২১ আগষ্ট ২০২৪ বুধবার কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী সহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা আকষ্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মূলত: ত্রিপুরায় ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যার পানি গোমতী, হাওড়া, ঢলাই, মুহুরি নদী বেয়ে বাংলাদেশের এ জেলাগুলোতে ঢুকে বন্যার সৃষ্টি করে। যার ফলে বন্যার্ত এলাকায় অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের মাঝে সরকারী উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করেন।
বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ধারাবাহিক ও ব্যতিক্রমীভাবে ত্রাণ বিতরণ করেন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারের প্রতিষ্ঠিত 'কদর ফাউন্ডেশন'। সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিটি জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবারের পাশাপাশি ভাত ও মুরগির মাংসের রান্না করা খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়। বন্যার্ত এলাকায় শুকনো খাবার খাওয়া মানুষগুলো ভাত ও মুরগির মাংস খেতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হতে দেখা যায়।
এছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার স্যালাইন, জ্বর ও ঠান্ডার ওষুধ, মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন, শিশুদের প্যাম্পাস, পানিজনিত ঘায়ের মলম বিতরণ করতে দেখা যায়।
সংগঠনটির সেচ্ছাসেবকবৃন্দ, ট্রাক, পিকাপ, অটো, ভ্যান, নৌকা ও পায়ে হেঁটে দূর্গম এলাকায় গিয়ে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন: "আমরা কেউই চিরকাল বেঁচে থাকব না, বেঁচে থাকবে শুধু আমাদের কর্ম ও অর্জিত ভালোবাসা"।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কদর ফাউন্ডেশনের এই মহতি ও ভিন্নধর্মী অবদানের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারকে কৃতজ্ঞতা ও তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন