একবার হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ (রহঃ) কিছু সহচরসহ আজমীর প্রান্তর এলাকায় পরিভ্রমণ করতে ছিলেন। তিনি ঘুরতে ঘুরতে একটি চারণ ভূমিতে উপস্থিত হলেন। তিনি সেখানে দেখতে পান একজন রাখাল একটি বাছুরকে নির্দয়ভাবে লাঠি দিয়ে মারছে। আর বাছুরটি অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এই করুণ দৃশ্য দেখে খাজা সাহেব (রহ) এর মনে দয়া হলো। তিনি রাখালকে ডেকে বললেন ‘ভাই রাখাল ! এই অল্প বয়সের বাছুরটিকে এমন নির্দয়ভাবে প্রহার করছো কেন ? তােমার এই নিদারুণ প্রহারের ফলে ইহার দুধ শুকিয়ে যাবে। ' রাখাল বালকটি হাতের লাঠি ফেলে দিয়ে সবিস্ময়ে বলল - এ আপনি কি বলছেন ? এক বছরের বাছুরের বাঁটে কখনও দুধ হয় নাকি? আপনার মাথা ঠিক আছে তো? খাজা সাহেব (রহঃ) তাহার বিস্ময়ভাব দেখে মৃদু হেসে বলেন- প্রিয় বৎস! বকনা বাছরের দুধ হওয়া কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার না। তুমি দোহন করে দেখ, অবশ্যই এর দুধ হবে এবং আমিও ইহার দুধ পানে আগ্রহী। খাজা সাহেব (রহঃ) এর কথা শুনিয়া রাখাল বালকটির কৌতুহল আরও বেড়ে গেল । সে তখন দুধ দোহনের পাত্র যােগাড় করে বাছুরটির বাটে হাত দিতেই দুধ পড়তে লাগল । দেখতে দেখতে আর কয়েকটি পাত্র দুধে পূর্ণ হয়ে গেল। খাজা সাহেব (রহঃ) ওখান থেকে নিজে কিছু দুধপান করলেন এবং উপস্থিত সবাই পরম তৃপ্তি সহকারে দুধপান করল। তাঁর এই কারামত দেখে অনেক লােক সেইদিনই তাহার হাতে হাত রেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হলো।
ওগো দয়াল মাওলা, দয়াল খোদা, যে পথে চললে তুমি রাজি ও খুশি থাকো দয়া করে আমাকে সে পথে চালাও.. আর, যে পথে চললে তুমি নারাজ সে পথ থেকে তুমি আমাকে ফিরাইয়া রাখো, মাওলা তুমি সর্বশক্তিমান। তোমার শক্তি ব্যতিত চলার কোন উপায় নাই। আমিন।।
Translate
বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
অলৌকিকঃ ১ বছরের বাছুর হতে দুগ্ধ দোহন।
একবার হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ (রহঃ) কিছু সহচরসহ আজমীর প্রান্তর এলাকায় পরিভ্রমণ করতে ছিলেন। তিনি ঘুরতে ঘুরতে একটি চারণ ভূমিতে উপস্থিত হলেন। তিনি সেখানে দেখতে পান একজন রাখাল একটি বাছুরকে নির্দয়ভাবে লাঠি দিয়ে মারছে। আর বাছুরটি অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এই করুণ দৃশ্য দেখে খাজা সাহেব (রহ) এর মনে দয়া হলো। তিনি রাখালকে ডেকে বললেন ‘ভাই রাখাল ! এই অল্প বয়সের বাছুরটিকে এমন নির্দয়ভাবে প্রহার করছো কেন ? তােমার এই নিদারুণ প্রহারের ফলে ইহার দুধ শুকিয়ে যাবে। ' রাখাল বালকটি হাতের লাঠি ফেলে দিয়ে সবিস্ময়ে বলল - এ আপনি কি বলছেন ? এক বছরের বাছুরের বাঁটে কখনও দুধ হয় নাকি? আপনার মাথা ঠিক আছে তো? খাজা সাহেব (রহঃ) তাহার বিস্ময়ভাব দেখে মৃদু হেসে বলেন- প্রিয় বৎস! বকনা বাছরের দুধ হওয়া কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার না। তুমি দোহন করে দেখ, অবশ্যই এর দুধ হবে এবং আমিও ইহার দুধ পানে আগ্রহী। খাজা সাহেব (রহঃ) এর কথা শুনিয়া রাখাল বালকটির কৌতুহল আরও বেড়ে গেল । সে তখন দুধ দোহনের পাত্র যােগাড় করে বাছুরটির বাটে হাত দিতেই দুধ পড়তে লাগল । দেখতে দেখতে আর কয়েকটি পাত্র দুধে পূর্ণ হয়ে গেল। খাজা সাহেব (রহঃ) ওখান থেকে নিজে কিছু দুধপান করলেন এবং উপস্থিত সবাই পরম তৃপ্তি সহকারে দুধপান করল। তাঁর এই কারামত দেখে অনেক লােক সেইদিনই তাহার হাতে হাত রেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হলো।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন