Translate

শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের আগমন উপলক্ষে বাবে বরকতে আশেকে রাসূল (সা.) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 


গত ২৮ জুলাই ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলাধীন আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন অবস্থিত বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফে আল্লাহর মহান বন্ধু, আম্বিয়ায়ে কেরামগণের বেলায়েত লাভকারী, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, আল্লাহর দেয়া পুরস্কারঃ পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব এ খোদা (রহ.) এর সুযোগ্য উত্তরসূরী, মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব, সীরাজুম মুনিরার ধারক, দেওয়ানবাগ শরীফের পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী, মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট হতে ধর্ম পরিচালনার দায়িত্ব লাভকারী, সূফী সম্রাট কর্তৃক অসিয়তকৃত মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা.আ.) হুজুর কেবলাজানের আগমনের সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই তাকে একনজর দেখার জন্য পাশ্ববর্তী জেলা থেকে হাজার হাজার আশেকে রাসূলগন এসে ভীড় জমান। যা পরবর্তীতে ২৯ জুলাই ২০২২ শুক্রবার আশেকে রাসূল (সা.) সম্মেলনে রূপান্তরিত হয়ে যায়। 


এমতাবস্থায় ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান সবাইকে নিয়ে জামায়াতে জুমার নামাজ আদায় করার পর সবার উদ্দেশ্যে মূল্যবান বাণী মোবারক রাখেন। এরপর তিনি আখেরি মোনাজাত করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে সবাইকে তাবারুক খাইয়ে বিদায় দেন। 


উল্লেখ্য যে, ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা.আ.) হুজুর মোহাম্মদী ইসলাম বিশ্বময় প্রচারের জন্য বেশ কয়েক মাস প্রবাসে অবস্থান করেন। আর এতে দীর্ঘদিন আশেকে রাসূলেরা তাদের প্রাণপ্রিয় মহামানবকে সামনাসামনি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরায় তাকে একনজর দেখার জন্য বাবে বরকতে আশেকেদের উপস্থিতিতে এহেন মিলনমেলা সহসা আশেকে রাসূল (সা.) সম্মেলনে রূপ নেয়।

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২

মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনায় সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজানের সর্বশেষ অছিয়তনামা।


 দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী,যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, আল্লাহর দেয়া পুরস্কার: পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি- সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ইং সোমবার ওফাত লাভ করেন। তিনি সঠিকভাবে মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার জন্য ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ইং রবিবার, উপস্থিত ৪ পুত্র, ২ কন্যা, তাঁর স্ত্রী, ২ পুত্রবধু ও খাদেমদের সম্মুখে কতিপয় নির্দেশনামূলক অছিয়ত করেন। নিম্নে অছিয়তসমূহ উল্লেখ করা হলো-


১। আমি মেজো হুজুরকে ( ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা) মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। আর তোমরা ৩ ভাই ও ২ বোন তাঁকে সহযোগিতা করবে।


২। মেজো হুজুর সকল দরবার, খানকাহ শরীফ, আশেকে রাসুল মজলিস কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করবে। আর তোমরা যার যার স্থান থেকে আঞ্চলিক দরবারসমূহ পরিচালনা করবে।


৩। জায়গা জমির সকল কাজ, মামলা মোকদ্দমা কদর (মেজো হুজুর) দেখবে। প্রশাসনিক সকল কাজও কদর দেখবে। তোমরা ওকে সহযোগিতা করবে। কোনোভাবেই জাকেরদের কথা শুনে তোমরা কেউ কদরের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না। তোমাদেরকে কুপরামর্শ দিয়ে কদরের পিছনে লাগাবে, তোমরা এগুলি বিশ্বাস করবে না। তামিন (তাহমিনা) আমার কাছে কদরের নামে অনেক মিথ্যা বিচার দিতো। তামিন (তাহমিনা) তোমাদের চরম শত্রু। সাঈদুরের চেয়ে তামিনটা বড়ো বেশি খারাপ। ও (তাহমিনা) সাহস না দিলে সাঈদুর একা আমার বিরুদ্ধে এতো কিছু করতে পারতো না।


৪। আমি তোমাদের ৪ জনকে ইমাম বলেছি। এও বলেছি যে, আমার দরবারে কেউ পির হবে না। সাঈদুর নিজে পির হওয়ার জন্য এতো কিছু করেছে। 


৫। এই তরিকা আমার সাজানো বাগান। আমি এটা জলে ভেসে যেতে দেবো না। এই যুদ্ধে কদর যদি আমার পাশে এগিয়ে না আসত, তাহলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকত না। 


৬। দয়াল বাবাজান তাঁর ৪ সাহেবজাদাকে একমতে চলার নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, বিপথগামী সাঈদুর, তার স্ত্রী এবং পরিবার বা তাদের অনুসারীদের কুপরামর্শে নিজেদের মধ্যে ফেৎনা তৈরি করবে না। 


৭। ওরা তোমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তোমরা সব সময় সতর্ক থাকবে। 


৮। তোমরা তামিনকে (তাহমিনা) কখনও সুযোগ দিবে না।


৯। আমার পরেই মোহাম্মদী ইসলাম শেষ নয়, তোমরা মোহাম্মদী ইসলামকে সামনে এগিয়ে নিবে।


১০। তোমরা ইমানের উপর কায়েম থাকবে। কখনও ইমানহারা হবে না। 


পরিশেষে, কেউ যেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃআঃ) হুজুর- এর বিরুদ্ধাচারণ না করে সেই বিষয়ে দয়াল বাবাজান সবাইকে অঙ্গীকার করান। দয়াল বাবাজানের ওফাতের পর তাঁর জানাজার নামাজের পূর্বে কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুলের উদ্দেশে উল্লিখিত অছিয়তটি পাঠ করে শোনান। অতঃপর বড়ো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.) হুজুর, সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. ফজল-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর ও ছোটো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁদের বক্তব্যে বলেন যে, তাঁরা এই অছিয়তনামাটি পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং মোহাম্মদী ইসলামকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।