আশেকে রাসূল মােঃ আজগর আলী রামপুরা ঢাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর উপজেলার রানীমুহরী গ্রামে। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারী তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়ােজিত আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যােগদানের জন্য সকালেই বাসা থেকে বের হন। সারাদিন অনুষ্ঠান শেষে তার বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি আর বাসায় ফিরেননি। তার পরিবার পরিজনরা তার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রাত কাটিয়ে দেন। অথচ তার কোন সন্ধান পেলেন না। পরদিন সকালে তার মেয়ে নাসিমা পিতার খোঁজে বাবে রহমতে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন যে, আজগর আলী নামের কোন লােক বাবে রহমতে নেই। তখন তার অন্তর ভয়ে কেপে উঠে। কোথায় গিয়েছে আজগর আলী? তিনি কি কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ? আবার কত মানুষ ডাকাত ছিনতাইকারীদের হামলায় পড়ে, কত মানুষ মলমপাটির খপ্পরে পড়ে। এসব চিন্তা করে নাসিমা পেরেশান হয়ে উঠেন। সম্ভাব্য বিপদের আশংকা করে সে কাদতে থাকে। তারপর বাবে রহমতে বসেই সে দশহাজার টাকা ও একটা মিলাদ শরীফ মানত করে আল্লাহ যেন দয়া করে তার পিতাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এরপরে সে অবিরাম দরূদে মাহদী পড়তে থাকেন। এদিকে আজগর আলীর আত্মীয় স্বজনরা ঢাকার মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও হাসপাতালে খবর নেন। কিন্তু কোথাও তার কোন খোঁজ পেলেন না। এমতাবস্থায় তারা বাবে রহমতে এসে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের কাছে কান্নাকাটি করে জানান যে , তাকে এখনাে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবাজান বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেন আর দরূদে মাহদী পাঠ করেন। দেখবেন, আল্লাহর রহমতে আজগর আলী ফিরে আসবেই। সূফী সম্রাটের কথায় আশ্বস্থ হয়ে তারা সবাই মিলাদ আর দরূদ শরীফ পড়তে থাকে। ওদিকে আজগর আলীর মেয়ে নাসিমা কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা - বড় আপাজানের কাছে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনিও তাদেরকে মানত করে দয়াল বাবাজানের কাছে আজিজি করতে পরামর্শ দেন। তিনি আরাে বলেন, আপনার আব্বা দয়াল নবীজির শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সুতরাং তাকে আল্লাহ যেভাবেই হােক রক্ষা করবেন। কারণ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সমস্ত সৃষ্টিরাজির জন্য সবচেয়ে রহমত ও বরকতের দিন। এ দিনে আল্লাহ্ মানুষের মছিবত দূর করেন। আপনারা ধৈৰ্য্য ধরেন নিশ্চয়ই তিনি ফিরে আসবেন।
এভাবে ছয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজগর আলী নিজে নিজেই একা বাসায় ফিরে আসেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন - আমি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আয়ােজিত বাবে রহমতে আশেকে রাসূল (সাঃ) সম্মেলনে যাই। অনুষ্ঠান শেষে আমি কোথায় যে ছিলাম, তা জানি না। এ কয়দিন কি হয়েছে আমি তাও জানিনা। আজগর আলী বাসায় ফিরে আসার পর তার মেয়ে নাসিমা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাবে রহমতে এসে আর পিতাকে পাওয়ার সংবাদ জানিয়ে যান। আসলে এভাবে আল্লাহ তার বন্ধু - সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের বরকতে মানুষের বিপদ - আপদ দূর করেন। আল্লাহ সবাইকে এই মহামানবের সান্নিধ্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন