Translate

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের ১ম সেনাবাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ানবাগী হুজুর সম্পর্কে মূল্যবান অভিমতে যা বললেন


(বাংলাদেশের ১ম সেনাবাহিনীর প্রধান, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত, মুক্তিযুদ্ধের ৩ নং সেক্টর ও 'এস' ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম (অবঃ)- সম্প্রতি সূফী সম্রাট মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার মুক্তিযুদ্ধে দিনগুলো নিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' বইটির পান্ডুলিপি পড়ে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মূল্যবান অভিমত দিয়ে বলেনঃ)

'মুক্তিযুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী' বইটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সব কথাই স্মৃতিতে ভেসে উঠেছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে আমি আমার সেক্টরে যে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই ক্যাম্প থেকেই সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব এ খোদা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আমার সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যোদ্ধা ছিল প্রায় ৩০ হাজারের উপর। তাদের সবার কথা মনে রাখা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়, যদি না সে ব্যক্তির সাধারণের চেয়ে কিছু অসাধারণ কাজকর্ম পরিলক্ষিত হয়। সূফী সম্রাট মাহবুব এ খোদা হযরত দেওয়ানবাগী ছিলেন তেমনই এক ব্যক্তি।

তাঁর কার্যক্রম প্রথমে আমার নজরে অাসে ধর্মগড় অপারেশনে। সেই অপারেশনে তাঁর বীরত্বের কারণে অামি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি শুধু যুদ্ধই করেননি, তিনি আমার সেক্টরের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। নামাজের সময় তাঁর বয়ান এতই শ্রুতিমধুর ছিল যে, তা শুনতে ইচ্ছে করত। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ প্রান্তে আমার হেড কোয়ার্টার হেজামারাতে রোজার ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের খুৎবা এবং মুনাজাত এমনই প্রাণবন্ত ছিল যে, সেদিন জামায়াতে এমন কোন লোক ছিল না, যে কাঁদে নাই। সেদিন হুজুর সবারই মন কেড়ে নিয়েছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন যে- আল্লাহ আমরা যেন ঈদুল আজহার নামাজ রেইস কোর্স ময়দানে পড়তে পারি। হয়েছিলও তাই। আমরা ঈদুল আজহার নামাজ রেইস কোর্স ময়দানেই পড়েছিলাম।

যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমি তাঁকে একটি নতুন ব্যাটালিয়নের (১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ধর্ম প্রচারে তিনি অাত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে তিনি একজন সফল ধর্ম প্রচারক। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুক।

২টি মন্তব্য: