Translate

বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালিত হবে।


বিশ্ব শান্তির দূত, সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী, আদর্শের মূর্ত প্রতীক, জগতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, সৃষ্টি জগতের রহমত, আল্লাহর সমস্ত ধন ভান্ডারে চাবির অধিকারী, আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বন্ধু, উম্মতের মোহাম্মদীর সুপারিশকারী, আশেকে রাসূলদের মাথার তাজ, ইমামুল মুরসালিন হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর শুভ জন্মদিন আগামী ১২ ই রবিউল আউয়াল।


হযরত রাসূল (সা:) ৫৭০ খ্রীস্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সূর্য উদয়ের কিছুক্ষণ পূর্ব এ ধরায় তাশরীফ নেন। তার শুভজন্মকে কেন্দ্র করে আল্লাহর রাজ্য আনন্দের দোলা বয়ে যায়। অত্যাচারীর সিংহাসন কেপে উঠে। হযরত রাসূল (সা:) এর চাচা আবু লাহাব তার জন্মের শুভ সংবাদ পেয়ে কৃতদাসীকে মুক্ত করে দেন। যার কারণে প্রতি সোমবার আবু লাহাবের কবরের আজাব মাফ করা হয়।
প্রতিবছর মুসলিম বিশ্বে হযরত রাসূল (সা:) এর শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) হিসেবে পালন করা হয়।

মূলত: ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ, আর মিলাদ অর্থ জন্ম, আর নবী মানে নবী। ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী জন্মের আনন্দ। মুসলিম বিশ্বে এ দিবসটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে রাসূল প্রেমিকগণ নিজ নিজ বাসস্থান, মসজিদ, খানকাহ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করেন। প্রতি বাড়িতে ভালো খাবারের আয়োজন করেন। মানুষের মাঝে মিষ্টি, পিঠা বা খাবার বিতরণ করেন, ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। সাধ্যানুযায়ী নিজেরাও কেনাকাটা করে। এছাড়া আনন্দ মিছিল, শানে রাসূল, নাতে রাসূল পরিবেশন করেন। বিভিন্ন এলাকায় সম্মিতভাবে বা এককভাবে গরু, মহিষ, উট জবাই করা হয়। কেক কাটা হয়। বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। বিভিন্ন ভাবে আনন্দ উৎযাপন করা হয়।

মোহাম্মদী ইসলামের পূনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত মাহবুবে খোদা (রহঃ) এ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছিলেন -৷ সৃষ্টিকূলের শ্রেষ্ঠ ঈদ, দয়াল রাসূল (সা:) এর জন্ম ঈদ।

মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) হুজুর প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে এ দিনটিকে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালনের জন্য সবাইকে আহবান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃ আঃ) হুজুরের ৩৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে মানিকগঞ্জে ইফতার বিতরণ


৮ এপ্রিল ২০২৩ ইং (১৬ রমজান ১৪৪৪হিজরি) শনিবার,  দেওয়ানবাগ শরীফের পরিচালক ও সমন্বয়ক, সমস্যার ফয়সালাকারী, মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব, যুগের ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃআঃ) হুজুরের ৩৮ তম শুভ জন্মবার্ষিকী উৎযাপন উপলক্ষে দেওয়ানবাগীর দল মানিকগঞ্জ জেলা কর্তৃক মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেলা কারাগারের সামনে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, দেওয়ানবাগীর দল মানিকগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক এআর রুবেল, সহকারী সমন্বয়ক এআর নুরে আলম, উপদেষ্টা এআর আঃ সামাদ, এআর ফজলু মোল্লা, এআর আবুল কালাম সহ আরো অনেকে। 


কদর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ।

 

২১ আগষ্ট ২০২৪ বুধবার কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী সহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা আকষ্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মূলত: ত্রিপুরায় ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যার পানি গোমতী, হাওড়া, ঢলাই, মুহুরি নদী বেয়ে বাংলাদেশের এ জেলাগুলোতে ঢুকে বন্যার সৃষ্টি করে। যার ফলে বন্যার্ত এলাকায় অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের মাঝে সরকারী উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ধারাবাহিক ও ব্যতিক্রমীভাবে ত্রাণ বিতরণ করেন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারের প্রতিষ্ঠিত 'কদর ফাউন্ডেশন'। সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিটি জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবারের পাশাপাশি ভাত ও মুরগির মাংসের রান্না করা খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়। বন্যার্ত এলাকায় শুকনো খাবার খাওয়া মানুষগুলো ভাত ও মুরগির মাংস খেতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হতে দেখা যায়।

এছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার স্যালাইন, জ্বর ও ঠান্ডার ওষুধ, মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন, শিশুদের প্যাম্পাস, পানিজনিত ঘায়ের মলম বিতরণ করতে দেখা যায়।

সংগঠনটির সেচ্ছাসেবকবৃন্দ, ট্রাক, পিকাপ, অটো, ভ্যান, নৌকা ও পায়ে হেঁটে দূর্গম এলাকায় গিয়ে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন।

এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন: "আমরা কেউই চিরকাল বেঁচে থাকব না, বেঁচে থাকবে শুধু আমাদের কর্ম ও অর্জিত ভালোবাসা"।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কদর ফাউন্ডেশনের এই মহতি ও ভিন্নধর্মী অবদানের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারকে কৃতজ্ঞতা ও তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।