Translate

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কদর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ।

 

২১ আগষ্ট ২০২৪ বুধবার কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী সহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা আকষ্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মূলত: ত্রিপুরায় ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যার পানি গোমতী, হাওড়া, ঢলাই, মুহুরি নদী বেয়ে বাংলাদেশের এ জেলাগুলোতে ঢুকে বন্যার সৃষ্টি করে। যার ফলে বন্যার্ত এলাকায় অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের মাঝে সরকারী উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ধারাবাহিক ও ব্যতিক্রমীভাবে ত্রাণ বিতরণ করেন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারের প্রতিষ্ঠিত 'কদর ফাউন্ডেশন'। সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিটি জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবারের পাশাপাশি ভাত ও মুরগির মাংসের রান্না করা খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়। বন্যার্ত এলাকায় শুকনো খাবার খাওয়া মানুষগুলো ভাত ও মুরগির মাংস খেতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হতে দেখা যায়।

এছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার স্যালাইন, জ্বর ও ঠান্ডার ওষুধ, মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন, শিশুদের প্যাম্পাস, পানিজনিত ঘায়ের মলম বিতরণ করতে দেখা যায়।

সংগঠনটির সেচ্ছাসেবকবৃন্দ, ট্রাক, পিকাপ, অটো, ভ্যান, নৌকা ও পায়ে হেঁটে দূর্গম এলাকায় গিয়ে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন।

এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন: "আমরা কেউই চিরকাল বেঁচে থাকব না, বেঁচে থাকবে শুধু আমাদের কর্ম ও অর্জিত ভালোবাসা"।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কদর ফাউন্ডেশনের এই মহতি ও ভিন্নধর্মী অবদানের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) স্যারকে কৃতজ্ঞতা ও তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন