Translate

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

দেওয়ানবাগ শরীফে মানতের বরকতে হারানো মেয়েকে ফেরত পেলেন।


মহান রাব্বুল আলামীন মানব জাতিকে হেদায়েত করার জন্য অনাদিকাল হতে এ পৃথিবীতে নবী, রাসূল ও অলী আল্লাহগণকে প্রেরণ করেছেন। তাদেরকে আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। নবুয়াতের যুগে বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন বিপদে পড়ে তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তারা বিপদগ্রস্ত মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। অনুরূপ ভাবে বেলায়েতের যুগেও বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন বিপদে পড়ে অলী-আল্লাহর শরণাপন্ন হন, অলী-আল্লাহগণ তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। বর্তমান যুগে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজান হলেন আল্লাহর প্রেরিত জগৎশ্রেষ্ঠ অলী-আল্লাহ। তিনি মানুষকে আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ) - এর নৈকট্য লাভের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সমাজের অনেক বিপদগ্রস্ত মানুষ তার কাছে এসে বিপদ থেকে উদ্ধার পাচ্ছেন। এমন বহু ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। নিন্মে সুধী মহলের জ্ঞাতার্থে একটি ঘটনা উপস্থাপন করা হল।

ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালাশর গ্রামের বাসিন্দা জনাব মােঃ খলিলুর রহমান। তার মেয়ের নাম মােছাঃ সামিরা আক্তার মুন্নি। সে তার বাড়ির পাশে দশমাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো। প্রতিদিনের মত মুন্নি সেদিন সকালে বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু তারপর সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এদিকে তার বাবা - মা তার জন্য অপেক্ষায় ছিল। স্কুল থেকে বাসায় আসার সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে দেখে জনাব খলিলুর রহমানের স্ত্রী তাকে বলল স্কুল থেকে একটু খোজ নিয়ে আসতে। জনাব খলিলুর রহমান তার স্ত্রীর কথা মত স্কুলে খোঁজ নিতে গেল। কিন্তু স্কুলে গিয়ে কাউকে সে পেল না। দেখল যে সবাই চলে গেছে, স্কুলে তালা লাগানাে। না পেয়ে ভাবল যে হয়ত তার কোন সহপাঠির বাসায় বেড়াতে গেছে। এদিকে সন্ধ্যা পার হয়ে রাত্রি হয়ে গেল কিন্তু তাদের মেয়ে আর ফিরে আসছে না। মেয়ে ফিরে না আসাতে বাড়ীর সবাই চিস্তায় অস্থির হয়ে গেল। তারা তাদের আত্মীয় স্বজন, মেয়ের সাথে যারা পড়াশােনা করে সবার বাসায়ই খোঁজ নিল, কিন্তু কেউই তাদের মেয়ের কোনো সন্ধান দিতে পারল না। সারারাত মেয়েকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে সকালে তারা তাদের এলাকা ও আশে পাশে মাইকিং করে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মেয়ের ছবি সহ পােষ্টার ও লিফলেট বিতরণ করেন। এভাবে তাদের মেয়ের খোজে দিন অতিবাহিত হয় তাদের। তারা বিভিন্ন কবিরাজ এর স্মরণাপন্ন হয়। কিন্তু কেউ তাদের মেয়ের সঠিক খবর বলতে পারে না। কেউ আবার বলে মেয়ে মারা গেছে। একেক জনের একেক রকম কথা। এভাবে ৭টি মাস কেটে যায় তাদের। মেয়ের সন্ধানে কোন মাধ্যমই বাকি রাখেন নি। জনাব খলিলুর রহমান ও তার পরিবার- পরিজন। কিন্তু কোন সুফলই পাননি। যে জায়গাতেই মেয়ের সন্ধানে গিয়েছেন হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছুই জোটেনি খলিলুর রহমানের কপালে। এইভাবে মেয়ের আশা ছেড়েই দিতে চলেছিলেন।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে জনাব খলিলুর রহমান এর সাথে কথা হয় সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা এক ভক্ত অনুসারীর। তার নাম জনাব মােঃ তাজুল ইসলাম সাহেব। তাজুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান সাহেব বাসের মধ্যে পাশাপাশি সিটে বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় খলিলুর রহমান সাহেব তার মেয়ের প্রসঙ্গ টানেন। খলিলুর রহমান সাহেব বলেন আজ থেকে ৭মাস আগে আমার মেয়ে হারিয়ে যায়। অনেক খােজা খোজি করছি কোথাও পাচ্ছিনা। চেষ্টার কোন কিছুই বাকি রাখি নাই। অনেক কবিরাজ এর কাছে গেছি কিন্তু কেউ আমার মেয়ের কোন সন্ধানই দিতে পারছেনা। এখন আমার মেয়ে বেঁচে আছে না মরে গেছে, তাও নিশ্চিত হতে পারছি না। কোথায় গেলে এখন আমি আমার মেয়েকে খোঁজে পাব এই বলে খলিলুর রহমান সাহেব কেঁদে উঠলেন। তার কথা শুনে জনাব তাজুল ইসলাম সাহেব বললেন আপনি যদি আমার মহান মাের্শেদ সূফী ম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলার কাছে যান আর তিনি যদি দয়া করেন, তাহলে আপনার মেয়ে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার ঘরে ফিরে আসবে। আপনার আর এত খােজ খবর নিতে হবে না। তাজুল ইসলাম সাহেবের কাছে আশার এই বাণী শুনার পর সে সাথে সাথে নিয়ত করলেন যে সূফী সম্রাটের দরবারে যাবেন এবং গাড়িতে বসেই সূফী সম্রাটের দরবারে শরীফে মানত করলেন। কিন্তু হরতাল ও অবরােধের কারণে তার আর সুফী সম্রাটের দরবার শরীফ ঢাকায় আসার সুযােগ হয়নি। তিনি তাজুল ইসলামের কথা মত সূফী সম্রাটের উপর বিশ্বাস করে তার মেয়ের সন্ধান করা বাদ দিলেন। তাজুল ইসলাম সাহেবের সাথে কথা হওয়ার দুই সপ্তাহ পর হঠাৎ একদিন দুপুরে তার মা ঘরের ভিতর দেখে যে তাদের মেয়ে খাটের উপর বসে আছে। মেয়েকে দেখে তার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে তার মেয়ে ফিরে এসেছে। সে তার মেয়ের কাছে যায়, মেয়েও তার মাকে দেখে মা বলে কাছে যায়। তার মা তার মেয়েকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ৭ মাস পর হারানাে মেয়েকে কাছে পেয়ে বিশ্বাসী হচ্ছিল না তার। তারপর সে বাড়ির সবাইকে ডেকে বলছিল তােমরা কে আছ আমার মেয়েকে দেখে যাও আমার মুন্নি ফিরে এসেছে। এ কথা শুনে বাড়ির সবাই ভাল যে, মেয়ের শােকে হয়ত সে পাগল হয়ে গেছে। তারপরও দুই একজন বের হয়ে দেখে যে সত্যি সত্যি ফিরে এসেছে। ৭ মাস পর ফিরে এসেছে দেখে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুন্নিকে দেখতে এলাকার লােকজন এসে বাড়িতে ভিড় জমায়। বাবা মা আত্মীয় স্বজন হারানাে মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। এদিকে দিয়ে মুন্নির কাছে সবাই জানতে চায় যে, সে এতদিন কোথায় ছিল? কার কাছে ছিল? আবার কিভাবেই বা ফিরে আসল? মুন্নি বলে যে আমি এইসব কিছু বলতে পারি না। বার বার একই প্রশ্ন করা হলে সে বলে যে সে কিছুই বলতে পারে না।

অবশেষে জনাব খলিলুর রহমান সাহেবেরও তার স্ত্রীর বুঝতে আর বাকি রইলনা যে তাদের মেয়ে সূফী সম্রাটের দয়ার বদৌলতেই ফিরে এসেছে তা না হলে সাত মাস এত খোজাখুজির করা হল কোথাও পাওয়া গেল না। আর সূফী সম্রাটের দরবারে মানত করার দুই সপ্তাহের মাথায় তাদের মেয়ে ঘরে এসে বসে আছে এটা সূফী সম্রাটের দয়া ছাড়া অন্য কিছুই না। অতঃপর পরিবারের সবাই সূফী সম্রাটের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে দরবার শরীফে মানত আদায় করতে এসে ঘটনার বর্ণনা করেন। এই রকম একজন দুইজন নয়, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাটের কাছ এসে বিপদ থেকে উদ্ধার পাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ তিনি যেন দয়া করে সারাবিশ্বের মানুষকে তার এই মহান বন্ধুর পরিচয় নসিব করান। আমীন।

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

সূফী সম্রাটের উসিলায় নিখোজ হওয়ার ৬ দিন পর ফিরে এলেন।


আশেকে রাসূল মােঃ আজগর আলী রামপুরা ঢাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর উপজেলার রানীমুহরী গ্রামে। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারী তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়ােজিত আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যােগদানের জন্য সকালেই বাসা থেকে বের হন। সারাদিন অনুষ্ঠান শেষে তার বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি আর বাসায় ফিরেননি। তার পরিবার পরিজনরা তার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রাত কাটিয়ে দেন। অথচ তার কোন সন্ধান পেলেন না। পরদিন সকালে তার মেয়ে নাসিমা পিতার খোঁজে বাবে রহমতে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন যে, আজগর আলী নামের কোন লােক বাবে রহমতে নেই। তখন তার অন্তর ভয়ে কেপে উঠে। কোথায় গিয়েছে আজগর আলী? তিনি কি কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ? আবার কত মানুষ ডাকাত ছিনতাইকারীদের হামলায় পড়ে, কত মানুষ মলমপাটির খপ্পরে পড়ে। এসব চিন্তা করে নাসিমা পেরেশান হয়ে উঠেন। সম্ভাব্য বিপদের আশংকা করে সে কাদতে থাকে। তারপর বাবে রহমতে বসেই সে দশহাজার টাকা ও একটা মিলাদ শরীফ মানত করে আল্লাহ যেন দয়া করে তার পিতাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এরপরে সে অবিরাম দরূদে মাহদী পড়তে থাকেন। এদিকে আজগর আলীর আত্মীয় স্বজনরা ঢাকার মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও হাসপাতালে খবর নেন। কিন্তু কোথাও তার কোন খোঁজ পেলেন না। এমতাবস্থায় তারা বাবে রহমতে এসে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের কাছে কান্নাকাটি করে জানান যে , তাকে এখনাে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবাজান বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেন আর দরূদে মাহদী পাঠ করেন। দেখবেন, আল্লাহর রহমতে আজগর আলী ফিরে আসবেই। সূফী সম্রাটের কথায় আশ্বস্থ হয়ে তারা সবাই মিলাদ আর দরূদ শরীফ পড়তে থাকে। ওদিকে আজগর আলীর মেয়ে নাসিমা কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা - বড় আপাজানের কাছে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনিও তাদেরকে মানত করে দয়াল বাবাজানের কাছে আজিজি করতে পরামর্শ দেন। তিনি আরাে বলেন, আপনার আব্বা দয়াল নবীজির শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সুতরাং তাকে আল্লাহ যেভাবেই হােক রক্ষা করবেন। কারণ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সমস্ত সৃষ্টিরাজির জন্য সবচেয়ে রহমত ও বরকতের দিন। এ দিনে আল্লাহ্ মানুষের মছিবত দূর করেন। আপনারা ধৈৰ্য্য ধরেন নিশ্চয়ই তিনি ফিরে আসবেন।

এভাবে ছয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজগর আলী নিজে নিজেই একা বাসায় ফিরে আসেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন - আমি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আয়ােজিত বাবে রহমতে আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যাই। অনুষ্ঠান শেষে আমি কোথায় যে ছিলাম, তা জানি না। এ কয়দিন কি হয়েছে আমি তাও জানিনা। আজগর আলী বাসায় ফিরে আসার পর তার মেয়ে নাসিমা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাবে রহমতে এসে আর পিতাকে পাওয়ার সংবাদ জানিয়ে যান। আসলে এভাবে আল্লাহ তার বন্ধু - সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের বরকতে মানুষের বিপদ - আপদ দূর করেন। আল্লাহ সবাইকে এই মহামানবের সান্নিধ্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূফী সম্রাটের উসিলায় অগ্নিকান্ডে নিশ্চিত মৃত্যু হতে রক্ষা।


আশেকে রাসূল সিমজল হােসেন, ঢাকাস্থ কাওরান বাজারের বিএসইসি ভবনে ব্রাদারহুড সিকিউরিটিজ লিমিটেড - এ চাকরি করেছেন।তিনি নিজের আত্মার মুক্তি এবং আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর পরিচয় লাভ করার জন্য মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলায়েত লাভকারী, আকাশের পুর্ণিমার চাদ, আধুনিক সূফীবাদের জনক, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের কাছে তরিকা গ্রহণ করেন। তিনি এ মহামানবের প্রচারিত মােহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা - দীক্ষা নেয়ার পর থেকেই তার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি বিভিন্নভাবে আল্লাহর সাহায্য পেতে শুরু করেন।

ঘটনাটি ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে ফেব্রুয়ারির। সেদিন কাওরান বাজার বিএসইসি ভবনে আলােড়ন সৃষ্টিকারী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তার কর্মস্থল ছিল উক্ত ভবনের ৪র্থ তলায়। এই ভবনেই ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভি এবং আরটিভি - এর সম্প্রচার কার্যালয়। এর ফলে আগুন লাগার সংবাদ মুহর্তেই মিডিয়ায় সম্প্রচার হতে থাকে। এদিকে আগুন লাগার পর সময় যত গড়াচ্ছিল, আগুনের বিস্তৃতি, তীব্রতা ও ভয়াবহতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এ কঠিন অবস্থায় তিনিসহ আটজন ৪র্থ তলায় আটকা পড়েন। অগ্নিকাণ্ড সিড়ির গােড়া থেকে সূত্রপাত হওয়ায় তারা কেউ সিড়ি বেয়ে নামা তাে দূরের কথা, সিড়ির কাছেই যেতে পারছিলেন না । এদিকে আগুন সিড়ি থেকে এসি ডার দিয়ে বিভিন্ন ফ্লোরের ফলস সিলিং ফোম পুড়তে থাকে। সর্বত্র ধোয়ার তীব্রতায় কালাে অন্ধকার নেমে আসে। তাদের আটজনের মানসিক অবস্থা তখন এতটাই ভয়াবহ যে, তারা তখন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণতেছিল। এদিকে তার সাথে থাকা সাতজনই তখন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়ল। তখন সে ধােয়ায় এমনভাবে আচ্ছন্ন হয়েছিল যে, দু চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রচণ্ড কাশিতে শ্বাস - প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। এর তিনি পূর্বে মােবাইলে কয়েকজনের সাথে কথা বলে বিদায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন । তারা তাকে বাচানাের জন্য ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়েছে বলে সংবাদ জানায়। সমস্ত ভবনে তখন আমার মত শত শত লােকের আহাজারি চলছে। এসময় তিনি নিজেকে সবচাইতে বেশি অসহায় ভাবছিলেন।

ঠিক ঐ মুহর্তে তার স্মরণে আসে মহান মোর্শেদ, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের কথা। তিনি তখন অঝাের নয়নে কেদে কেদে দয়াল বাবাজানকে স্মরণ করতে থাকেন। তিনি বলেন বাবাজান! আমি আপনার একজন পাপী মুরিদ সন্তান। আজ অগ্নিকাণ্ডে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছি। জগতে আপনি ছাড়া আর কেউ নেই যে, আমাকে বাঁচাতে পারে। ওগো দয়াল বাবাজান! আমাকে দয়া করুন। এভাবে আজিজি করে তিনি যখন কাদছিলেন, ঠিক তখনই তিনি মহান মোর্শেদের সুমধুর কণ্ঠের আহবান শুনতে পান। তখন মমতামাখা কণ্ঠে তাকে ডাকলেন - “ সিমল মিয়া এদিকে আসুন। 'বাবাজানের কণ্ঠ শুনে প্রচণ্ড ধোয়ার মাঝে অনুমান করে তিনি বাবাজানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর সামনে এগুতেই দেখতে পান, মহান মুর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) দয়াল বাবাজান দয়া করে মই লাগিয়ে ৪র্থ তলায় তার জন্য অপেক্ষা করছেন। তারপর বাবাজান নিজ হাতে তাকে ধরে মইয়ে তুলে দেন এবং তৎক্ষণাৎ অন্ধকার ধোয়ার মাঝে অদৃশ্য হয়ে যান। সিমজল মিয়া মই বেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারপর ফায়ার সার্ভিসের লােকেরা তাক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পেয়ে আত্মীয় - স্বজন ও সহকর্মীরা আনন্দ করতে থাকে। অথচ তার তখন বুক ফেটে কান্না আসছিল। সেই কান্না শুকরিয়ার কান্না, মহান মুর্শেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রেমের কান্না। বাবাজানের দয়ায় ও সাহায্যে সেদিন তিনি নতুন জীবন লাভ করেন।

মহান আল্লাহ দয়া করে তার অলি-বন্ধুর উসিলায় আমাদের জীবনের যাবতীয় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুক। আমিন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের উসিলায় হার্ট স্ট্রোক হতে মুক্তি লাভ।


পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “ফাজকুরুনি আজকুরকুম” অর্থাৎ - তুমি আমাকে স্মরণ কর, আমিও তােমাকে স্মরণ করব। আল্লাহকে স্মরণ করলে আল্লাহও বান্দাকে স্মরণ করে থাকেন।

মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলায়েত লাভকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব - এ - খােদা দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজানের কদম মােবারকে এসে অসংখ্য মানুষ ইহলৌকিক নানা বিপদ আপদ থেকে পরিত্রাণ লাভ করে পারলৌকিক মুক্তি পাচ্ছেন। এই মহামানবের কোনাে মুরিদ সন্তান বিপদে পড়ে যদি তাকে স্মরণ করে, তিনি দয়া করে সঙ্গে সঙ্গে তার বিপদ দূর করে দেন। তিনি এমনই একজন মাের্শেদ যিনি তার মুরিদ সন্তানের সকল খবর রাখেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের জনৈক মুরিদ সন্তান আশেকে রাসূল মােঃ বাবুল আহমেদ, পিতাঃ মােঃ হােসেন বেপারী, গ্রাম ও পােঃ তাজপুর, উপজেলাঃ সিরাজদিখান, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ। তিনি কিভাবে মাের্শেদের দয়ায় হার্ট স্ট্রোক হতে মুক্তি পেয়েছেন তারই বিবরণ নিন্মে তুলে ধরা হলাে।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ একদিন তার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথায় অস্থির হয়ে তিনি বিছানায় শুয়ে পড়েন এবং তিনি তার মাের্শেদ কেবলাজানকে স্মরণ করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে থাকেন। এমতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলাে। হাসপাতালের ডাক্তারগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাে যে, তার হার্টে দুটি ব্লক আছে। এই কথা শুনে তিনি ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান। মনে মনে দয়াল মহান মাের্শেদকে স্মরণ করে আজিজী করতে থাকেন। রাতে বুকের ব্যথায় বুক চাপা দিয়ে আজিজী করে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি রাতে স্বপ্নে দেখতে পান তার দয়াল দরদী মাের্শেদ কেবলাজান সুন্দর জামা কাপড় পরিহিত অবস্থায় তার কাছে এলেন এবং তাকে বলছেন, এই মিয়া এত ভয় পান কেন। আমি আছি। তখন সে ওঠার চেষ্টা করলে দয়াল মাের্শেদ তাকে শুইয়ে দেন এবং তার বুকে তার হাত মােবারক রাখলেন । কিছুক্ষণ পর যখন হাত সরালেন তখন সে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অনুভব করল। ঘুম থেকে সকালে উঠে সত্যিই তিনি সুস্থতা অনুভব করলেন এবং বুকে কোনাে ব্যথা অনুভব করলেন না। তখন তার রাতের ঘটনার কথা মনে পড়লাে এবং অঝর নয়নে কাঁদতে থাকেন। পরে তিনি দয়াল মহান মাের্শেদকে কৃতজ্ঞতা জানান। এখন তিনি সুস্থ আছেন। মহান মালিকের নিকট ফরিয়াদ জানান তিনি যেন দয়া করে আজীবন এই মহামানবের কদম মােবারকে থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।