Translate

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

সূফী সম্রাটের উসিলায় অগ্নিকান্ডে নিশ্চিত মৃত্যু হতে রক্ষা।


আশেকে রাসূল সিমজল হােসেন, ঢাকাস্থ কাওরান বাজারের বিএসইসি ভবনে ব্রাদারহুড সিকিউরিটিজ লিমিটেড - এ চাকরি করেছেন।তিনি নিজের আত্মার মুক্তি এবং আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর পরিচয় লাভ করার জন্য মহান সংস্কারক, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলায়েত লাভকারী, আকাশের পুর্ণিমার চাদ, আধুনিক সূফীবাদের জনক, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের কাছে তরিকা গ্রহণ করেন। তিনি এ মহামানবের প্রচারিত মােহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা - দীক্ষা নেয়ার পর থেকেই তার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি বিভিন্নভাবে আল্লাহর সাহায্য পেতে শুরু করেন।

ঘটনাটি ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে ফেব্রুয়ারির। সেদিন কাওরান বাজার বিএসইসি ভবনে আলােড়ন সৃষ্টিকারী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তার কর্মস্থল ছিল উক্ত ভবনের ৪র্থ তলায়। এই ভবনেই ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভি এবং আরটিভি - এর সম্প্রচার কার্যালয়। এর ফলে আগুন লাগার সংবাদ মুহর্তেই মিডিয়ায় সম্প্রচার হতে থাকে। এদিকে আগুন লাগার পর সময় যত গড়াচ্ছিল, আগুনের বিস্তৃতি, তীব্রতা ও ভয়াবহতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এ কঠিন অবস্থায় তিনিসহ আটজন ৪র্থ তলায় আটকা পড়েন। অগ্নিকাণ্ড সিড়ির গােড়া থেকে সূত্রপাত হওয়ায় তারা কেউ সিড়ি বেয়ে নামা তাে দূরের কথা, সিড়ির কাছেই যেতে পারছিলেন না । এদিকে আগুন সিড়ি থেকে এসি ডার দিয়ে বিভিন্ন ফ্লোরের ফলস সিলিং ফোম পুড়তে থাকে। সর্বত্র ধোয়ার তীব্রতায় কালাে অন্ধকার নেমে আসে। তাদের আটজনের মানসিক অবস্থা তখন এতটাই ভয়াবহ যে, তারা তখন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণতেছিল। এদিকে তার সাথে থাকা সাতজনই তখন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়ল। তখন সে ধােয়ায় এমনভাবে আচ্ছন্ন হয়েছিল যে, দু চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রচণ্ড কাশিতে শ্বাস - প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। এর তিনি পূর্বে মােবাইলে কয়েকজনের সাথে কথা বলে বিদায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন । তারা তাকে বাচানাের জন্য ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়েছে বলে সংবাদ জানায়। সমস্ত ভবনে তখন আমার মত শত শত লােকের আহাজারি চলছে। এসময় তিনি নিজেকে সবচাইতে বেশি অসহায় ভাবছিলেন।

ঠিক ঐ মুহর্তে তার স্মরণে আসে মহান মোর্শেদ, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের কথা। তিনি তখন অঝাের নয়নে কেদে কেদে দয়াল বাবাজানকে স্মরণ করতে থাকেন। তিনি বলেন বাবাজান! আমি আপনার একজন পাপী মুরিদ সন্তান। আজ অগ্নিকাণ্ডে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছি। জগতে আপনি ছাড়া আর কেউ নেই যে, আমাকে বাঁচাতে পারে। ওগো দয়াল বাবাজান! আমাকে দয়া করুন। এভাবে আজিজি করে তিনি যখন কাদছিলেন, ঠিক তখনই তিনি মহান মোর্শেদের সুমধুর কণ্ঠের আহবান শুনতে পান। তখন মমতামাখা কণ্ঠে তাকে ডাকলেন - “ সিমল মিয়া এদিকে আসুন। 'বাবাজানের কণ্ঠ শুনে প্রচণ্ড ধোয়ার মাঝে অনুমান করে তিনি বাবাজানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর সামনে এগুতেই দেখতে পান, মহান মুর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মাঃ আঃ ) দয়াল বাবাজান দয়া করে মই লাগিয়ে ৪র্থ তলায় তার জন্য অপেক্ষা করছেন। তারপর বাবাজান নিজ হাতে তাকে ধরে মইয়ে তুলে দেন এবং তৎক্ষণাৎ অন্ধকার ধোয়ার মাঝে অদৃশ্য হয়ে যান। সিমজল মিয়া মই বেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারপর ফায়ার সার্ভিসের লােকেরা তাক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পেয়ে আত্মীয় - স্বজন ও সহকর্মীরা আনন্দ করতে থাকে। অথচ তার তখন বুক ফেটে কান্না আসছিল। সেই কান্না শুকরিয়ার কান্না, মহান মুর্শেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রেমের কান্না। বাবাজানের দয়ায় ও সাহায্যে সেদিন তিনি নতুন জীবন লাভ করেন।

মহান আল্লাহ দয়া করে তার অলি-বন্ধুর উসিলায় আমাদের জীবনের যাবতীয় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুক। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন