Translate

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০

সূফী সম্রাটের উসিলায় প্রচন্ড খরায় রহমতের বৃষ্টি হলো ।


আশেকে রাসুল মাে. ইব্রাহীম, ফরিদপুর জেলার অধিবাসী। তিনি সৌদি আরবের খামিশ আল মুসাইয়্যাত শহরে খানকায়ে মাহবুবীয়া থেকে মহান মাের্শেদ, যুগের ইমাম, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী ( মা. আ. ) হুজুর কেবলাজানের তরিকা গ্রহণ করেন। দেশে আসার পরে সে কৃষি কাজ শুরু করে। তার গ্রামে দুটি ইরি ধানের প্রজেক্ট হাতে নেন। দুটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে। তার প্রজেক্ট দুটির আওতায় ২ / ৩ শ' বিঘা জমি ছিল। এদিকে বৈশাখ মাসের শেষে সারা দেশে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। ডিজেল কেনার জন্য তিনি ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় এসে টাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় ডিজেল কিনতে ব্যর্থ হন। অতঃপর খালি হাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাড়িতে বসে তার বুক ফেটে কান্না আসছিল। এ সময় তিনি তার মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম হযরত দেওয়ানবাগী ( মা. আ. ) হুজুর কেব্লাজানের অসিলা ধরে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। তিনি আরজ করে বলেন - “ ওগাে দয়াল মাওলা, দয়াল খােদা ! আমি আজ চরম বিপদের সম্মুখীন, দেশে প্রচণ্ড খরা, ফসলি জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে, আমি খালি হাতে বাড়ি যাচ্ছি, মানুষকে কি জবাব দেবাে ? হে আল্লাহ ! আপনার বন্ধু যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর অসিলায় দেশে বৃষ্টি বর্ষণ হােক। ” এভাবে আজিজি করতে করতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তিনি তখন কোথায় অবস্থান করছেন বুঝতে পারেননি। হঠাৎ বাসের জানালা দিয়ে বৃষ্টির পানি এসে তার হাতে পড়ে। বাইরে তাকিয়ে দেখে, সমস্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। তার দেহ ও মনে তখন পরম শান্তি বিরাজ করছিল। তিনি মনে মনে আল্লাহর বন্ধুর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছিলেন। দেখতে দেখতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। তিনি বৃষ্টিতে ভিজেই বাড়িতে পৌছলেন। এভাবে একটানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলাে। তার প্রজেক্টে যত শত বিঘার মত জমি ছিল। সকল জমির মৃত প্রায় ইরি ধানের গাছগুলাে এমনভাবে সজীব ও সতেজ হয়ে উঠলাে যে, মনে হচ্ছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। আশপাশের জমিগুলােও আল্লাহর এই রহমত পেয়েছিল। অবস্থা এমন হলাে যে, তিনি যদি লক্ষ বিঘা জমি নিয়ে ইরি ধানের এ প্রজেক্ট চালু করতেন, তবুও পানির অভাব হতাে না। অতঃপর সমস্ত এলাকায় হাহাকার বন্ধ হয়ে যায়। ঐ বছর তাকে আর ডিজেল চালিত নলকুপ দিয়ে পানি উঠাতে হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন