Translate

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

হযরত রাসূল (সঃ) এর মোজেজা বা অলৌকিক কারামতি- আকাশের চাঁদকে দিখন্ডিত করা।


হযরত রাসূল (সঃ) এর নবুয়তের কথা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর নানান দেশে হতে দলে দলে লোক এসে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে লাগল। সে সময় পারস্য দেশ হতে একদল ইহুদী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করার জন্য মক্কায় আগমন করলো।

পথিমধ্যে আবু জেহেলের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হলো। সে জিজ্ঞাসা করল- তোমরা কোথায় যাচ্ছ? তারা উত্তর করল - আমরা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আবু জেহেল বলল- মুহাম্মদ যে সত্যিই আল্লাহর নবী ভালভাবে তার প্রমাণ না নিয়ে তোমরা হঠাৎ কিছু করো না।

তারা জিজ্ঞেস করলো- আমরা কিভাবে তা বুঝতে পারবো?
আবু জেহেল বলল- চলো আমিও তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছি, যা করতে হয় তা আমিই করব।
অতঃপর লোকগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আবু জেহেল হযরত রাসূল (সঃ) এর নিকটে এসে বলল- হে মুহাম্মদ। তুমি তো আমাদের দেব দেবীকে নিন্দা করো। আর বলে থাকো যে, তুমিই আল্লাহর নবী! আজ যদি তার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারো তবে এই তলোয়ার দিয়ে তোমার গর্দান দ্বি-খন্ডিত করে ফেলব।
হযরত রাসূল (সঃ) আবু জেহেলের কথায় ভীত বা রাগান্বিত না হয়ে বেশ ধীরে সুস্থেই বলল- বল! তোমরা কি প্রমাণ দেখতে চাও?
তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল এবং আকাশে সবেমাত্র পূর্ণিমার চাঁদ উদয় হয়েছিল। হঠাৎ আকাশের দিকে আবু জেহেলের দৃষ্টিপাত হওয়ার সে বলল- তুমি যদি আকাশের ঐ চাঁদটিকে দ্বিখন্ডিত করে দেখাতে পার। তবেই বিশ্বাস করব যে, তুমি সত্যিই আল্লাহর নবী। হযরত রাসূল (সঃ) স্বীয় শাহাদাত অঙ্গুলি উঠিয়ে চাঁদের দিকে ইশারা করে বললেন, "হে চাঁদ! তুমি দ্বিখন্ডিত হয়ে যাও"। সাথে সাথে চাঁদ ঠিক মাঝখানে দুই ভাগ হয়ে দুদিকে সরে গেল। সকলেই এই দৃশ্য বিষ্ময়ের সাথে তাকিয়ে দেখল- আকাশের চাঁদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুদিকে সরে গেছে।

কিছুক্ষণ পর আবু জেহেল পুনরায় বলল- হে মুহাম্মদ! চাঁদকে আদেশ কর, সে পুনরায় একত্রিত হয়ে যাক।
হযরত রাসূল (সঃ) পুনরায় শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা চাঁদের দিকে ইশারা করা মাত্র তা একত্রিত হয়ে গেল।

এই আশ্চর্য ব্যাপার দেখে উপস্থিত সকলেই তাকে সত্যনবী বলে বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহণ করল। কিন্তু পাপিষ্ঠ আবু জেহেল ঈমান আনল না। সে বলল - এবারে মুহাম্মদ উপস্থিত লোকের প্রত্যেকের চক্ষুর উপরে তার যাদু খাটিয়েছে - সত্যিই মুহাম্মদ একজন পাকা যাদুকর।

সূত্রঃ রাহমাতাল্লিল আলামিনের গৌরবময় জীবনকথা।
বিঃদ্রঃ প্রতিকী ছবি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন