Translate

শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের উসিলায় অলৌকিক বৃষ্টিপাত।


মহান সংস্কারক মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব - এ - খােদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা প্রফেসর ইমাম ড. সৈয়দ এ. এফ. এম. নূর-এ- খােদা আল আযহারী (মাঃ আঃ)। যিনি দেওয়ানবাগ শরীফের মহা-পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঘটনাটি ২০০৯ সালের ১১ জুন, বৃহস্পতিবারের। তার মহান মাের্শেদ ও পিতা যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের নির্দেশে উনারা ভাই-বােন ও হযরত দয়াল মা (রহঃ) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলাধীন বাবে মাের্শেদ দেওয়ানবাগ শরীফে সফর করেন। এ সফর ছিল উনাদের পরম শ্রদ্ধেয় দাদাজান আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুর রশিদ সরকার (রহঃ) এবং দাদীজান হযরত সৈয়দা জোবেদা খাতুন (রহঃ) - এর ওফাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যােগ দেয়ার উদ্দেশ্যে। তাদের লক্ষ্য ছিল, তারা এক সপ্তাহ সেখানে থাকবেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড গরম। গরমে সবাই অতিষ্ঠ। ঢাকায় তাদের সকলের এসিতে থাকার অভ্যাস, কিন্তু সেখানে তাে সেই ব্যবস্থা নেই। প্রচণ্ড গরমে অবস্থা এতটাই ভয়াবহ হয় যে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে চৈত্রের তাপদাহে পােকার অত্যাচারও বেড়ে গিয়েছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পরের দিনই চলে আসব বলে মনস্থির করেন। তাদের এ অবস্থা লক্ষ্য করে আওলাদে রাসূল, কুতুবুল আকতাব, দুররে মাকনূন, খাতুনে জান্নাত হযরত দয়াল মা (রহঃ) ঢাকায় বাবাজানের কাছে ফোন করেন এবং তাদের সমস্যার কথা অবহিত করেন। অতঃপর আল্লাহর বন্ধুর কাছে দয়া চান, যেন একটু বৃষ্টি হয়, গরম ও পােকার অত্যাচার দূর হয়। তাদের কথা বলার দশ মিনিটের মাথায় হঠাৎ আকাশে মেঘের গর্জন শােনা গেল। মহান রাব্বুল আলামীন তার অলী বন্ধুর উসিলায় তৎক্ষণাৎ বৃষ্টি নামিয়ে দেন। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলাে। পুরাে এলাকা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। এ উসিলায় অত্র এলাকার মাঠ-ঘাট, ফসলী জমিন সর্বত্র রহমতের ছোঁয়া লেগে যায় এ ঘটনায় তাদের মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, দয়াল বাবাজানের কাছে ফোন করার পর অবিশ্বাস্যভাবে সীমাহীন পােকার অত্যাচারও আল্লাহর রহমতে দূর হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন