আশেকে রাসুল নুরুল ইসলাম ফটিক, হবিগঞ্জ জেলায় তার বাড়ি। ঘটনাটি ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের। তিনি একটি পুকুরে মাছ চাষ করতেন। মাছের দ্রুত উৎপাদন পাওয়ার আশায় তার এক বন্ধুর পরামর্শে সে পাঁচ কেজি ইউরিয়া সার পুকুরের পানিতে ছিটিয়ে দেন। তিনি জানতেন না যে, এটিই তার সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পরের দিন ভাের বেলা পুকুরে গিয়ে দেখে পুকুর ভর্তি মাছ মৃতপ্রায় অবস্থায় পানির উপর ভাসছে। এমনকি মাছের সাথে পােকাগুলােও ভেসে উঠেছে। তখন পানিতে লােক নামিয়ে দিলেন। তারা একের পর এক গােটা পুকুর জুড়ে হাল্লা দিচ্ছে অর্থাৎ পানিতে একের এর এক ঢেউ তুলছে কিন্তু মাছের কোন চেতন নেই, সামান্য নাড়াচড়াও করছে না। একটি মাছও পানির নীচে যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে এলাকার অনেক লােকই পুকুরের চারপার্শ্বে জড়াে হয়ে গেছে। এমনই বাস্তবতায় তার মনে পড়ে যায়, তার মহান মাের্শেদ, যুগের ইমাম, মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, পূর্ণিমার চাদে বাবা দেওয়ানবাগীর কথা যে মহামানবের অসিলা ধরে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করলে যত বড় পাপীই হােক না কেন, সে আল্লাহর দয়া থেকে বঞ্চিত হয় না। সে তখন আল্লাহ্ ও আল্লাহর বন্ধুর দয়া পাওয়ার আশায় দরবার শরিফ থেকে প্রকাশিত অলৌকিক কারামত সংবলিত কিতাব মাসিক আত্মার বাণী' - এর একটি কোণা নিয়ম অনুযায়ী পানিতে চুবিয়ে উক্ত পানি পুকুরে ভাসমান মাছগুলােকে উদ্দেশ্য করে বলেন -“ হে মাছ, যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর দোহাই, তােমরা মরাে না।” এদিকে তার এ কাণ্ড দেখে উপস্থিত কেউ কেউ মন্তব্য করছিল, যতই তদবির করাে, মাছের শেষ রক্ষা হবে না, সকল মাছই মরে যাবে।
এমতাবস্থায় চুনারুঘাট মৎস্য কর্মকর্তার শরণাপন্ন হলে তিনি তাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ব্যর্থ চেষ্টা করে কোনাে লাভ নেই। পুকুরে অতিরিক্ত ইউরিয়া পড়েছে, মাছ বাঁচবে না। এ সময় তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে কোনাে আশার বাণী পেলেন না। ফলে আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর দয়ার উপর ভরসা করলেন। পরের দিন সকালে পুকুরে গেরেন। কিন্তু একি ! গতকাল যে পুকুরে বেশি সংখ্যক মাছ ভেসে ওঠায় পানি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল না, আজ সে পুকুরে একটি মাছও ভাসমান নেই। অতঃপর মাছের অবস্থা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাথে সাথে জাল ফেলা হলাে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, জাল ভর্তি সমস্ত মাছ একেবারে তরতাজা, লাফাচ্ছে। একটি মাছও মরেনি। এই ঘটনা দেখে এলাকার মানুষে আশ্চর্য হয়ে যায়। এভাবেই মহান রাব্বল আলামিন তাঁর অলী - বন্ধুর অসিলায় তার খামারের মৃতপ্রায় মৎস্য জীবিত করে দিয়ে তার ও তার পরিবারের উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করেন। উল্লেখ্য, ঐ বছর তিনি ঐ পুকুরের মাছ বিক্রি করে অনেক লাভবান হন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন