Translate

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মোর্শেদকে ভালবাসার মাধ্যমেই মনজিলে মকসুদে পৌছানো সম্ভব -ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা (মাঃ আঃ)।


বিশেষ সংবাদদাতাঃ মহান সংস্কারক মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব - এ - খােদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড . আরসাম কুদরত এ খােদা ( মাঃ আঃ ) বলেন, মাের্শেদকে ভালবাসার মাধ্যমেই মনজিলে মকসুদে পৌছানাে সম্ভব। কারণ মাের্শেদ হচ্ছেন নূরে মােহাম্মদীর ধারক ও বাহক। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, দেওয়ানবাগ শরীফের বাবে রহমতে সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিলে এ কথা বলেন। ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর বলেন, এলমুল ক্বালবের শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের পক্ষে একমাত্র এলমুল কালবের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সঃ) - এর অনুসরণ এবং তার প্রতি ভালােবাসার মাধ্যমেই প্রকৃত ইসলাম শিক্ষা লাভ করা সম্ভব। হযরত রাসূল (সঃ) - এর আদর্শকে ছেড়ে দেওয়ার কারণেই মুসলিম জাতি আজ প্রকৃত ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজান মানুষকে সেই এলমুল কালব ও হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রতি ভালােবাসার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ আশেকে রাসূলে পরিণত হচ্ছেন। মােহাম্মদী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করে মানুষ শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণের পথের সন্ধান লাভ করছেন। ড. কুদরত এ খােদা বলেন, আমাদের মহান মাের্শেদ দয়া করে পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তে তাঁর মুরিদকে বিপদে সাহায্য করে থাকেন। তাই আমাদেরকে আদবের সাথে মাের্শেদের সান্নিধ্যে আসতে হবে।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে আগত আশেকে রাসূলগণের সাথে সাক্ষাত করেন মহান সংস্কারক মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ ) হুজুর কেবলাজান। এরপর সাক্ষাত প্রদান করেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা (মাঃ আঃ)। বাদ জুমা মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খােদা ( মাঃ আঃ ) আশেকে রাসূলগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ বাণী মোবারক প্রদান করেন।

পরিশেষে তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী: একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা- ড. আরসাম কুদরত এ খোদা


মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। যখন কিছুই ছিল না তখন তিনি ছিলেন, আবার যখন কিছুই থাকবে না, তখনও তিনিই থাকবেন। তিনিই সকলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমান মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে - বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিরাকার তাঁকে জীবদ্দশায় দেখা সম্ভব নয়। কেউ যদি তার আকার নিয়ে চিন্তা করে বা তার দিদার লাভ করে, সে ঈমানহারা হয়ে যাবে। আর এই অমূলক ও ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস করে মানুষ সরল মনে নিরাকার ও অদৃশ্য আল্লাহর ইবাদত করছে। অথচ নবুয়তের যুগে নবী - রাসূল মানুষকে মহান আল্লাহর সাথে যােগাযােগের পদ্ধতি শিক্ষা দিতে এ ধূলির ধরায় আগমন করেছেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় বেলায়েতের যুগে অলী - আল্লাহগণ আল্লাহকে পাওয়ার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। যদি আল্লাহ নিরাকার হতেন তাহলে তারা মানুষকে কার সাথে যােগাযােগের শিক্ষা দিয়েছেন? আর মানুষইবা কাকে পাওয়ার জন্য ইবাদত করে? জীবদ্দশায় স্রষ্টার দীদার লাভ অসম্ভব হলে মৃত্যুর সময় ঈমানী পরীক্ষায় কেন প্রশ্ন করা হয়- 'তােমার প্রভু কে?' প্রভু অদৃশ্য হলে হযরত রাসূল (সঃ) মিরাজে গিয়ে কিভাবে প্রভুর দর্শন লাভ করলেন? এ বিষয়গুলাে কি প্রমাণ করে আল্লাহ নিরাকার? মহান আল্লাহ মানুষের কালবের ৭ম স্তর নাফসীর মােকামে অবস্থান করার পরও মানুষের বিশ্বাস তিনি সাত আসমানের পরে আছেন। মূলত প্রভুর সাথে যােগাযােগের পন্থা হারিয়ে ফেলার কারণে এক সময়ের শ্রেষ্ঠ জাতি মুসলমান আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত। এমনি এক সংকটময় মুহূর্তে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর পরিচয় তুলে ধরার জন্য মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব -এ- খােদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে ধূলির ধরায় প্রেরণ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে জগৎবাসীর উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ঘােষণা করেন - “আমি আল্লাহকে দেখেছি। ”তার এই ঘােষণা শােনে স্বার্থান্বেষী মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। তাসাউফ বিবর্জিত আলেম সমাজের চরম বিরােধিতার সম্মুখীন হয়েও তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন - “আমি আল্লাহকে এমনভাবে চিনি, যেভাবে সন্তান তার পিতাকে চেনে। ”তাই সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস দূর করার লক্ষ্যে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলােকে প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নেন- 'মহান আল্লাহ নিরাকার নন, তার নূরের রূপ আছে’। এ মহাসত্য বাস্তবায়নে তিনি কুরআন গবেষণা শুরু করেন। প্রথমে এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল কুরআনের আলােকে জীবন বিধান গ্রন্থ রচনা করা। যে গ্রন্থটি পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ বিষয় ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায় সন্নিবেশিত করা হবে, যেন মানুষের পক্ষে তা সহজে বােধগম্য হয়। পরবর্তীতে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হলে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সিদ্ধান্ত নিলেন যার বাণী কুরআন, সর্বপ্রথম তার পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। কেননা মানুষ যদি আল্লাহর পরিচয় না জানে, তবে আল্লাহর বাণীর গুরুতু কখনােই অনুধাবন করতে পারবে না। আল্লাহর পরিচয় ও স্বরূপ তুলে ধরার লক্ষ্যে তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী গ্রন্থের উৎপত্তি। মানবজাতির ইতিহাসে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই একমাত্র তাফসীর প্রণেতা যিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল - কুরআন ও মারফু হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর জাত - পাক ও ৯৯টি সিফাত বা গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপন করে ১১৩৭৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী নামক ৮ম খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন করেন । এই ৮ খণ্ড তাফসীরের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান প্রমাণ করেন - মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। নিম্নে এই ৮ খণ্ড তাফসীরের সংক্ষিপ্ত - পর্যালােচনা উপস্থাপন করা হলােঃ

১ম খণ্ড: সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ’ ১ম খণ্ডে ১১টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর জাত পাকের পরিচয় উপস্থাপন করেছেন। এই খণ্ডে মহান আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়ে পবিত্র কুরআনের ২৮ খানা আয়াত এবং আল্লাহর নূরময় সত্তার বর্ণনায় ১৮ খানা আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়া মহান আল্লাহর চেহারা মোবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআনের ১৪ খানা অায়াত, চক্ষু মােবারকের বর্ণনায় ৬৩ খানা আয়াত, শ্রবণেন্দ্রিয়ের বর্ণনায় ৪৮ খানা আয়াত, জবান মােবারকের বর্ণনায় ৪৭৭ খানা আয়াত, হাত মােবারকের বর্ণনায় ১৭ খানা আয়াত, কদম মোবারকের বর্ণনায় ২ খানা আয়াত এবং নফস বা দেহ মােবারকের বর্ণনায় ৬ খানা আয়াত উপস্থাপিত হয়। এভাবে মহান আল্লাহর নূরের রূপ যথা নুরের চেহারা মােবারক, নুরের চক্ষু মােবারক, নূরের কান মােবারক, নূরের হাত মােবারক, নুরের কদম মােবারক ও নূরের দেহ মােবারকের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার পর তাফসীর প্রণেতা সূফী ম্রাট হুজুর কেবলাজান মহান আল্লাহর রূহ মােবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ২০ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেন। এভাবে তিনি মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ রূপের বর্ণনা পবিত্র কুরআনের প্রামাণ্য দলিল দ্বারা প্রমাণ করেন। অতঃপর তিনি মহান আপ্লাহর দর্শন লাভ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের ৩০ খানা আয়াত তুলে ধরে। মহান আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয় লিপিবদ্ধ করে প্রমাণ করেন - 'মহান আল্লাহ রূপহীন নিরাকার নন, তার নূরের রূপ আছে। মূলত ১ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা পবিত্র কুরআন থেকে ৭২৩ খানা আয়াত এবং ২৮০৮ থানা হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয় মানবজাতির নিকট তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী " ১ম খণ্ড ১৫৬৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

২য় খণ্ড; তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী '২য় খণ্ডে ৬টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর ৯৯টি সিফাতের মধ্য থেকে ৩৪টি সিফাত তথা গুণবাচক নামের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। তিনি ৩৪টি সিফাতের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ৫০১ খানা আয়াত এবং ১৪৩৮ খানা হাদীস উল্লেখ করে প্রমাণ করেছেন - “মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ” ২য় খন্ডটি ১৩৪৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৩য় খণ্ডঃ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৩য় খণ্ডে ৪টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহর ৫টি গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপনের জন্য পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৩ খানা আয়াত ও ১৩০৬ খানা হাদীস সন্নিবেশিত করা হয়। এ তাফসীর শরীফে ৪টি অধ্যায়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ কুল-কায়েনাতের সকল প্রাণীর রিজিকদাতা, তিনি সবাইকে দেখেন, সবার মুখ ও অন্তরের কথা শুনেন এবং সকলের সার্বিক অবস্থার কথা জানেন। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৩য় খন্ডটি ১৪৩১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৪র্থ খণ্ড : তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৪র্থ খণ্ডে ১৫টি অধ্যায়ে মহান রাব্বুল আলামীনের ১৮টি সিফাতের পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন। এ ১৮টি গুণবাচক নাম মােবারকের মহিমা, বাস্তবতা ও প্রয়ােগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৪২১ খানা আয়াত ও ১৯৬৬ খানা হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি কুরআন ও হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর স্বরূপ তুলে ধরে প্রমাণ করেন -মহান আল্লাহর নূরের রূপ। আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া এ খণ্ডে তিনি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের তাফসীর অন্য আয়াত দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন। যাকে তাফসীর শাস্ত্রের পরিভাষায় তাফসীর কুরআন বিল কুরআন' বলা হয়। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী '৪র্থ খণ্ডটি ১৩৮৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৫ম খণ্ড : সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ৫ম খণ্ডে মহান আল্লাহর ১৭টি সিফাতের পরিচয় ১৭টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন। তিনি এই ১৭টি অধ্যায়কে ৫৩টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করে পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৮ খানা আয়াত ও ১৯৩৩ খানা হাদীসের সমন্বয়ে প্রমাণ করেছেন - মহান
আল্লাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৫ম খণ্ডটি ১৪৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৬ষ্ঠ খণ্ডঃ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৬ষ্ঠ খন্ডে মহান রাব্বুল আলামীনের সুন্দরতম গুণবাচক নামসমূহের ২৩টি গুণবাচক নামের পরিচয় ২৩টি অধ্যায়ে উপস্থাপন করেছেন। পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৯ খানা আয়াত ও ১৮৯৪ থানা হাদীসের আলােকে মহান আল্লাহর ২৩টি গুণবাচক নামের দ্বারাই তাফসীর প্রণেতা প্রমাণ করেছেন - মহান আত্মাহর নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া সুফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান বিভিন্ন অধ্যায়ে আল্লাহর সিফাত বা গুণবাচক নামের পর্যালােচনা অংশে পবিত্র কুরআনের ১২০৫ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেছেন।যা পাঠ করে পাঠক মহান রাব্বুল আলামীনের গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হবেন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৬ষ্ঠ খণ্ডটি ১৩৭৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৭ম খন্ডঃ “তাফসীরে সম্রাট দেওয়ানবাগী ৭ম খন্ড অধ্যয়নে পাঠকবৃন্দ মহান আল্লাহর ৯টি গুণবাচক নামের মহিমা ও বৈশিষ্ট্যের পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এ খন্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান পবিত্র কুরআনের সিফাত ভিত্তিক ৫৪৪ খানা আয়াত ও ২২১৯ খানা হাদীস উপস্থাপনের মাধ্যমে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছেন- “মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। এছাড়া এই খণ্ডে বিষয় সংশ্লিষ্ট আরও অনেক আয়াত ও হাদীস সন্নিবেশিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৭ম খণ্ডটি ১৪০৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

৮ম খন্ডঃ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৮ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মহান রাব্বুল আলামীনের “আর - রব” নাম মােবারকের মহিমা উপস্থাপন করেছেন। তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৬২১ খানা আয়াত ও ২৩৪৩ খানা হাদীসকে ৩২টি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন- মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন। উল্লেখ্য যে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' ৮ম খণ্ডটি ১৪০৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' নামক ৮ খন্ড তাফসীর প্রণয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন- মহান আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন'। এ তাফসীর শরীফ পাঠ করে প্রাজ্ঞ পাঠক সমাজের জানার সুযােগ হবে যে - মহান আল্লাহ স্থুল দেহধারী নন, একইভাবে তিনি মানুষের মত রক্ত মাংসের দেহধারী নন, তিনি নূরের'। এ নুরময় সত্তাকে দেখা যায়, তার কথা শােনা যায়, তবে হাত দিয়ে ধরা ও ছোঁয়া যায় না। উপমা স্বরূপ বলা যায়, টেলিভিশনের পর্দায় যে মানুষটি সংবাদ পাঠ করে, এটি ঐ ব্যক্তির আলােকদেহ। ফলে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষের আলােক দেহকে দেখা যায়, তার কথা শােনা যায়, কিন্তু তাকে ধরা যায় না, এমনকি স্পর্শ করা বা ছোঁয়া যায় না। অনুরূপভাবে পরিশুদ্ধ কালবের পর্দায় মহান আল্লাহর নূরের চেহারা মােবারক দেখা যায় এবং তার কথা শোনা যায়। মানুষ যদি সাধনার মাধ্যমে আত্মিক পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে পারে তাহলে সেই মানুষটি আত্মিক জবানে আল্লাহর সাথে কথাও বলতে পারেন। মুলত সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র তাফসীরকারক যিনি মহান আল্লাহ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে' - এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলােকে ৮ খণ্ড তাফসীর রচনা করে বিশ্ববাসীর নিকট মহান আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন। আবহমানকাল থেকে মানব জাতি মহান আল্লাহকে নিরাকার ভেবে যে ভুল করে আসছিলেন, জগতশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান ৮ খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন কর সে ভুল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন । তাই তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের কদম মােবারকে জানাই লাখাে শুকরিয়া।

(সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ ২৩ অাগষ্ট ২০১৯)