Translate

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

১০০ খুন করেও আউলিয়াদের ওসিলায় মাফ পেয়েছেন এক ব্যক্তি।


হযরত আবু সাঈন সাদ ইবনে মালেক ইবনে সিনান আল - খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত - তিনি বলেন, হযরত রাসুল (সঃ) এরশাদ করেন - পূর্ববর্তী যুগে এক ব্যক্তি ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করে, অতঃপর সে মুক্তির সন্ধানে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আলেমের সন্ধান করলাে। তখন ছিল ঈসায়ী ইসলামের যুগ। ফলে তাকে খ্রিস্টান ধর্মের একজন হুজুরের সন্ধান দেয়া হলাে। মুক্তি পাগল লােকটি বড় আশা নিয়ে ঐ আলেমের দ্বারস্থ হয়ে আরজ করলাে - হযরত ! আমি ৯৯ জন মানুষকে খুন করেছি। এখন আমার জন্য তওবা করার কোনো সুযােগ আছে কি? জবাবে ঐ হুজুর বললো, না তােমার জন্য তওবার দরজা খােলা নেই, এতগুলাে খুন করার পরও যদি আল্লাহ তোমাকে মাফ করেন, তবে তিনি জাহান্নামে দেবেন কাকে? এতে লােকটি ক্রোধান্বিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্মের ঐ হুজুরকেও হত্যা করে ১০০টি খুন পূর্ণ করল, লােকটি ভাবলো, যেহেতু আমার আর মুক্তির আশা নেই, সুতরাং এ হুজুরকে বাঁচিয়ে রেখে আর লাভ কি?
এ পর্যায়ে লােকটি মুক্তির নেশায় পাগলের মত ছুটাছুটি শুরু করল। এবার সে আল্লাহ তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী একজন দরবেশের দেখা পেলেন তিনি তাকে বললেন, আমি ১০০ জন লােককে হত্যা করেছি ।এখন আমার জন্য তওবার পথ খােখোলা আছে কি? জবাবে আলেম বললেন - হ্যা, তােমার জন্য তওবার সুযােগ আছে, আল্লাহ যদি আছতোমাকে ক্ষমা করে আল্লাহর তো কোনো লোকসান হবে না বা কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে ,না। আলেম তাকে পরামর্শ দিলেন - 'তুমি অমুক স্থানে যাও। সেখানে কিছু সংখ্যক সুফী - সাধকেরা এক পবিত্র মজলিসে রয়েছে। তাঁরা ইবাদত - বন্দেগী বা সাধনারত আছেন। তুমিও তাদের সােহবত লাভ করে সাধনায় রত হও। কখনােই দেশে ফিরে এসাে না। লোকটি ক্ষমা পাওয়ার আশায় ঐ মজলিশের উদ্দেশ্যে ছুটে চললো নির্দিষ্ট স্থানের অর্ধেক পথ চলার পর সে মারা গেল। তখন রহমতের ফেরেশতা এবং আযাবের ফেরেশতা বিতর্কে লিপ্ত হলো। রহমতের ফেরেশতাগণ বললেন, লােকটি তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে আযাবের ফেরেশতাগণ বললেন, লােকটি কখনাে কোনাে ভাল কাজ করেনি। বিতর্ক যখন চরমে পৌঁছে গেল, তখন মানব রূপ ধারণপূর্বক একজন ফেরেশতা উপস্থিত হলেন সবাই তার সালিশ মেনে নিল। তবে ভিন্ন বর্ণনায় এসেছে , এ সময় রহমতের ফেরেশতাগণ ও আযাবের ফেরেশতাগণ এ দ্বন্দ্বের ফয়সালার জন্য আল্লাহর হুজুরে হাজির হন। অতঃপর মহান আল্লাহ নির্দেশ দেন, তােমরা উভয় দিকের রাস্তার দূরত্ব মেপে দেখ, সে তার যাত্রা পথের কোন অংশ বেশি অতিক্রম করেছে যে দিকটি নিকটতম হবে সে এরই উপযুক্ত। রাস্তার দূরত্ব পরিমাপের পর দেখা গেল লােকটি যেদিকে উদ্দেশ্য করে যাচ্ছিল সেদিকটিই নিকটে। সূফীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, ফেরেশতাগণ রাস্তার দূরত্ব পরিমাপের পূর্বেই আল্লাহ লক্ষ্য করলেন, তাঁর প্রিয় বান্দাদের মজলিশের অর্ধেক পথে তার মৃত্যু হলেও সে এক বিঘত পেছনে রয়ে গেছে। এ সময় মহান আল্লাহ তাঁর অলী - বন্ধুদের উছিলায় লোকটির প্রতি দয়া পরবশ হলেন।তিনি গাফুরুর রাহীম নামের মহিমা প্রকাশ করে জমিনকে নির্দেশ করলেন, হে জমিন ! তুমি আমার বান্দাকে আমার অলী - বন্ধুদের মজলিশের দিকে এক হাত এগিয়ে দাও। মুহূর্তেই জমিন আল্লাহর নির্দেশ পালন করে। অতঃপর ফেরেশতাগণ রাস্তার দূরত্ব পরিমাপ করে দেখতে পান, লােকটি ক্ষমা পাবার উদ্দেশ্যে অলিদের মজলিশের দিকে অগ্রসর হছিল সে দিকটিই অধিক নিকটবর্তী। ফলে রহমতে ফেরেশতাগণ লােকটির রূহকে ইল্লিন নামক শান্তিময় স্থানে নিয়ে যান।

এভাবেই মহান দয়াময় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার অলি বন্ধুদের উসিলায় ক্ষমা করে থাকেন, তাই আসুন আমরা যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান এর উসিলা ধরে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। তিনি মহান ও দয়াময়।

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের দয়ায়- নুরু হাজী অঢেল ধন-সম্পদের মালিক হলেন।

আশেকে রাসূল হাজী মােঃ তুহিনূর রহমান (নুরু)। পিতা - মৃত হাজী মােঃ রহমত আলী, রাজধানী ঢাকার ৩০৯ / এ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির অধিবাসী। আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়ায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাকে অনেকেই 'নুরু হাজী' নামে চেনেন। তিনি ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মহান সংস্কারক যুগের ইমাম সুফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের কাছ থেকে মােহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ মার্চ সােমবার বাবে রহমতে এসে এ ঘটনা বর্ণনা করেন, তার জীবনে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এ অলৌকিক ঘটনাটি ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসের। ঘটনাটি ছিল এ রকম তিনি তার নিজের ভাষায় বলেন - আমি তখন ২৫ বছর বয়সী যুবক। ঢাকার স্থানীয় অধিবাসী হওয়ায় আমার অনেক বন্ধু ছিল, যাদের অনেকেই অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একে একে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকায় চলে যাচ্ছিল। আমিও বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। অতঃপর টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আমার মায়ের একটি জমি দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম। মােটামুটি টাকা সংগ্রহ হয়ে গেলে আমি আমার মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর কাছে এসে, বিদেশে যাবার অনুমতি চেয়ে আল্লাহর বন্ধুর দয়া প্রার্থনা করি। তিনি বলেন - ঠিক আছে, চেষ্টা করেন, আর দেখেন আল্লাহ কি করেন ! তারপর আমি ও আমার বন্ধু সরোয়ার হােসেন স্বপন একসাথে পাসপাের্ট ও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করলাম। আর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সর্বশেষ যখন টিকেট ও ডলার ক্রয় করব, ঠিক তখনই আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে মতিঝিলের আরামবাগে আসি। উল্লেখ্য, তখন মুর্শেদ কেবলাজান ১৫৪ আরামবাগে থাকতেন। উদ্দেশ্য যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর সাথে সাক্ষাৎ করে শেষ বারের মত দয়া চেয়ে নেয়া। এদিকে তার বন্ধু তার সাথে আসলেও দোতলায় উঠলাে না, সে বলল তুমি যাও দয়াল বাবাজানের কাছে আমি নিচে আছি। আমি দােতলায় চলে গেলাম। মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীকে কদমবুসি করার সাথে সাথে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- কি নুরু মিয়া, কিছু বলবেন? আমি বললাম - বাবাজান, জাপানে যাওয়ার ব্যাপারে সব আয়ােজন সম্পন্ন করেছি, এখন টিকেট ও ডলার কিনতে যাব, আমাকে দয়া করেন। আমার এ কথা শুনে বাবাজান রাগ করলেন, ফলে আমি অনেকটা থ বনে গেলাম। বিষয়টি তিনি মােটেই পছন্দ করলেন না। অতঃপর বললেন - “ অর্থের জন্য বিদেশে যাবেন? বিদেশে আল্লাহ আছে দেশে আল্লাহ নেই? যিনি বিদেশে দিতে পারেন, তিনি দেশে দিতে পারেন না? যান মিয়া, বাসায় যান। আপনার বিদেশে যাওয়া লাগবে না। দেখেন, আল্লাহ কি করেন। ' মহান মাের্শেদের এরূপ নির্দেশের প্রেক্ষিতে আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসলাম। আমার বন্ধুকে বললাম আমি বিদেশে যাবাে না। তুমি যাও, অতঃপর তাকে বিদায় দিয়ে সােজা যাত্রাবাড়ীর বাসায় চলে গেলাম। বাসায় যাবার পর আমার বোনেরাসহ পরিবারের সকলেই বলতে লাগল - তােমাকে বিদেশে যেতে হবে না, তুমি বিদেশে যাবে না। কি আশ্চর্য ! এতদিন সবাই উৎসাহ দিয়েছে, আর এখন সবাই বাধা দিচ্ছে। অথচ বাবাজানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমি তখনাে বাসায় কাউকে জানাইনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হছিল, আরামবাগ থেকে যাত্রাবাড়ীতে পৌছার পূর্বেই আল্লাহর বন্ধুর সিদ্ধান্ত আল্লাহ আমার পরিবারের লােকদের অন্তরে পৌছে দিয়েছেন!

যাই হােক বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জনের মিশন এখানেই থেমে গেল। কিন্তু আল্লাহ যে বাংলাদেশেও আছেন ' - আল্লাহর বন্ধুর এ রহস্যময় বাণী মােবারকের তাৎপর্য আমি তখনাে বুঝতে পারিনি। আমি অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ঐ দিনই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ার একটি মার্কেটের ২য় তলায় বসে আছি। হঠাৎ দেখি আমার এক ফুপাত ভাই হন্যে হয়ে আমাকে খুজছে। আমাকে দেখা মাত্রই বলল - তার পিতা অর্থাৎ আমার ফুপা আমাকে এখনই দেখা করতে বলেছে। ফুপার বয়স তখন ১১২ বছর। আমরা আগে থেকেই তাকে নিয়ে শংকিত ছিলাম। জানতে পারলাম তার শারীরিক অবস্থা ভালাে না। আমি তার কাছে ছুটে গেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম ঘটনা উল্টো। ফুপা৷ আমাকে বললেন - আমার একটা জায়গা আছে, তুমি এটি নিয়ে নাও। অামার টাকার খুব দরকার। ফুপা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করলেও আমাকে মাত্র দু ' লক্ষ টাকায় জায়গা দিয়ে দিলেন। আমার কাছে তখন এক লক্ষ বারাে হাজার টাকা ছিল। আমি এক লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে। বাকী বারাে হাজার টাকায় বালু ভরাট করি। আশ্চর্যের ব্যাপার, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ জমি বারাে লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। এভাবেই আমি ব্যবসা - বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ি। অতঃপর মহান আল্লাহ আমাকে একের পর এক ব্যবসায় সাফল্য দান করেন যা ছিল অকল্পনীয়।

এদিকে আরাে একটি ঘটনা ঘটেছিল। ব্যবসা শুরু করার কিছুদিন পর আমি মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর সহবতে একটি শক্ত কাঠ নিয়ে হাজির হই। আমি তখন নিয়মিত শরীর চর্চা করতাম এবং মার্শাল আর্ট শিখতাম। তাই আমার হাতের বাহু, পেশীমূল খুব শক্ত করে বাবাজানকে অনুরােধ করি, বাবা ! আপনি যদি দয়া করে, আমার বাহুতে শক্ত করে একটি বাড়ি দেন আমার কিছুই হবে না।বাবাজান আমার ছেলেমানুষী দেখে মুচকি হেসে দিয়ে বললেন আমি বাড়ি দিলে তাে আপনার হাতের হাড় ভেঙ্গে যাবে। বললাম - বাবা ! আপনার দয়ায় ভাঙ্গবে না, দয়া করে আমাকে এ কাঠ দিয়ে একটি বাড়ি দেন না। আমার বার বার অনুরােধের প্রেক্ষিতে যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী আমার বাহুতে একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। মুহূর্তেই আমি কদম মােবারক জড়িয়ে ধরে বলি বাবা, আমি শুনেছি আল্লাহর বন্ধু যদি কাউকে একটি ধমক দেয় কিংবা কোন প্রকারে কোন আঘাত করে তবে এতেও রহমত পাওয়া যায়। এর বিনিময়ে ঐ ব্যক্তির কোন মুসিবত দুর হয় অথবা ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায় ।বাবা, আপনি তাে আমাকে এ শক্ত কাঠ দ্বারা আঘাত করেছেন, দয়া করে আমাকে কিছু দেন। মহান মাের্শেদ আমার কথা শুনে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি চান ? আমি বললাম বাবা আপনি আমাকে সম্পদশালী ধনী বানিয়ে দেন, আমার টাকা দরকার। বাবাজান বললেন - আপনি বরং আমার কাছে ঈমান চান, আল্লাহ আমাকে এ নিয়ামত দান করেছেন যে, আমি আপনাকে ঈমানের ধনে ধনী বানিয়ে দেই।আমি বললাম - বাবা ! অাপনার দয়ায় আমি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে বিশ্বাস করি। আপনি দয়া করে আমাকে টাকা - পয়সা দান করেন, তবে আমি খুবই উপকৃত হব। মহান মাের্শেদ দ্বিতীয়বার তাঁর কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। কিন্তু এবারও আমি নাছােড়বান্দা ! অবশেষে তৃতীয়বার বাবাজান বললেন - ঠিক আছে, যান, আপনার অর্থ সম্পদ হবে।' মহান মাের্শেদের এ অমিয় বাণী মােবারক বুকে ধারণ করে আমি বাসায় চলে যাই। যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর অপার দয়ায় সেদিন থেকে আমি যেন আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেয়েছি। যে ব্যবসায় আমি হাত দিয়েছি অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। এভাবেই আমার অভাব দূর হয়ে গেল। মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধুর বরকতে আমাকে অঢেল ধন - সম্পদ দান করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। আমার এ উন্নতি দেখে যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় অনেক লােকেই তাদের নিজস্ব ভাষায় বলে থাকে নূরু হাজীকে দেওয়ানবাগী উঠাইয়া দিছে, সে যে ব্যবসায়ই হাত দেয়, তাতেই অর্থে লাল হয়ে যায়।কেউ কেউ বলে দেওয়ানবাগী নুরু হাজীকে এমন জিনিস দিয়েছে যে, সে ছাই ধরলে সােনা হয়ে যায়।তবে আসল বিষয় এই যে, মহান আল্লাহ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর কারামত দ্বারা আমাকে বর্তমানে অঢেল ধন সম্পদের অধিকারী করেছেন।আমি আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।আর এ মহামানব কেবল আমার অভাবই দূর করেননি, তিনি আমার জীবনের আলােকবর্তিকা হয়ে আছেন। এ মহামানবের অসংখ্য অলৌকিক কারামত আমাকে সাহায্য করেছে, বর্তমানে এ স্তরে উন্নীত করেছে। মহান আল্লাহর নিয়ামত গণনা করে যেমন শেষ করা যায় না। তেমনি, আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়া, মহিমা ও মহানুভবতার বর্ণনাও আমি শেষ করতে পারবাে না। হে দয়াময় খােদা ! তােমার এ তােমার বন্ধুর প্রতি আমি যেন চিরকৃতজ্ঞ ও আত্মসমর্পিত হয়ে থাকি। আমীন।

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের উসিলায় ক্যান্সার ভাল হলো।


আশেকে রাসূল শামিম, পিতাঃ নুরুল ইসলাম, গ্রামঃ চরকালীবাড়ি, থানাঃ কোতোয়ালী, জেলাঃ ময়মনসিংহ। ঘটনাটি কয়েক বছর পূর্বের। আশেকে রাসূল শামিমের মাতা নাজমা বেগম, বয়স তখন ৩৫ বছর ছিল। একদিন হঠাৎ তার কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া আরম্ভ করল। এভাবে দিনে প্রায় সময়ই তার কাশির সাথে রক্ত বের হতো। এতে তার মাতা ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ল। সাংসারিক কাজ ঠিকমত করতে পারছিলেন না। তার ছোট বোনই কাজ করতো। মা প্রায়শই শুয়ে থাকত। এভাবে দুই তিন মাস কেটে যায় ভালো হচ্ছিল না কিছুতেই। তখন সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখন সে কিছু টেস্ট করতে বলে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেদিন তার চেকআপ করানো হয়। পরদিন সন্ধ্যায় যখন সে রিপোর্ট আনতে যায়, তখন ডাক্তার বলল, আপনার মায়ের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। আমাদের পক্ষে এ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। আপনারা আল্লাহকে ডাকেন। তখন ডাক্তারের নিকট হতে একথা শুনে তার হাত পা অসাড় হয়ে আসছিল। সে বুঝতে পারছিল তার মাকে আর বাঁচানো যাবে না। তখন সে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাসায় এসে সবাইকে একথা জানায়। সবাই দুঃখ প্রকাশ করে। তার দাদা তাঁকে একটি মানত করতে বলেন। তখন সে তার মায়ের জন্য বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে মানত করেন। আজিজি করে করতে থাকেন, এ বিপদে মোর্শেদই একমাত্র ভরসা। দাদার পরামর্শে তিনি মোরাকাবায় বসে সাহায্য চান। এভাবে ৪/৫ মাসের মধ্যে তার মায়ের অসুস্থতা কেটে গেল। মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারা মাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করান। কিন্তু অাশ্চর্যের বিষয় টেস্টে কোন ক্যান্সার ধরা পড়েনি। এ রিপোর্ট দেখে ডাক্তারগণ ও অবাক হয়ে যান। এটা কি করে সম্ভব। তারা পুনরায় টেস্ট করান, কিন্তু আবারও একই অবস্থা ক্যান্সার ধরা পড়েনি। তখন তারা বুঝতে পারেন মানতে বরকতেই ক্যান্সার দূর হয়েছে। এরপর তারা মানত আদায় করে ঘটনাটি বর্ণনা করেন।

মহান দয়াময় প্রভূ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর উসিলায় সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলার তৌফিক ভিক্ষা দেন, আমিন।

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের বিরোধিতা করায় খোদায়ী গজবে গ্রেফতার।


আশেকে রাসূল বাদশাহ মোল্লা। বিশ্ব শান্তির দূত অলিকূল শিরোমণি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান এর কাছে তরিকা গ্রহণ করে ২০০২ সালে চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর মহান মোর্শেদের কথা খুব বেশি মনে পড়তো। অফিস শেষে প্রায়ই বাঙালী ভাইদের নিয়ে মোর্শেদের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতেন। সহকর্মী সাথেও তরিকা নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনিভাবে নিজেও তরিকার আমলের পাশাপাশি মানুষকে তরিকার দাওয়াত দিতেন। ঘটনার দিন কিছু লোকের মজলিশে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় একজন বাংলাদেশী মহান মোর্শেদের নাম নিয়ে অশ্লীল গালি দিয়েছিলেন। তার বাক্যটি শুনে মনে হলো একটা বিষাক্ত তীর তার বক্ষ ভেদ করেছে। তিনি তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে ঝগড়া বেধে যায়। সহকর্মীরা ছুটে এসে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি মনে মনে ঐ লোকটির শাস্তি দাবী করে এবং বলে হে দয়াময় খোদা, যে তোমার বন্ধুর প্রতি এ অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করেছে তুমি তাকে সমুচিত শিক্ষা দাও। নচেৎ যারা,এখানে উপস্থিত আছে তারা বিভ্রান্ত হবে। তার তখন মনে হচ্ছিল যতটুকু সে না কষ্ট পেয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট অাল্লাহ পেয়েছে।

তার পরদিনের ঘটনা। পরদিন সকালে লোকটা টয়লেট করতে গেলে তার মলদ্বার ভীষণ ব্যথা শুরু হয়। টয়লেটে ব্যথা অবস্থায় তার মলদ্বার বেরিয়ে আসে। যা আর ভেতরে ঢোকানো যাচ্ছিল না। অসহ্য যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে সে কাতরাতে থাকে। তার অফিস করা বন্ধ হয়ে গেল। তাকে কোরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। সেখানকার ডাক্তাররাও তার চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়েছে। লোকটা সর্বদা কান্নাকাটি করতে থাকে। তার এমন অবস্থা দেখে ঐ যারা উপস্থিত ছিলেন তারা মিটমাট করতে চাইলো। কারণ কারও বোঝার বাকী ছিলনা যে, এটা তার বেয়াদবির কারণে গজবে গ্রেফতার হয়েছে। তখন আশেকে রাসূল বাদশাহ মোল্লা ভাই বলেন, এখানে মিটমাটের কিছু নেই, সে আল্লাহর অলির সাথে বেয়াদবি করছে তার ফল ভোগ করছে। তবে হ্যা, সে যদি মহান মোর্শেদের কাছে ক্ষমা চায়, তবে আমিও তার জন্য আজিজি করতে পারি। তবে যার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়েছে, তার কি আর ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা আছে।
কিছুদিন পর ঐ লোকটি যে কোম্পানির অধীনে কাজ গিয়েছিল, সে কোম্পানি তাকে কাজের অনুপযুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
আর এভাবেই মহান আল্লাহ তার অলিবন্ধুর সম্মান বৃদ্ধি ও শত্রুকে পরাস্ত করে বহিঃবিশ্বে মোহাম্মদী ইসলামের প্রচারের সুব্যবস্থা করে দেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাটের দয়ার বদৌলতে বোবার মুখে কথা !


নবুয়তের যুগে অাল্লাহর পক্ষ থেকে আগত নবী রাসূলগণ মানুষকে চরম বিপদে উদ্ধার করে আল্লাহর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোযেজা দেখিয়েছেন। এ মোযেজা দেখে বিশ্বাসীগণের বিপদ দূর ও ঈমান মজবুত হয়েছে। তেমনি বেলায়েতের যুগে আল্লাহর অলিগণ বিভিন্ন কারামতি দেখিয়ে মানুষের বিপদ দূর ও সিরাতাল মুস্তাকিমের দিকে উঠিয়ে নিচ্ছেন। মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বর্তমান বিশ্বে হাদীদের ইমাম হিসেবে মানুষকে হেদায়েতের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। তার শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য মানুষ মনজিলে মকসুদ পৌছা সহ যেকোনো বিপদে আল্লাহর সাহায্য পেয়ে ধন্য হচ্ছে। এমনি একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।

জনাব মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, গ্রামঃ খামার দশলিয়া, ডাকঘরঃ নলডাঙা, থানাঃ সাদুল্যাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা। তার ভাগ্নি মোসাম্মৎ স্বপ্নার সদ্য বিবাহের ৩/৪ দিন পরের ঘটনা।

দুপুরবেলা স্বপ্না ঘুমিয়েছে। ঘুম ভাঙার পর আর কথা বলতে পারছে না। শত চেষ্টা করেও কথা বলতে না পেরে অনবরত কাঁদছে। তার স্বামী দেখে ভাবছে হয়তো তার পিতা মাতা ভাই বোনের কথা মনে হয়েছে তাই কাদছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কান্না না থামায় তার কারণ জানতে চাইলে স্বপ্না ইশারায় জানায় তার বাকশক্তি রহিত হয়ে গেছে। স্বামী বেচারা একথা শুনে ঘাবড়ে যায়। শশুড়বাড়ির লোকেরা সবাই ছুটে অাসে এবং আপসোস করে কেউ কেউ কানাঘুষা করে এতে স্বপ্না সংসার ভেঙে যাবার ভয়ে আরও কাঁদতে থাকে। এদিকে স্বপ্নার বাড়িতে খবর দিলে তার পিতা ও মামা স্বপ্নাকে এসে নিয়ে যায়। পরে স্বপ্নাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখানো হলো কিন্তু তাতে কোন লাভ হলো না। স্বপ্নার শশুর বাড়ির লোকজন বউ নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে স্বপ্নার পরিবার ও মামা নিরুপায় হয়ে যান। তাদের বাড়িতেও কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ২০ দিন অতিবাহিত হলো স্বপ্না বোবা। এদিকে তার মামা আবু বকর সিদ্দিক বাবে নাজাতে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যাবেন। তিনি প্রতিকূল অবস্থায় বর্তমান যুগের ইমাম তার মোর্শেদ সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের সাহায্য কামনা করেন। তখন তিনি মোর্শেদের নিকট হতে স্বপ্নে নির্দেশ পান। সূফী সম্রাট তাকে স্বপ্নে বলেন- আবুবকর মিয়া, আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সব পারেন। আপনি আপনার ভাগ্নিকে আত্মার বাণী চুবানো পানি পান করান এবং তার জন্য দেওয়ানবাগ শরীফে একটি মানত করেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। জনাব আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্নে মোর্শেদের নিকট হতে নির্দেশনা পেয়ে একটি মানত করেন ও আত্মার বাণী চুবিয়ে পানি পান করান। অতপর তিনি বাবে নাজাতের আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফিরে দেখে স্বপ্না হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলছে। বাবা মা অাত্মীয় স্বজন সবাই খুব খুশি। শশুরবাড়ির লোকজন এসে শুনে অাশ্চর্য হয়ে যায়। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের অসীম দয়ার সিদ্দিক সাহেব আনন্দে কাঁদতে থাকে। পরে দেওয়ানবাগ শরীফে এসে মানত আদায় করে ঘটনা বর্ণনা করেন।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর কদমের তলে আশ্রয় ভিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিক। আমিন।

১০ কেজি চাল ও ৩ কেজি মাংসের তাবারুক আটশ মানুষ জন্য পর্যাপ্ত হলো


আশেকে রাসূল মোহন আলী মামুন, কুষ্টিয়ার অধিবাসী। বর্তমানে ঢাকাস্থ উত্তরার দলিপাড়ায় বসবাস করে।ঘটনাটি ২০১১ সালের ৫ মে'র। দলিপাড়া বাজারে আশেকে রাসূল সঃ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ মহতি অনুষ্ঠানে ২৫০ জন লোকের তাবারুকের আয়োজন করা হয়।
রান্না করা তাবারুক প্যাকেট করলে উপস্থিত লোকজনের সংখ্যা ও প্যাকেট সমান সমানই ছিল। কিন্তু যখন বিদ্যুৎ চলে গেল, ততখনই সমস্যা হলো, মাহফিলের চারপাশে অসংখ্য শপিং কমপ্লেক্স, কলে-কারখানা সহ অসংখ্য আবাসিক এলাকা রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জেনারেটরের আলোকিত প্যান্ডেেলে অসংখ্য মানুষ এসে পড়ে। হিসাব করে দেখা যায় নতুন করে প্রায় ৮০০ মানুষ এসেছে। তখন তাবারুক রান্নার জন্য মাত্র ১০ কেজি চাল ও ৩ কেজি মাংস ছিল। তখন তাই রান্না করা হলো। অতঃপর সূসূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজানের উসিলা ধরে খাবারে বরকতের জন্য আজিজি করা হয়। তখন অবিশাস্য হলেও সত্য যে, খাবারে এতই বরকত হয় উপস্থিত আটশ লোকের সবাই তাবারুক পায়। ঐদিন মহান রাব্বুল আলামীনের অপার দয়ায় একজন লোকও না খেয়ে বাড়ি যায়নি।

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

ঐতিহাসিক ও বহুল প্রচারিত "সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ" পত্রিকার ৩৬ তম বর্ষে পদার্পণ।

মহান রাব্বুল আলামীনের অপার দয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদী ইসলামের মুখপত্র সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ পত্রিকাটি ৩৬ বর্ষে পদার্পন করলো।

গত ৮ মার্চ ২০১৯ খৃষ্টাব্দে পত্রিকাটির ৩৬ বর্ষের ১ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ব শান্তির দূত সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বিশেষ বাণী মোবারকে বলেনঃ "পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অপার দয়ায় মোহাম্মদী ইসলামের মুখপত্র 'সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ ' ছত্রিশ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জেনে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর সুমহান আদর্শ ও শিক্ষা মোহাম্মদী ইসলাম বাংলা ভাষা ভাষী আপামর মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই আমি এ পত্রিকা প্রকাশ করেছিলাম। দিনে দিনে সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ শান্তির ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে আপামর মানুষের মন জয় করে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। সুদূর অতীত হতে বাংলা ভাষায় বহু পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে, আবার কয়েক বছর পরে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এ পত্রিকা ৩৫ বছর নিয়মিত প্রকাশণার মাধ্যমে প্রমাণ করে এর ভিত্তি কতো মজবুত ও সুদৃঢ়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশ্বনবী হযরত রাসূলে পাক (সঃ) আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বর মানুষদের আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দিয়ে চরিত্রবান করে জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো- এলমুল ক্বালব। এ শিক্ষা দিয়ে তিনি বর্বর যুগের মানুষদের পৃথিবীর সেরা জাতিতে পরিণত করেছিলেন। হযরত রাসূল (সঃ) এর ঐ শিক্ষা দিয়ে যুগে যুগে দেশে দেশে মহান অাওলিয়ায়ে কেরাম মানবজাতিকে শান্তি ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। যারা অাওলিয়ায়ে কেরামের সান্নিধ্যে গিয়ে তাদের শিক্ষা অনুসরণ করেছেন, তারাই ইসলামের প্রকৃত শান্তি লাভে ধন্য হয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা অলী-আল্লাহগনের সাহচর্য লাভের গুরুত্ব উপলব্ধি না করে কিতাব সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। ফলে ধর্ম পালন করেও তারা শান্তি খুঁজে পাচ্ছে না। আসলে কিতাব মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না। কিতাবের চরিত্রে চরিত্রবান ব্যক্তিই সত্যিকার শান্তি ও মুক্তি এনে দিতে পারে। এজন্য মহান রাব্বুল আলামীন আসমানী কিতাব নাজিল করার পরও মানুষকে হেদায়েত করার জন্য একলক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বর পৃথিবীতে প্রেরন করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে - "আমার সৃষ্টির মাঝে একটি সম্প্রদায় আছে, যারা মানুষকে সৎ পথ দেখায় ও সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে।" সুতরাং যারা আল্লাহর অলীদের সাহচর্যে গিয়ে তাদের শিক্ষা অনুসরণ করে, তারাই হেদায়েত লাভ করতে পারে।

'সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ' এ সত্যটি সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই মহতি উদ্যোগের কারণেই এ পত্রিকাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উপনীত হয়েছে। আমি আশা করি আগামীতেও 'সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ' ইসলামের শান্তি বাণী প্রচারের ধারা অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
আমি এ পত্রিকার নতুন বছরের সূচনা লগ্নে এর উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। সেই সাথে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পত্রিকাটি সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে, তাদের সবার শান্তি ও কল্যাণের জন্য আমার খাছ দোয়া রইলো। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, আমীন।"

উল্লেখ যে, সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ ছাড়াও সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের আরও তিনটি পত্রিকা রয়েছে। এগুলো হলোঃ 'দৈনিক ইনসানিয়াত', ইংরেজি সাপ্তাহিক 'The Massage', ও মাসিক 'অাত্মার বাণী'। সবগুলো পত্রিকাই নিয়মিতভাবে গৌরবের সাথে প্রকাশিত হয়ে আসছে।