Translate

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

প্রতি সোমবার কেন আবু লাহাবের কবরের আজাব মাফ করা হয়?

আমরা অনেকেই কাট্টা কাফের আবু লাহাবের নাম শুনেছি। সে হযরত রাসূল (সঃ) এর আপন চাচা ছিল। সে ইসলামের অন্যতম শত্রু ছিল। পবিত্র কোরআনে তাকে অভিশাপ দিয়ে আল্লাহ সূরা নাজিল করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ

*ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।

*তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না।

*অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে,

*আর তার স্ত্রীও- যে কাঠবহনকারিণী (যে কাঁটার সাহায্যে নবী-কে কষ্ট দিত এবং একজনের কথা অন্যজনকে ব’লে পারস্পরিক বিবাদের আগুন জ্বালাত)।

*আর (দুনিয়াতে তার বহনকৃত কাঠ-খড়ির পরিবর্তে জাহান্নামে) তার গলায় শক্ত পাকানো রশি বাঁধা থাকবে।

এই আবু লাহাবের দূনিয়াতে যত দিন বাচা ছিল ততদিন নবীজীর বিরোধিতা করছেন। অথচ অাশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতি সোমবার দিন তার কবরের আজাব মাফ হয়। তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী দিয়ে একপ্রকার রসালো মিষ্ট পদার্থ বের হয় এবং তা দিয়ে সে পুরো সপ্তাহের তৃষ্ণা মেটায়। কিন্তু আল্লাহ তাকে অভিশাপ দেয়ার পরও কেন তার সাথে এমন দয়া করছেন। ঘটনাটি ছিল এমনঃ

হযরত রাসূল (সঃ) যখন তার মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করেন তখন সবার আগে এই সুসংবাদ টি নিয়ে সোয়াইবা নামক দাসী তার কাছে গিয়ে বলেন, আপনার মৃত ভাই হযরত আব্দুল্লাহ (আঃ) এর উত্তরসূরী হয়ে হযরত আমিনা (অাঃ) এর কোলে শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মৃত ভাইয়ের বংশে পুত্র সন্তান হওয়ায় আবু লাহাব এ খুশির সংবাদদাতা দাসী সোয়াইবাকে তার শাহাদাত অাঙ্গুলী ইশারা করে সাথে সাথে মুক্ত করে দেন।

আবু লাহাব শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মে খুশির কারণে প্রতি সোমবার তার কবরের আজাব মাফ হয় ও তার হাতের শাহাদাত অাঙ্গুলী অগ্রভাগ দিয়ে রসালো পদার্থ বের হয়। উল্লেখ যে আবু লাহাব মারা যাওয়ার পর তার ভাই হযরত আব্বাস (রাঃ) একবার তাকে স্বপ্নে দেখেন। তখন তাকে জিজ্ঞাস করেন। দুনিয়াতে নবীজীর বিরোধিতা করেছেন, আল্লাহ কবরে আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করছেন? জবাবে আবু লাহাব জানায় সপ্তাহে ছয়দিন আল্লাহ আমায় অনেক কষ্টে রাখেন শুধুমাত্র সোমবার নবীজির জন্মে আনন্দিত হওয়ার আমার আজাব লাঘব করা হয়।

এ ঘটনাটি বোখারী শরীফে উল্লেখ রয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি আল্লাহ কাট্টা কাফেরকে যদি তার হাবীবের জন্মে আনন্দিত হওয়ার কারণে প্রতি সোমবার আজাব মাফ করতে পারেন, তবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করার কারণে আমাদের কেও মাফ করতে পারেন।

তাই আসুন নবীজীর শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করি। মহান দয়াময় রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের সহায় হন। আমিন।

1 টি মন্তব্য: