও সহকর্মীরা আনন্দ করতে থাকে। অথচ তার তখন বুক ফেটে কান্না আসছিল। সেই কান্না শুকরিয়ার কান্না, মহান মুর্শেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রেমের কান্না। বাবাজানের দয়ায় ও সাহায্যে সেদিন তিনি নতুন জীবন লাভ করেন।

মহান আল্লাহ দয়া করে তার অলি-বন্ধুর উসিলায় আমাদের জীবনের যাবতীয় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুক। আমিন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের উসিলায় হার্ট স্ট্রোক হতে মুক্তি লাভ।


পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “ফাজকুরুনি আজকুরকুম” অর্থাৎ - তুমি আমাকে স্মরণ কর, আমিও তােমাকে স্মরণ করব। আল্লাহকে স্মরণ করলে আল্লাহও বান্দাকে স্মরণ করে থাকেন।

মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলায়েত লাভকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব - এ - খােদা দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজানের কদম মােবারকে এসে অসংখ্য মানুষ ইহলৌকিক নানা বিপদ আপদ থেকে পরিত্রাণ লাভ করে পারলৌকিক মুক্তি পাচ্ছেন। এই মহামানবের কোনাে মুরিদ সন্তান বিপদে পড়ে যদি তাকে স্মরণ করে, তিনি দয়া করে সঙ্গে সঙ্গে তার বিপদ দূর করে দেন। তিনি এমনই একজন মাের্শেদ যিনি তার মুরিদ সন্তানের সকল খবর রাখেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের জনৈক মুরিদ সন্তান আশেকে রাসূল মােঃ বাবুল আহমেদ, পিতাঃ মােঃ হােসেন বেপারী, গ্রাম ও পােঃ তাজপুর, উপজেলাঃ সিরাজদিখান, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ। তিনি কিভাবে মাের্শেদের দয়ায় হার্ট স্ট্রোক হতে মুক্তি পেয়েছেন তারই বিবরণ নিন্মে তুলে ধরা হলাে।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ একদিন তার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথায় অস্থির হয়ে তিনি বিছানায় শুয়ে পড়েন এবং তিনি তার মাের্শেদ কেবলাজানকে স্মরণ করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে থাকেন। এমতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলাে। হাসপাতালের ডাক্তারগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাে যে, তার হার্টে দুটি ব্লক আছে। এই কথা শুনে তিনি ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান। মনে মনে দয়াল মহান মাের্শেদকে স্মরণ করে আজিজী করতে থাকেন। রাতে বুকের ব্যথায় বুক চাপা দিয়ে আজিজী করে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি রাতে স্বপ্নে দেখতে পান তার দয়াল দরদী মাের্শেদ কেবলাজান সুন্দর জামা কাপড় পরিহিত অবস্থায় তার কাছে এলেন এবং তাকে বলছেন, এই মিয়া এত ভয় পান কেন। আমি আছি। তখন সে ওঠার চেষ্টা করলে দয়াল মাের্শেদ তাকে শুইয়ে দেন এবং তার বুকে তার হাত মােবারক রাখলেন । কিছুক্ষণ পর যখন হাত সরালেন তখন সে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অনুভব করল। ঘুম থেকে সকালে উঠে সত্যিই তিনি সুস্থতা অনুভব করলেন এবং বুকে কোনাে ব্যথা অনুভব করলেন না। তখন তার রাতের ঘটনার কথা মনে পড়লাে এবং অঝর নয়নে কাঁদতে থাকেন। পরে তিনি দয়াল মহান মাের্শেদকে কৃতজ্ঞতা জানান। এখন তিনি সুস্থ আছেন। মহান মালিকের নিকট ফরিয়াদ জানান তিনি যেন দয়া করে আজীবন এই মহামানবের কদম মােবারকে থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কথার বরকতে ৯ বছরের পুরনো চর্মরোগ হতে মুক্তি।


আশেকে রাসুল জাহাঙ্গীর আলম। ১৯৯৬ সালে তিনি সিঙ্গাপুরে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ একটি কঠিন চর্মরােগ দেখা দেয়। প্রথম অবস্থায় তার সারা শরীর ঘামাচির মতাে গােটায় ভরে যায়। এরপর কয়েকদিন যেতে না যেতেই ঘামাচির গোটাগুলাে বড় হয়ে লালচে দানায় পরিণত হয়। এমনিভাবে শুধু চামড়ার উপরে না, এগুলাে মাংসের ভিতরে পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে পড়ে। গােটাগুলাে ধীরে ধীরে বড় হয়ে মহিলাদের কানের দুলের মতো শরীরের চামড়ার উপর দুলতে থাকে। এগুলাের ভিতরে পুঁজ হয় এবং ভয়ঙ্কর রকম যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি হতে থাকে। তার পায়ের তালু থেকে মাথার চামড়া পর্যন্ত এমন পচা মাংস দুলতে থাকায় তাকে ভয়ানক দেখাতাে এবং এগুলাে থেকে মাঝে মাঝে রক্তও ঝরতাে। তখন তার শরীর থেকে বাজে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত। তার সহকর্মী, পরিচিতজন সবাই তাকে দেখে ভয় ও ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে তাকাতে থাকতো। কেউ এগিয়ে এসে সাহায্য পর্যন্ত করতে ভয় পেতো।

সিঙ্গাপুরে তখনকার বড় বড় কয়েকজন ডাক্তারকে দেখালে সেখানকার ব্যয়বহুল চিকিৎসায় প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হতে থাকে। কিন্তু রােগ - যন্ত্রণার কোন উপশম হলাে না। ডাক্তাররা সঠিক রােগটি কি তাও বুঝতে পারছিল না। এদিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা ও ঠিক মতাে কাজ করতে না পারায় তার জমানো অর্থও শেষ হয়ে আসে। সে কোন উপায় না দেখে দেশে ফোন করে পরিবারকে জানালে তারা বিভিন্ন ডাক্তার - কবিরাজের পরামর্শমত ঔষধ সিঙ্গাপুরে পাঠায়। কিন্তু সেগুলােতেও কোনো কাজ হয় না। তখন তার মন অলী - আল্লাহগণের প্রতি ঝুঁকে যায়। সে তার মাকে বলে অলী - আল্লাহর দরবারে যেতে। তারা বহু দরবারে ঘুরে মানত দেয়। এমনকি ইব্রাহীমপুর এতিমখানায় তার বাবা - মা ও স্ত্রী আলাদাভাবে গরু দেয় কিন্তু কোন লাভ হয় না।

অবশেষে উপায় না দেখে সে দেশে ফেরত আসে। এরপর নিজেই বিভিন্ন ডাক্তার কবিরাজের শরণাপন্ন হন। এভাবে ৪ বছর মারাত্মক যন্ত্রণা ও কষ্টের অভিশাপ সহ্য করেন। এরপর ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চর্মরােগ বিশেষজ্ঞ এম. কবীর চৌধুরীকে দেখালে দেহের বিভিন্ন স্থান থেকে পচা মাংস কেটে নিয়ে পরীক্ষা করেন। তিনি রােগের নাম বলেন, গাটেট সরিয়াসিস। এ রােগটি বংশগত তার দাদারও এমন হতাে, যা কখনাে সম্পূর্ণ ভালাে হয় না, দমিয়ে রাখা যায়। তিনি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ খেলে রােগটি স্থির থাকে, যন্ত্রণা কমে কিন্তু ঔষধ বন্ধ করলে আবার বাড়তে থাকে। প্রতিদিন দেড়শ' থেকে দুইশ' টাকার ঔষধ খেতে হয়, কোনো কাজ কর্মও করতে পারেননা। এমতাবস্থায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েন।

২০০৪ সালের দিকে তার চাচাতাে ভাইয়ের কাছে যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তার পাক কদমে তরিকার সবক গ্রহণ করে আর্থিক সমস্যার সমাধান চান। তখন তিনি মনে করেছিলেন এ রোগ কোনাদিন ভাল হবেনা, তাই আর্থিক সমস্যার সমাধান হলে মন্দ হবেনা। তারপর থেকে তিনি নিয়মিত তরিকার আমল করতে থাকেন। কিন্তু তার অসুখ এক সময় আরো বড় হতে থাকে এবং তার কষ্টে পরিবারের সবাই অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ে। তার চর্ম রোগের ৯ বছর অতিবাহিত হলো। যন্ত্রনায় আর থাকতে পারছিলেন না। তখন মনে হয় তার বাচার একটাই উপায় আর তা হলাে - যদি দয়াল দরদী বাবাজান তাকে সুস্থ করে দেন । তার অগাধ বিশ্বাস ছিল - যিনি আল্লাহর বন্ধু তিনি জগতের সবকিছুই করতে পারেন।

এজন্য সে একদিন ঢাকার মতিঝিলের বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে ছুটে আসেন। এসে বাবাজানের কদমে হাত রেখে বলেন বাবা ! আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এ অসহ্য লােগ যন্ত্রণা ভােগ করছি। আর পারছি না, এখন আপনি ছাড়া আর গতি নাই। বাবাজান মায়াভরা দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলেন, কই ! দেখি কি রােগ আপনার ? আমি সাথে সাথে আমার গায়ের জামা খুলে ফেলি। দয়াল বাবাজান অপলক মায়াভরা দৃষ্টিতে আমার গায়ের পচা - গলা ক্ষতগুলাের দিকে তাকালেন। আমি তখন দেখতে পেলাম, বাবাজান তাকানাের সাথে সাথে একটা আলাের ঝলক এসে আমার সমস্ত দেহে পড়লাে। অতঃপর আমার উপর থেকে এতদিনের কষ্ট ও যন্ত্রণার বােঝা সরে গেলাে। বাবাজান বললেন, একটা জান মানত করেন। তিনি বাবাজানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাবে রহমত থেকে বের হন সম্পূর্ণ নতুন মানুষ হিসেবে। শরীরে যদিও ক্ষতগুলাে ছিল কিন্তু তার কোন যন্ত্রণা অনুভূত হচিছল না। তখন সামান্য রােগ - যন্ত্রণাও অনুভব করেননি। তার মনে হচ্ছিল, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ একজন মানুষ।

সবচেয়ে অলৌকিক বিষয় হলাে, দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবার পর থেকেই ক্ষত গুলাে শুকাতে থাকে এবং মাত্র ৮ / ৯ দিনের মাথায় দেহের চামড়া দেখে আর বােঝার উপায় থাকল না, তার কি কঠিন অবস্থা ছিল! এ ঘটনায় তার পিতা - মাতা, স্ত্রীসহ গ্রামবাসী সবাই অবাক হয়ে দয়াল বাবাজানের প্রশংসা করতে থাকেন। পরে মানত আদায় করে ঘটনা বনর্না করেন।
মহান দয়াময় আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তার প্রিয় অলি বন্ধুর ওসিলায় জাগতিক ও পারলৌকিক বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করুক, আমিন।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে দেওয়ানবাগ শরীফে আশেকে রাসূ্ল (সঃ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


গত ১০ নভেম্বর ২০১৯ খ্রীস্টাব্দে, বৈরী আবহাওয়া তথা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের আহবানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলন। এ সম্মেলনে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে আশেকে রাসূলগণ বাবে রহমতে এসে উপস্থিত হন। বাদ ফজর থেকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ, জোহরের নামাজ ও বাদ জোহর সূফী সম্রাটের ভাষণ ও আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মোর্শেদকে ভালবাসার মাধ্যমেই মনজিলে মকসুদে পৌছানো সম্ভব -ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা (মাঃ আঃ)।


বিশেষ সংবাদদাতাঃ মহান সংস্কারক মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব - এ - খােদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড . আরসাম কুদরত এ খােদা ( মাঃ আঃ ) বলেন, মাের্শেদকে ভালবাসার মাধ্যমেই মনজিলে মকসুদে পৌছানাে সম্ভব। কারণ মাের্শেদ হচ্ছেন নূরে মােহাম্মদীর ধারক ও বাহক। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, দেওয়ানবাগ শরীফের বাবে রহমতে সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিলে এ কথা বলেন। ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর বলেন, এলমুল ক্বালবের শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের পক্ষে একমাত্র এলমুল কালবের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সঃ) - এর অনুসরণ এবং তার প্রতি ভালােবাসার মাধ্যমেই প্রকৃত ইসলাম শিক্ষা লাভ করা সম্ভব। হযরত রাসূল (সঃ) - এর আদর্শকে ছেড়ে দেওয়ার কারণেই মুসলিম জাতি আজ প্রকৃত ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজান মানুষকে সেই এলমুল কালব ও হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রতি ভালােবাসার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ আশেকে রাসূলে পরিণত হচ্ছেন। মােহাম্মদী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করে মানুষ শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণের পথের সন্ধান লাভ করছেন। ড. কুদরত এ খােদা বলেন, আমাদের মহান মাের্শেদ দয়া করে পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তে তাঁর মুরিদকে বিপদে সাহায্য করে থাকেন। তাই আমাদেরকে আদবের সাথে মাের্শেদের সান্নিধ্যে আসতে হবে।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে আগত আশেকে রাসূলগণের সাথে সাক্ষাত করেন মহান সংস্কারক মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজান। এরপর সাক্ষাত প্রদান করেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা (মাঃ আঃ)। বাদ জুমা মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা ( মাঃ আঃ ) আশেকে রাসূলগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ বাণী মোবারক প্রদান করেন।

পরিশেষে তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী: একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা- ড. আরসাম কুদরত এ খোদা


মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। যখন কিছুই ছিল না তখন তিনি ছিলেন, আবার যখন কিছুই থাকবে না, তখনও তিনিই থাকবেন। তিনিই সকলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমান মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে - বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিরাকার তাঁকে জীবদ্দশায় দেখা সম্ভব নয়। কেউ যদি তার আকার নিয়ে চিন্তা করে বা তার দিদার লাভ করে, সে ঈমানহারা হয়ে যাবে। আর এই অমূলক ও ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস করে মানুষ সরল মনে নিরাকার ও অদৃশ্য আল্লাহর ইবাদত করছে। অথচ নবুয়তের যুগে নবী - রাসূল মানুষকে মহান আল্লাহর সাথে যােগাযােগের পদ্ধতি শিক্ষা দিতে এ ধূলির ধরায় আগমন করেছেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় বেলায়েতের যুগে অলী - আল্লাহগণ আল্লাহকে পাওয়ার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। যদি আল্লাহ নিরাকার হতেন তাহলে তারা মানুষকে কার সাথে যােগাযােগের শিক্ষা দিয়েছেন? আর মানুষইবা কাকে পাওয়ার জন্য ইবাদত করে? জীবদ্দশায় স্রষ্টার দীদার লাভ অসম্ভব হলে মৃত্যুর সময় ঈমানী পরীক্ষায় কেন প্রশ্ন করা হয়- 'তােমার প্রভু কে?' প্রভু অদৃশ্য হলে হযরত রাসূল (সঃ) মিরাজে গিয়ে কিভাবে প্রভুর দর্শন লাভ করলেন? এ বিষয়গুলাে কি প্রমাণ করে আল্লাহ নিরাকার? মহান আল্লাহ মানুষের কালবের ৭ম স্তর নাফসীর মােকামে অবস্থান করার পরও মানুষের বিশ্বাস তিনি সাত আসমানের পরে আছেন। মূলত প্রভুর সাথে যােগাযােগের পন্থা হারিয়ে ফেলার কারণে এক সময়ের শ্রেষ্ঠ জাতি মুসলমান আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত। এমনি এক সংকটময় মুহূর্তে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর পরিচয় তুলে ধরার জন্য মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব -এ- খােদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে ধূলির ধরায় প্রেরণ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে জগৎবাসীর উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ঘােষণা করেন - “আমি আল্লাহকে দেখেছি। ”তার এই ঘােষণা শােনে স্বার্থান্বেষী মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। তাসাউফ বিবর্জিত আলেম সমাজের চরম বিরােধিতার সম্মুখীন হয়েও তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন - “আমি আল্লাহকে এমনভাবে চিনি, যেভাবে সন্তান তার পিতাকে চেনে। ”তাই সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস দূর করার লক্ষ্যে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলােকে প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নেন- 'মহান আল্লাহ নিরাকার নন, তার নূরের রূপ আছে’। এ মহাসত্য বাস্তবায়নে তিনি কুরআন গবেষণা শুরু করেন। প্রথমে এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল কুরআনের আলােকে জীবন বিধান গ্রন্থ রচনা করা। যে গ্রন্থটি পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ বিষয় ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায় সন্নিবেশিত করা হবে, যেন মানুষের পক্ষে তা সহজে বােধগম্য হয়। পরবর্তীতে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হলে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সিদ্ধান্ত নিলেন যার বাণী কুরআন, সর্বপ্রথম তার পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। কেননা মানুষ যদি আল্লাহর পরিচয় না জানে, তবে আল্লাহর বাণীর গুরুতু কখনােই অনুধাবন করতে পারবে না। আল্লাহর পরিচয় ও স্বরূপ তুলে ধরার লক্ষ্যে তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী গ্রন্থের উৎপত্তি। মানবজাতির ইতিহাসে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই একমাত্র তাফসীর প্রণেতা যিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল - কুরআন ও মারফু হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর জাত - পাক ও ৯৯টি সিফাত বা গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপন করে ১১৩৭৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী নামক ৮ম খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন করেন । এই ৮ খণ্ড তাফসীরের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান প্রমাণ করেন - মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। নিম্নে এই ৮ খণ্ড তাফসীরের সংক্ষিপ্ত - পর্যালােচনা উপস্থাপন করা হলােঃ

১ম খণ্ড: সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ’ ১ম খণ্ডে ১১টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর জাত পাকের পরিচয় উপস্থাপন করেছেন। এই খণ্ডে মহান আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়ে পবিত্র কুরআনের ২৮ খানা আয়াত এবং আল্লাহর নূরময় সত্তার বর্ণনায় ১৮ খানা আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়া মহান আল্লাহর চেহারা মোবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআনের ১৪ খানা অায়াত, চক্ষু মােবারকের বর্ণনায় ৬৩ খানা আয়াত, শ্রবণেন্দ্রিয়ের বর্ণনায় ৪৮ খানা আয়াত, জবান মােবারকের বর্ণনায় ৪৭৭ খানা আয়াত, হাত মােবারকের বর্ণনায় ১৭ খানা আয়াত, কদম মোবারকের বর্ণনায় ২ খানা আয়াত এবং নফস বা দেহ মােবারকের বর্ণনায় ৬ খানা আয়াত উপস্থাপিত হয়। এভাবে মহান আল্লাহর নূরের রূপ যথা নুরের চেহারা মােবারক, নুরের চক্ষু মােবারক, নূরের কান মােবারক, নূরের হাত মােবারক, নুরের কদম মােবারক ও নূরের দেহ মােবারকের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার পর তাফসীর প্রণেতা সূফী ম্রাট হুজুর কেবলাজান মহান আল্লাহর রূহ মােবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ২০ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেন। এভাবে তিনি মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ রূপের বর্ণনা পবিত্র কুরআনের প্রামাণ্য দলিল দ্বারা প্রমাণ করেন। অতঃপর তিনি মহান আপ্লাহর দর্শন লাভ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের ৩০ খানা আয়াত তুলে ধরে। মহান আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয় লিপিবদ্ধ করে প্রমাণ করেন - 'মহান আল্লাহ রূপহীন নিরাকার নন, তার নূরের রূপ আছে। মূলত ১ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা পবিত্র কুরআন থেকে ৭২৩ খানা আয়াত এবং ২৮০৮ থানা হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয় মানবজাতির নিকট তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী " ১ম খণ্ড ১৫৬৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

২য় খণ্ড; তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী '২য় খণ্ডে ৬টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর ৯৯টি সিফাতের মধ্য থেকে ৩৪টি সিফাত তথা গুণবাচক নামের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। তিনি ৩৪টি সিফাতের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ৫০১ খানা আয়াত এবং ১৪৩৮ খানা হাদীস উল্লেখ করে প্রমাণ করেছেন - “মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ” ২য় খন্ডটি ১৩৪৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৩য় খণ্ডঃ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৩য় খণ্ডে ৪টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর ৫টি গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপনের জন্য পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৩ খানা আয়াত ও ১৩০৬ খানা হাদীস সন্নিবেশিত করা হয়। এ তাফসীর শরীফে ৪টি অধ্যায়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ কুল-কায়েনাতের সকল প্রাণীর রিজিকদাতা, তিনি সবাইকে দেখেন, সবার মুখ ও অন্তরের কথা শুনেন এবং সকলের সার্বিক অবস্থার কথা জানেন। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৩য় খন্ডটি ১৪৩১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৪র্থ খণ্ড : তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৪র্থ খণ্ডে ১৫টি অধ্যায়ে মহান রাব্বুল আলামীনের ১৮টি সিফাতের পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন। এ ১৮টি গুণবাচক নাম মােবারকের মহিমা, বাস্তবতা ও প্রয়ােগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৪২১ খানা আয়াত ও ১৯৬৬ খানা হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি কুরআন ও হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর স্বরূপ তুলে ধরে প্রমাণ করেন -মহান আল্লাহর নূরের রূপ। আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া এ খণ্ডে তিনি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের তাফসীর অন্য আয়াত দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন। যাকে তাফসীর শাস্ত্রের পরিভাষায় তাফসীর কুরআন বিল কুরআন' বলা হয়। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী '৪র্থ খণ্ডটি ১৩৮৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৫ম খণ্ড : সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ৫ম খণ্ডে মহান আল্লাহর ১৭টি সিফাতের পরিচয় ১৭টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন। তিনি এই ১৭টি অধ্যায়কে ৫৩টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করে পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৮ খানা আয়াত ও ১৯৩৩ খানা হাদীসের সমন্বয়ে প্রমাণ করেছেন - মহান
আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৫ম খণ্ডটি ১৪৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৬ষ্ঠ খণ্ডঃ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৬ষ্ঠ খন্ডে মহান রাব্বুল আলামীনের সুন্দরতম গুণবাচক নামসমূহের ২৩টি গুণবাচক নামের পরিচয় ২৩টি অধ্যায়ে উপস্থাপন করেছেন। পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৯ খানা আয়াত ও ১৮৯৪ থানা হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর ২৩টি গুণবাচক নামের দ্বারাই তাফসীর প্রণেতা প্রমাণ করেছেন - মহান আত্মাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া সুফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান বিভিন্ন অধ্যায়ে আল্লাহর সিফাত বা গুণবাচক নামের পর্যালােচনা অংশে পবিত্র কুরআনের ১২০৫ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেছেন।যা পাঠ করে পাঠক মহান রাব্বুল আলামীনের গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হবেন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৬ষ্ঠ খণ্ডটি ১৩৭৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৭ম খন্ডঃ “তাফসীরে সম্রাট দেওয়ানবাগী ৭ম খন্ড অধ্যয়নে পাঠকবৃন্দ মহান আল্লাহর ৯টি গুণবাচক নামের মহিমা ও বৈশিষ্ট্যের পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এ খন্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান পবিত্র কুরআনের সিফাত ভিত্তিক ৫৪৪ খানা আয়াত ও ২২১৯ খানা হাদীস উপস্থাপনের মাধ্যমে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছেন- “মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া এই খণ্ডে বিষয় সংশ্লিষ্ট আরও অনেক আয়াত ও হাদীস সন্নিবেশিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৭ম খণ্ডটি ১৪০৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৮ম খন্ডঃ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৮ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মহান রাব্বুল আলামীনের “আর - রব” নাম মােবারকের মহিমা উপস্থাপন করেছেন। তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৬২১ খানা আয়াত ও ২৩৪৩ খানা হাদীসকে ৩২টি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন- মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৮ম খণ্ডটি ১৪০৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' নামক ৮ খন্ড তাফসীর প্রণয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন- মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন'। এ তাফসীর শরীফ পাঠ করে প্রাজ্ঞ পাঠক সমাজের জানার সুযােগ হবে যে - মহান আল্লাহ স্থুল দেহধারী নন, একইভাবে তিনি মানুষের মত রক্ত মাংসের দেহধারী নন, তিনি নূরের'। এ নুরময় সত্তাকে দেখা যায়, তার কথা শােনা যায়, তবে হাত দিয়ে ধরা ও ছোঁয়া যায় না। উপমা স্বরূপ বলা যায়, টেলিভিশনের পর্দায় যে মানুষটি সংবাদ পাঠ করে, এটি ঐ ব্যক্তির আলােকদেহ। ফলে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষের আলােক দেহকে দেখা যায়, তার কথা শােনা যায়, কিন্তু তাকে ধরা যায় না, এমনকি স্পর্শ করা বা ছোঁয়া যায় না। অনুরূপভাবে পরিশুদ্ধ কালবের পর্দায় মহান আল্লাহর নূরের চেহারা মােবারক দেখা যায় এবং তার কথা শোনা যায়। মানুষ যদি সাধনার মাধ্যমে আত্মিক পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে পারে তাহলে সেই মানুষটি আত্মিক জবানে আল্লাহর সাথে কথাও বলতে পারেন। মুলত সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র তাফসীরকারক যিনি মহান আল্লাহ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে' - এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলােকে ৮ খণ্ড তাফসীর রচনা করে বিশ্ববাসীর নিকট মহান আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন। আবহমানকাল থেকে মানব জাতি মহান আল্লাহকে নিরাকার ভেবে যে ভুল করে আসছিলেন, জগতশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান ৮ খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন কর সে ভুল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন । তাই তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের কদম মােবারকে জানাই লাখাে শুকরিয়া।

(সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ ২৩ অাগষ্ট ২০১৯)

শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

কেয়ামতের দিন সবকিছু ধ্বংশ হলেও বাংলাদেশ কিন্তু ধ্বংশ হবে না!

কি এমন শিরোনামে চোখ কপালে উঠলো। কমেন্ট বক্সে লিখবেন- বেইমান, কাফের, মুনাফিক, মুরতাদ, ভন্ড ইত্যাদি, ইত্যাদি!
আসুন এবার হাতে নাতে প্রমাণ দেই।

আমরা জানি, মহান আল্লাহ তায়ালা এই সৃষ্টিজগত ১০ ই মহরম তারিখে সৃষ্টি করেছেন, আবার ১০ই মহরম ধ্বংশ করবেন। আর সেই দিনটি হবে শুক্রবার। জন্মের পর থেকে আমরা সবাই এই কথা শুনে ও মেনে আসছি।

কিন্তু বাংলাদেশের বিরাট একটি মুসলমান দল বা গোষ্ঠীর ধারণা পৃথিবীতে কিয়ামত হলেও বাংলাদেশের কিছুই হবে না। তারা সারাবিশ্বের কিয়ামতের লাইভ ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে দেখতে পাবেন!

ভাবছেন আজে বাজে কি যা তা বলছি!
আরে না ভাই, এই কথাটার সাথে আপনি নিজেও তো একমত। কিভাবে???

তাহলে দয়া করে বুঝে বুঝে পড়ুন,

১০ ই মহরম শুক্রবার কেয়ামতের পূর্বে মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী ধ্বংশ করার জন্য হযরত ইস্রাফিল (আ:) কে শিঙ্গায় ফুক দিতে আদেশ করবেন। আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী ইস্রাফিল (আ:) পৃথিবী ধ্বংশ করার জন্য শিঙ্গায় ফুক দেওয়ার প্রস্তুতি নিবেন।

কিন্তু ফুক দেওয়ার পূর্বেই ইস্রাফিল (আ:) আল্লাহকে বলবেন: আমি কি বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে কেয়ামত ঘটাবো?

আল্লাহ বলবেন -কেন?

ইস্রাফিল (আ:) বলবেন- আজ সারা পৃথিবীতে চলে ১০ই মহরম শুক্রবার, কিন্তু শুধুমাত্র #বাংলাদেশে চলে ৯ই মহরম শুক্রবার। তাহলে আজ তো বাংলাদেশ ধ্বংশ করা যাবে না। ৯ তারিখে তো কিয়ামত হবে না।

আল্লাহ বলবেন- ঠিক আছে তাহলে আজ বাংলাদেশ ধ্বংশ করা লাগবে না আগামীকাল করো। আগামীকাল ১০ তারিখ হবে!

ইস্রাফিল (আ:) আবার বলবে- আল্লাহ কালতো বাংলাদেশে ১০ তারিখ হবে ঠিকই কিন্ত বার তো হবে শনিবার। শনিবারে তো ধ্বংশ করার নিয়ম নেই।

আল্লাহ বলবেন: ঠিক আছে তাহলে অাগামীতে বাংলাদেশে যে বছর ১০ ই মহরম শুক্রবার হয় সেদিনই বাংলাদেশ ধ্বংশ করো।

আজ বাংলাদেশ বাদে সারা দুনিয়া ধ্বংশ করো! কেননা আজ বাংলাদেশ বাদে সারাবিশ্বেই ১০ ই মহরম শুক্রবার!

( বি: দ্র: উপরের আল্লাহর সাথে ইস্রাফিলের কথোপকথন সম্পূর্ণ কাল্পনিক যাহা আপনাকে বোঝানোর জন্য লিখা হয়েছে। আসলেই কি বাস্তবের ঘটনা এই রকমই হবে?)

না তা মোটেও হবে না, কেননা সারা পৃথিবী একই সাথেই ধ্বংশ হবে, বাংলাদেশ অন্য বছর ধ্বংশ হবে না। তাহলে আরবী তারিখ সারাবিশ্বে একরকম হওয়া প্রয়োজন।

এবার আসুন আসল কথায়-
আমরা প্রতিবছর সৌদির চেয়ে ১ দিন পর ঈদ করি। সৌদির ১ তারিখ হলে বাংলাদেশে চলে ২৯ বা ৩০ তারিখ। যাহা আমরা সাদরে মেনে নেই।

অথচ সৌদির চেয়ে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘন্টা। কিন্তু এই ৩ ঘন্টার জন্য জুমার নামাজ তো #শনিবারে পড়ি না। জুমার নামাজ তো ৩ ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবারেই পড়ি। তবে কেন ঈদের নামাজ ১ দিন পর পড়বো।

কোন কোন বছর দেখা যায়, সৌদিতে শুক্রবারে ঈদের নামাজ ও জুমার নামাজ একই দিনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা শুধু মাত্র জুমার নামাজ পড়ি কিন্তু ঈদের নামাজ পড়ি না। ঈদের নামাজ পড়ি একদিন পর অর্থাৎ শনিবার।

আমার প্রশ্ন হে আলেম ভাইয়েরা, আপনার ৩ ঘন্টার ব্যবধানে জুমার নামাজ পড়তে পারলে ঈদের নামাজ কেন একদিন পর অর্থাৎ ২১ ঘন্টা পর পড়বেন? এটা কি ভুল নয়। একই ক্ষেত্রে ২ নীতি নয়? আর আমরাও সাধারণ মুসল্লিরা আলেমদের সাথে তাল মিলিয়ে বিরাট ভুলটি করে যাচ্ছি কি?

বলবেন বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি। যদি তাই হয় তবে, আপনার দেশের সাথে সৌদির জুম্মার নামাজ একদিনে হয় কিভাবে? তারিখ একদিন পিছালে তো বারও একদিন পিছানোর কথা। তবে জুমার নামাজটা শনিবারেই পড়তেন।

এখনও কি সমস্যাটা ধরতে পারেন নাই? যদি সমস্যা ধরতে না পারেন তবে পুনরায় পড়ুন।

এবার সমাধান কি? মনে করুন বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি তিনটা মিলে একটা দেশ। রাজধানী মদিনা। একটি রমজানের ক্যালেন্ডার ছাপানো হলো একটি সেক্ষেত্রে আগে বাংলাদেশে সূর্য ডুববে। প্রথমে বাঙালিরা ইফতার করবে। এরপর আধা ঘন্টা পর ভারতের মানুষ ইফতার করে, এরপর মদিনায় সন্ধা হলে তারাও ইফতার করবে। এরপর সৌদি চাঁদ দেখা গেলে সবাই (বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি) পরদিন ঈদ করবে।

ভাবছেন মনগড়া বলছি, বিষয়টা তা নয়। বাংলাদেশে এই পদ্ধতিই পরিচালিত হচ্ছে। যেমন সিলেটের মানুষ ঢাকার ৭ মিনিট আগে ইফতার করে। এরপর ঢাকার মানুষ ইফতার করে ও এরপর ঢাকার ৯ মিনিট পর রাজশাহীর মানুষ ইফতার করে।

এখন সারাদেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারনে শুধু মাত্র রাজশাহী জেলার বাঘা থেকে চাঁদ দেখা গেল। তাহলে কি সিলেট ও ঢাকার মানুষ ঈদ করেনা? অবশ্যই করে।

তবে সৌদি চাঁদ উঠলে আমাদের ঈদ করতে সমস্যা কোথায়।

পাকিস্তান আমলে এদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান সেক্ষেত্রে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে দুই দেশেই একই দিনে ঈদ হতো।

মহান আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে বলেন: তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। কিন্তু আজ আমরা আল্লাহর ভুখন্ড টুকরো টুকরো করে ছোট ছোট দেশ তৈরি করে, আমার দেশে চাঁদ দেখা যায় নাই বলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিলম্বে করে সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে চলছি না কি?

তাই আসুন পৃথিবীর যেকোন দেশে চাঁদ দেখার গেলে আমরাও মুসলিম ঐক্য বজায় রাখতে একই দিনে ও একই বারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করি। আর তাহলেই একমাত্র একই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথাটাও যুক্তিযুক্ত হবে। নচেৎ নয়।

(বি:দ্র: মহান আল্লাহ তায়ালা ও ইস্রাফিল (আ:) এর ঘটনাটি প্রকৃত পক্ষে এমন নয় শুধুমাত্র অালোচ্য বিষয়টি ভালভাবে বোঝানোর জন্য রূপ দেয়া হয়েছে)

দয়াময় প্রভু তার প্রিয় বন্ধুর বরকতে যেন দ্রুত সারাবিশ্বে একই সাথে ঈদ করে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

১০০ খুন করেও আউলিয়াদের ওসিলায় মাফ পেয়েছেন এক ব্যক্তি।


হযরত আবু সাঈন সাদ ইবনে মালেক ইবনে সিনান আল - খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত - তিনি বলেন, হযরত রাসুল (সঃ) এরশাদ করেন - পূর্ববর্তী যুগে এক ব্যক্তি ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করে, অতঃপর সে মুক্তির সন্ধানে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আলেমের সন্ধান করলাে। তখন ছিল ঈসায়ী ইসলামের যুগ। ফলে তাকে খ্রিস্টান ধর্মের একজন হুজুরের সন্ধান দেয়া হলাে। মুক্তি পাগল লােকটি বড় আশা নিয়ে ঐ আলেমের দ্বারস্থ হয়ে আরজ করলাে - হযরত ! আমি ৯৯ জন মানুষকে খুন করেছি। এখন আমার জন্য তওবা করার কোনো সুযােগ আছে কি? জবাবে ঐ হুজুর বললো, না তােমার জন্য তওবার দরজা খােলা নেই, এতগুলাে খুন করার পরও যদি আল্লাহ তোমাকে মাফ করেন, তবে তিনি জাহান্নামে দেবেন কাকে? এতে লােকটি ক্রোধান্বিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্মের ঐ হুজুরকেও হত্যা করে ১০০টি খুন পূর্ণ করল, লােকটি ভাবলো, যেহেতু আমার আর মুক্তির আশা নেই, সুতরাং এ হুজুরকে বাঁচিয়ে রেখে আর লাভ কি?
এ পর্যায়ে লােকটি মুক্তির নেশায় পাগলের মত ছুটাছুটি শুরু করল। এবার সে আল্লাহ তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী একজন দরবেশের দেখা পেলেন তিনি তাকে বললেন, আমি ১০০ জন লােককে হত্যা করেছি ।এখন আমার জন্য তওবার পথ খােখোলা আছে কি? জবাবে আলেম বললেন - হ্যা, তােমার জন্য তওবার সুযােগ আছে, আল্লাহ যদি আছতোমাকে ক্ষমা করে আল্লাহর তো কোনো লোকসান হবে না বা কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে ,না। আলেম তাকে পরামর্শ দিলেন - 'তুমি অমুক স্থানে যাও। সেখানে কিছু সংখ্যক সুফী - সাধকেরা এক পবিত্র মজলিসে রয়েছে। তাঁরা ইবাদত - বন্দেগী বা সাধনারত আছেন। তুমিও তাদের সােহবত লাভ করে সাধনায় রত হও। কখনােই দেশে ফিরে এসাে না। লোকটি ক্ষমা পাওয়ার আশায় ঐ মজলিশের উদ্দেশ্যে ছুটে চললো নির্দিষ্ট স্থানের অর্ধেক পথ চলার পর সে মারা গেল। তখন রহমতের ফেরেশতা এবং আযাবের ফেরেশতা বিতর্কে লিপ্ত হলো। রহমতের ফেরেশতাগণ বললেন, লােকটি তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে আযাবের ফেরেশতাগণ বললেন, লােকটি কখনাে কোনাে ভাল কাজ করেনি। বিতর্ক যখন চরমে পৌঁছে গেল, তখন মানব রূপ ধারণপূর্বক একজন ফেরেশতা উপস্থিত হলেন সবাই তার সালিশ মেনে নিল। তবে ভিন্ন বর্ণনায় এসেছে , এ সময় রহমতের ফেরেশতাগণ ও আযাবের ফেরেশতাগণ এ দ্বন্দ্বের ফয়সালার জন্য আল্লাহর হুজুরে হাজির হন। অতঃপর মহান আল্লাহ নির্দেশ দেন, তােমরা উভয় দিকের রাস্তার দূরত্ব মেপে দেখ, সে তার যাত্রা পথের কোন অংশ বেশি অতিক্রম করেছে যে দিকটি নিকটতম হবে সে এরই উপযুক্ত। রাস্তার দূরত্ব পরিমাপের পর দেখা গেল লােকটি যেদিকে উদ্দেশ্য করে যাচ্ছিল সেদিকটিই নিকটে। সূফীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, ফেরেশতাগণ রাস্তার দূরত্ব পরিমাপের পূর্বেই আল্লাহ লক্ষ্য করলেন, তাঁর প্রিয় বান্দাদের মজলিশের অর্ধেক পথে তার মৃত্যু হলেও সে এক বিঘত পেছনে রয়ে গেছে। এ সময় মহান আল্লাহ তাঁর অলী - বন্ধুদের উছিলায় লোকটির প্রতি দয়া পরবশ হলেন।তিনি গাফুরুর রাহীম নামের মহিমা প্রকাশ করে জমিনকে নির্দেশ করলেন, হে জমিন ! তুমি আমার বান্দাকে আমার অলী - বন্ধুদের মজলিশের দিকে এক হাত এগিয়ে দাও। মুহূর্তেই জমিন আল্লাহর নির্দেশ পালন করে। অতঃপর ফেরেশতাগণ রাস্তার দূরত্ব পরিমাপ করে দেখতে পান, লােকটি ক্ষমা পাবার উদ্দেশ্যে অলিদের মজলিশের দিকে অগ্রসর হছিল সে দিকটিই অধিক নিকটবর্তী। ফলে রহমতে ফেরেশতাগণ লােকটির রূহকে ইল্লিন নামক শান্তিময় স্থানে নিয়ে যান।

এভাবেই মহান দয়াময় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার অলি বন্ধুদের উসিলায় ক্ষমা করে থাকেন, তাই আসুন আমরা যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান এর উসিলা ধরে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। তিনি মহান ও দয়াময়।

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের দয়ায়- নুরু হাজী অঢেল ধন-সম্পদের মালিক হলেন।

আশেকে রাসূল হাজী মােঃ তুহিনূর রহমান (নুরু)। পিতা - মৃত হাজী মােঃ রহমত আলী, রাজধানী ঢাকার ৩০৯ / এ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির অধিবাসী। আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়ায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাকে অনেকেই 'নুরু হাজী' নামে চেনেন। তিনি ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মহান সংস্কারক যুগের ইমাম সুফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের কাছ থেকে মােহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ মার্চ সােমবার বাবে রহমতে এসে এ ঘটনা বর্ণনা করেন, তার জীবনে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এ অলৌকিক ঘটনাটি ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসের। ঘটনাটি ছিল এ রকম তিনি তার নিজের ভাষায় বলেন - আমি তখন ২৫ বছর বয়সী যুবক। ঢাকার স্থানীয় অধিবাসী হওয়ায় আমার অনেক বন্ধু ছিল, যাদের অনেকেই অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একে একে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকায় চলে যাচ্ছিল। আমিও বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। অতঃপর টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আমার মায়ের একটি জমি দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম। মােটামুটি টাকা সংগ্রহ হয়ে গেলে আমি আমার মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর কাছে এসে, বিদেশে যাবার অনুমতি চেয়ে আল্লাহর বন্ধুর দয়া প্রার্থনা করি। তিনি বলেন - ঠিক আছে, চেষ্টা করেন, আর দেখেন আল্লাহ কি করেন ! তারপর আমি ও আমার বন্ধু সরোয়ার হােসেন স্বপন একসাথে পাসপাের্ট ও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করলাম। আর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সর্বশেষ যখন টিকেট ও ডলার ক্রয় করব, ঠিক তখনই আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে মতিঝিলের আরামবাগে আসি। উল্লেখ্য, তখন মুর্শেদ কেবলাজান ১৫৪ আরামবাগে থাকতেন। উদ্দেশ্য যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর সাথে সাক্ষাৎ করে শেষ বারের মত দয়া চেয়ে নেয়া। এদিকে তার বন্ধু তার সাথে আসলেও দোতলায় উঠলাে না, সে বলল তুমি যাও দয়াল বাবাজানের কাছে আমি নিচে আছি। আমি দােতলায় চলে গেলাম। মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীকে কদমবুসি করার সাথে সাথে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- কি নুরু মিয়া, কিছু বলবেন? আমি বললাম - বাবাজান, জাপানে যাওয়ার ব্যাপারে সব আয়ােজন সম্পন্ন করেছি, এখন টিকেট ও ডলার কিনতে যাব, আমাকে দয়া করেন। আমার এ কথা শুনে বাবাজান রাগ করলেন, ফলে আমি অনেকটা থ বনে গেলাম। বিষয়টি তিনি মােটেই পছন্দ করলেন না। অতঃপর বললেন - “ অর্থের জন্য বিদেশে যাবেন? বিদেশে আল্লাহ আছে দেশে আল্লাহ নেই? যিনি বিদেশে দিতে পারেন, তিনি দেশে দিতে পারেন না? যান মিয়া, বাসায় যান। আপনার বিদেশে যাওয়া লাগবে না। দেখেন, আল্লাহ কি করেন। ' মহান মাের্শেদের এরূপ নির্দেশের প্রেক্ষিতে আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসলাম। আমার বন্ধুকে বললাম আমি বিদেশে যাবাে না। তুমি যাও, অতঃপর তাকে বিদায় দিয়ে সােজা যাত্রাবাড়ীর বাসায় চলে গেলাম। বাসায় যাবার পর আমার বোনেরাসহ পরিবারের সকলেই বলতে লাগল - তােমাকে বিদেশে যেতে হবে না, তুমি বিদেশে যাবে না। কি আশ্চর্য ! এতদিন সবাই উৎসাহ দিয়েছে, আর এখন সবাই বাধা দিচ্ছে। অথচ বাবাজানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমি তখনাে বাসায় কাউকে জানাইনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হছিল, আরামবাগ থেকে যাত্রাবাড়ীতে পৌছার পূর্বেই আল্লাহর বন্ধুর সিদ্ধান্ত আল্লাহ আমার পরিবারের লােকদের অন্তরে পৌছে দিয়েছেন!

যাই হােক বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জনের মিশন এখানেই থেমে গেল। কিন্তু আল্লাহ যে বাংলাদেশেও আছেন ' - আল্লাহর বন্ধুর এ রহস্যময় বাণী মােবারকের তাৎপর্য আমি তখনাে বুঝতে পারিনি। আমি অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ঐ দিনই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ার একটি মার্কেটের ২য় তলায় বসে আছি। হঠাৎ দেখি আমার এক ফুপাত ভাই হন্যে হয়ে আমাকে খুজছে। আমাকে দেখা মাত্রই বলল - তার পিতা অর্থাৎ আমার ফুপা আমাকে এখনই দেখা করতে বলেছে। ফুপার বয়স তখন ১১২ বছর। আমরা আগে থেকেই তাকে নিয়ে শংকিত ছিলাম। জানতে পারলাম তার শারীরিক অবস্থা ভালাে না। আমি তার কাছে ছুটে গেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম ঘটনা উল্টো। ফুপা৷ আমাকে বললেন - আমার একটা জায়গা আছে, তুমি এটি নিয়ে নাও। অামার টাকার খুব দরকার। ফুপা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করলেও আমাকে মাত্র দু ' লক্ষ টাকায় জায়গা দিয়ে দিলেন। আমার কাছে তখন এক লক্ষ বারাে হাজার টাকা ছিল। আমি এক লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে। বাকী বারাে হাজার টাকায় বালু ভরাট করি। আশ্চর্যের ব্যাপার, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ জমি বারাে লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। এভাবেই আমি ব্যবসা - বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ি। অতঃপর মহান আল্লাহ আমাকে একের পর এক ব্যবসায় সাফল্য দান করেন যা ছিল অকল্পনীয়।

এদিকে আরাে একটি ঘটনা ঘটেছিল। ব্যবসা শুরু করার কিছুদিন পর আমি মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর সহবতে একটি শক্ত কাঠ নিয়ে হাজির হই। আমি তখন নিয়মিত শরীর চর্চা করতাম এবং মার্শাল আর্ট শিখতাম। তাই আমার হাতের বাহু, পেশীমূল খুব শক্ত করে বাবাজানকে অনুরােধ করি, বাবা ! আপনি যদি দয়া করে, আমার বাহুতে শক্ত করে একটি বাড়ি দেন আমার কিছুই হবে না।বাবাজান আমার ছেলেমানুষী দেখে মুচকি হেসে দিয়ে বললেন আমি বাড়ি দিলে তাে আপনার হাতের হাড় ভেঙ্গে যাবে। বললাম - বাবা ! আপনার দয়ায় ভাঙ্গবে না, দয়া করে আমাকে এ কাঠ দিয়ে একটি বাড়ি দেন না। আমার বার বার অনুরােধের প্রেক্ষিতে যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী আমার বাহুতে একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। মুহূর্তেই আমি কদম মােবারক জড়িয়ে ধরে বলি বাবা, আমি শুনেছি আল্লাহর বন্ধু যদি কাউকে একটি ধমক দেয় কিংবা কোন প্রকারে কোন আঘাত করে তবে এতেও রহমত পাওয়া যায়। এর বিনিময়ে ঐ ব্যক্তির কোন মুসিবত দুর হয় অথবা ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায় ।বাবা, আপনি তাে আমাকে এ শক্ত কাঠ দ্বারা আঘাত করেছেন, দয়া করে আমাকে কিছু দেন। মহান মাের্শেদ আমার কথা শুনে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি চান ? আমি বললাম বাবা আপনি আমাকে সম্পদশালী ধনী বানিয়ে দেন, আমার টাকা দরকার। বাবাজান বললেন - আপনি বরং আমার কাছে ঈমান চান, আল্লাহ আমাকে এ নিয়ামত দান করেছেন যে, আমি আপনাকে ঈমানের ধনে ধনী বানিয়ে দেই।আমি বললাম - বাবা ! অাপনার দয়ায় আমি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে বিশ্বাস করি। আপনি দয়া করে আমাকে টাকা - পয়সা দান করেন, তবে আমি খুবই উপকৃত হব। মহান মাের্শেদ দ্বিতীয়বার তাঁর কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। কিন্তু এবারও আমি নাছােড়বান্দা ! অবশেষে তৃতীয়বার বাবাজান বললেন - ঠিক আছে, যান, আপনার অর্থ সম্পদ হবে।' মহান মাের্শেদের এ অমিয় বাণী মােবারক বুকে ধারণ করে আমি বাসায় চলে যাই। যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর অপার দয়ায় সেদিন থেকে আমি যেন আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেয়েছি। যে ব্যবসায় আমি হাত দিয়েছি অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। এভাবেই আমার অভাব দূর হয়ে গেল। মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধুর বরকতে আমাকে অঢেল ধন - সম্পদ দান করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। আমার এ উন্নতি দেখে যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় অনেক লােকেই তাদের নিজস্ব ভাষায় বলে থাকে নূরু হাজীকে দেওয়ানবাগী উঠাইয়া দিছে, সে যে ব্যবসায়ই হাত দেয়, তাতেই অর্থে লাল হয়ে যায়।কেউ কেউ বলে দেওয়ানবাগী নুরু হাজীকে এমন জিনিস দিয়েছে যে, সে ছাই ধরলে সােনা হয়ে যায়।তবে আসল বিষয় এই যে, মহান আল্লাহ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর কারামত দ্বারা আমাকে বর্তমানে অঢেল ধন সম্পদের অধিকারী করেছেন।আমি আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।আর এ মহামানব কেবল আমার অভাবই দূর করেননি, তিনি আমার জীবনের আলােকবর্তিকা হয়ে আছেন। এ মহামানবের অসংখ্য অলৌকিক কারামত আমাকে সাহায্য করেছে, বর্তমানে এ স্তরে উন্নীত করেছে। মহান আল্লাহর নিয়ামত গণনা করে যেমন শেষ করা যায় না। তেমনি, আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়া, মহিমা ও মহানুভবতার বর্ণনাও আমি শেষ করতে পারবাে না। হে দয়াময় খােদা ! তােমার এ তােমার বন্ধুর প্রতি আমি যেন চিরকৃতজ্ঞ ও আত্মসমর্পিত হয়ে থাকি। আমীন।

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের উসিলায় ক্যান্সার ভাল হলো।


আশেকে রাসূল শামিম, পিতাঃ নুরুল ইসলাম, গ্রামঃ চরকালীবাড়ি, থানাঃ কোতোয়ালী, জেলাঃ ময়মনসিংহ। ঘটনাটি কয়েক বছর পূর্বের। আশেকে রাসূল শামিমের মাতা নাজমা বেগম, বয়স তখন ৩৫ বছর ছিল। একদিন হঠাৎ তার কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া আরম্ভ করল। এভাবে দিনে প্রায় সময়ই তার কাশির সাথে রক্ত বের হতো। এতে তার মাতা ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ল। সাংসারিক কাজ ঠিকমত করতে পারছিলেন না। তার ছোট বোনই কাজ করতো। মা প্রায়শই শুয়ে থাকত। এভাবে দুই তিন মাস কেটে যায় ভালো হচ্ছিল না কিছুতেই। তখন সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখন সে কিছু টেস্ট করতে বলে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেদিন তার চেকআপ করানো হয়। পরদিন সন্ধ্যায় যখন সে রিপোর্ট আনতে যায়, তখন ডাক্তার বলল, আপনার মায়ের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। আমাদের পক্ষে এ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। আপনারা আল্লাহকে ডাকেন। তখন ডাক্তারের নিকট হতে একথা শুনে তার হাত পা অসাড় হয়ে আসছিল। সে বুঝতে পারছিল তার মাকে আর বাঁচানো যাবে না। তখন সে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাসায় এসে সবাইকে একথা জানায়। সবাই দুঃখ প্রকাশ করে। তার দাদা তাঁকে একটি মানত করতে বলেন। তখন সে তার মায়ের জন্য বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে মানত করেন। আজিজি করে করতে থাকেন, এ বিপদে মোর্শেদই একমাত্র ভরসা। দাদার পরামর্শে তিনি মোরাকাবায় বসে সাহায্য চান। এভাবে ৪/৫ মাসের মধ্যে তার মায়ের অসুস্থতা কেটে গেল। মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারা মাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করান। কিন্তু অাশ্চর্যের বিষয় টেস্টে কোন ক্যান্সার ধরা পড়েনি। এ রিপোর্ট দেখে ডাক্তারগণ ও অবাক হয়ে যান। এটা কি করে সম্ভব। তারা পুনরায় টেস্ট করান, কিন্তু আবারও একই অবস্থা ক্যান্সার ধরা পড়েনি। তখন তারা বুঝতে পারেন মানতে বরকতেই ক্যান্সার দূর হয়েছে। এরপর তারা মানত আদায় করে ঘটনাটি বর্ণনা করেন।

মহান দয়াময় প্রভূ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর উসিলায় সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলার তৌফিক ভিক্ষা দেন, আমিন।

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের বিরোধিতা করায় খোদায়ী গজবে গ্রেফতার।


আশেকে রাসূল বাদশাহ মোল্লা। বিশ্ব শান্তির দূত অলিকূল শিরোমণি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান এর কাছে তরিকা গ্রহণ করে ২০০২ সালে চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর মহান মোর্শেদের কথা খুব বেশি মনে পড়তো। অফিস শেষে প্রায়ই বাঙালী ভাইদের নিয়ে মোর্শেদের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতেন। সহকর্মী সাথেও তরিকা নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনিভাবে নিজেও তরিকার আমলের পাশাপাশি মানুষকে তরিকার দাওয়াত দিতেন। ঘটনার দিন কিছু লোকের মজলিশে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় একজন বাংলাদেশী মহান মোর্শেদের নাম নিয়ে অশ্লীল গালি দিয়েছিলেন। তার বাক্যটি শুনে মনে হলো একটা বিষাক্ত তীর তার বক্ষ ভেদ করেছে। তিনি তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে ঝগড়া বেধে যায়। সহকর্মীরা ছুটে এসে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি মনে মনে ঐ লোকটির শাস্তি দাবী করে এবং বলে হে দয়াময় খোদা, যে তোমার বন্ধুর প্রতি এ অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করেছে তুমি তাকে সমুচিত শিক্ষা দাও। নচেৎ যারা,এখানে উপস্থিত আছে তারা বিভ্রান্ত হবে। তার তখন মনে হচ্ছিল যতটুকু সে না কষ্ট পেয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট অাল্লাহ পেয়েছে।

তার পরদিনের ঘটনা। পরদিন সকালে লোকটা টয়লেট করতে গেলে তার মলদ্বার ভীষণ ব্যথা শুরু হয়। টয়লেটে ব্যথা অবস্থায় তার মলদ্বার বেরিয়ে আসে। যা আর ভেতরে ঢোকানো যাচ্ছিল না। অসহ্য যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে সে কাতরাতে থাকে। তার অফিস করা বন্ধ হয়ে গেল। তাকে কোরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। সেখানকার ডাক্তাররাও তার চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়েছে। লোকটা সর্বদা কান্নাকাটি করতে থাকে। তার এমন অবস্থা দেখে ঐ যারা উপস্থিত ছিলেন তারা মিটমাট করতে চাইলো। কারণ কারও বোঝার বাকী ছিলনা যে, এটা তার বেয়াদবির কারণে গজবে গ্রেফতার হয়েছে। তখন আশেকে রাসূল বাদশাহ মোল্লা ভাই বলেন, এখানে মিটমাটের কিছু নেই, সে আল্লাহর অলির সাথে বেয়াদবি করছে তার ফল ভোগ করছে। তবে হ্যা, সে যদি মহান মোর্শেদের কাছে ক্ষমা চায়, তবে আমিও তার জন্য আজিজি করতে পারি। তবে যার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়েছে, তার কি আর ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা আছে।
কিছুদিন পর ঐ লোকটি যে কোম্পানির অধীনে কাজ গিয়েছিল, সে কোম্পানি তাকে কাজের অনুপযুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
আর এভাবেই মহান আল্লাহ তার অলিবন্ধুর সম্মান বৃদ্ধি ও শত্রুকে পরাস্ত করে বহিঃবিশ্বে মোহাম্মদী ইসলামের প্রচারের সুব্যবস্থা করে দেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাটের দয়ার বদৌলতে বোবার মুখে কথা !


নবুয়তের যুগে অাল্লাহর পক্ষ থেকে আগত নবী রাসূলগণ মানুষকে চরম বিপদে উদ্ধার করে আল্লাহর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোযেজা দেখিয়েছেন। এ মোযেজা দেখে বিশ্বাসীগণের বিপদ দূর ও ঈমান মজবুত হয়েছে। তেমনি বেলায়েতের যুগে আল্লাহর অলিগণ বিভিন্ন কারামতি দেখিয়ে মানুষের বিপদ দূর ও সিরাতাল মুস্তাকিমের দিকে উঠিয়ে নিচ্ছেন। মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বর্তমান বিশ্বে হাদীদের ইমাম হিসেবে মানুষকে হেদায়েতের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। তার শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য মানুষ মনজিলে মকসুদ পৌছা সহ যেকোনো বিপদে আল্লাহর সাহায্য পেয়ে ধন্য হচ্ছে। এমনি একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।

জনাব মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, গ্রামঃ খামার দশলিয়া, ডাকঘরঃ নলডাঙা, থানাঃ সাদুল্যাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা। তার ভাগ্নি মোসাম্মৎ স্বপ্নার সদ্য বিবাহের ৩/৪ দিন পরের ঘটনা।

দুপুরবেলা স্বপ্না ঘুমিয়েছে। ঘুম ভাঙার পর আর কথা বলতে পারছে না। শত চেষ্টা করেও কথা বলতে না পেরে অনবরত কাঁদছে। তার স্বামী দেখে ভাবছে হয়তো তার পিতা মাতা ভাই বোনের কথা মনে হয়েছে তাই কাদছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কান্না না থামায় তার কারণ জানতে চাইলে স্বপ্না ইশারায় জানায় তার বাকশক্তি রহিত হয়ে গেছে। স্বামী বেচারা একথা শুনে ঘাবড়ে যায়। শশুড়বাড়ির লোকেরা সবাই ছুটে অাসে এবং আপসোস করে কেউ কেউ কানাঘুষা করে এতে স্বপ্না সংসার ভেঙে যাবার ভয়ে আরও কাঁদতে থাকে। এদিকে স্বপ্নার বাড়িতে খবর দিলে তার পিতা ও মামা স্বপ্নাকে এসে নিয়ে যায়। পরে স্বপ্নাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখানো হলো কিন্তু তাতে কোন লাভ হলো না। স্বপ্নার শশুর বাড়ির লোকজন বউ নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে স্বপ্নার পরিবার ও মামা নিরুপায় হয়ে যান। তাদের বাড়িতেও কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ২০ দিন অতিবাহিত হলো স্বপ্না বোবা। এদিকে তার মামা আবু বকর সিদ্দিক বাবে নাজাতে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যাবেন। তিনি প্রতিকূল অবস্থায় বর্তমান যুগের ইমাম তার মোর্শেদ সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের সাহায্য কামনা করেন। তখন তিনি মোর্শেদের নিকট হতে স্বপ্নে নির্দেশ পান। সূফী সম্রাট তাকে স্বপ্নে বলেন- আবুবকর মিয়া, আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সব পারেন। আপনি আপনার ভাগ্নিকে আত্মার বাণী চুবানো পানি পান করান এবং তার জন্য দেওয়ানবাগ শরীফে একটি মানত করেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। জনাব আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্নে মোর্শেদের নিকট হতে নির্দেশনা পেয়ে একটি মানত করেন ও আত্মার বাণী চুবিয়ে পানি পান করান। অতপর তিনি বাবে নাজাতের আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফিরে দেখে স্বপ্না হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলছে। বাবা মা অাত্মীয় স্বজন সবাই খুব খুশি। শশুরবাড়ির লোকজন এসে শুনে অাশ্চর্য হয়ে যায়। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের অসীম দয়ার সিদ্দিক সাহেব আনন্দে কাঁদতে থাকে। পরে দেওয়ানবাগ শরীফে এসে মানত আদায় করে ঘটনা বর্ণনা করেন।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর কদমের তলে আশ্রয় ভিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিক। আমিন।