আশেকে রাসূল মুন্না, বিবাড়িয়া জেলায় বসবাস করেন। ঘটনার দিনটি ছিল পহেলা রমজান। তিনি তার বাসায় ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। তিনি তার মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার সুমহান শিক্ষা অনুযায়ী ইফতারী সামনে রেখে সবাইকে নিয়ে মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠের ব্যবস্থা করেন। সে তার সাধ্যমত ইফতার সামগ্রীর আয়োজন করেছিল। তবে তার মনে একটু আক্ষেপ ছিল এই যে, ইফতারে মেহমানদের জন্য কোন সরবতের ব্যবস্থা করতে পারেনি। সবার সামনেই সাধারণ পানি দেয়া হয়েছে। মনে মনে ভাবছিল হায়রে! রাসূলের মিলাদের অনুষ্ঠানে যদও একটু চিনি ও লেবু দিয়ে সরবত বানিয়ে দিতে পারতাম, তবে রোজাদারদের দেহমন তৃপ্ত হত। যাই হোক মিলাদ শেষ হলো। ইফতারেরও সময় হলো সবাই সাধারণ পানি মুখে দিল। কিন্তু আশেকে রাসূল আলম ভাই গ্লাসের পানি শেষ করে বলল - মুন্না ভাই, আমাকে আরও একটু ডাবের পানি দিন তো। তিনি অবাক হয়ে গেলেন! সাধারণ পানি ডাবের পানিতে রূপান্তর হলো কিভাবে? আমি বললাম -ভাই, আমাকে লজ্জা দেবেন না, আমি তো ডাবের পানি দূরের কথা, কোন শরবতই করতে পারিনি। তার এ কথা শুনে একে একে সবাই বলতে লাগল, কি ভাই! আমাদের চমকে দেওয়ার জন্য ডাবের পানির ব্যবস্থা করেছেন নাকি? ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সবাই বলছে, আমরা তো অতীব সুস্বাদু ডাবের পানি পান করেছি। অতঃপর তিনি নিজেই তা পান করলেন, তার পরিবারের সবাই পান করলো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তা ছিল ডাবের পানি। তখন আর বুঝতে বাকী রইল না, নিঃসন্দেহে পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন তার রাসূলের মিলাদের বরকতে সাধারণ পানিকে ডাবের পানিতে পরিণত করে ইফতারে শরবতের ব্যবস্থা করেছেন। পরিশেষে সবাই এ অলৌকিক ডাবের পানি তৃপ্তির সাথে পান করেন। তারপরও কয়েক জগ ডাবের পানি উদ্বৃত্ত থাকে। যা তারা এক সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করেন।
সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ
সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ
Hm aseke rasulder rasuler sane milad porle eirokom olowkik ghotona ghota somvob
উত্তরমুছুন