Translate

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯

হযরত রাসূল (সঃ) এর সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) এর পরিচিতি।


বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) - এর সর্ব কনিষ্ঠ কন্যার নাম ছিল হযরত ফাতিমাতুজ জোহরা (রাঃ)। হযরত রাসূল (সঃ) - এর নবুয়ত লাভের পরের বছর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হিজরী ৬ষ্ঠ সালে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশেই হযরত রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাঃ) - এর সাথে হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর বিয়ে দেন।বিয়ের ৭ মাস ১৫ দিন পর তাদের প্রথম বাসর রাত যাপন করা হয়। বিয়ের সময় হযরত ফাতিমার বয়স ছিল ১৫ বছর ৫ মাস এবং হযরত আলীর বয়স হয়েছিল ২১ বছর ৫ মাস। হযরত রাসূল (সঃ) তার কন্যাদের মধ্যে হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে। সর্বাপেক্ষা অধিক স্নেহ করতেন। তিনি কোথাও যাওয়ার সময় সর্বশেষে তার নিকট থেকে বিদায় নিতেন। তাকে না বলে তিনি কোথাও যেতেন না।আবার কোন স্থান থেকে বাড়ি ফিরে তিনি সর্বপ্রথম কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ না করে ও কিছু কথাবার্তা না বলে অন্য কারও সাথে দেখা বা আলাপ করতেন না। হযরত ফাতিমা (রাঃ) তাঁর স্বামী হযরত আলী (রাঃ) - কে অত্যন্ত ভালবাসতেন, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও খেদমত করতেন। তিনি নবী কন্যা বলে কখনও স্বামীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করতেন না। হযরত আলী (রাঃ) - ও তার স্ত্রী হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে নিজের প্রাণাপেক্ষা বেশি ভালবাসতেন। হযরত ফাতিমা (রাঃ) জীবিত থাকা পর্যন্ত হযরত আলী (রাঃ) অন্য কোন বিয়ে করেননি।তার ইন্তেকালের পরে সংসার অচল হয়ে পড়ায় হযরত উমামা (রাঃ) - কে বিয়ে করেছিলেন। হযরত রাসূল (সঃ) - এর ওফাতের ছ'মাস পরে হযরত ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসিনী হন। হযরত রাসূল (সঃ) ওফাতের আগেই কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) - কে জানিয়েছিলেন - মা! তুমি আমার ইন্তেকালে দুঃখিত হয়াে না, আমার মৃত্যর ঠিক ছ'মাস পরেই তুমি জান্নাতে আমার সাথে মিলিত হবে। বিশ্বনবী হযত মুহাম্মদ (সঃ) - এর বংশ একমাত্র হযরত ফাতিমা (রাঃ) - এর বংশ থেকেই দুনিয়ায় জারী রয়েছে। তার তিন পুত্র ও তিন কন্যা জন্মগ্রহণ।করেছিলেন। পুত্রদের নাম যথাক্রমে হযরত ইমাম হাসান (রাঃ), হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও হযরত মােহসিন (রাঃ)। হযরত মােহসিন (রাঃ) শিশুকালেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কন্যাদের নাম যথাক্রমে হযরত রােকেয়া (রাঃ), হযরত কুলসুম (রাঃ) ও হযরত জয়নাব (রাঃ)। জ্যেষ্ঠা কন্যা হযরত রােকেয়া (রাঃ) শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) - এর ১৫ পুত্র ও ৮ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। আর হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) - এর পুত্র ও কন্যা।জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের বংশধরগণই আজ পর্যন্ত দুনিয়ায় বিদ্যমান রয়েছেন - তারাই প্রকৃত সৈয়দ বংশ নামে অভিহিত। হযরত ফাতেমা (রাঃ) ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ওফাত লাভ করেন।

উল্লখ্য যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর পুত্রগণ ছিলেন -
১ । হযরত কাশেম (রাঃ),
২ । হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩ । হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।

আর কন্যাগণ ছিলেন-
১ । হযরত জয়নব (রাঃ),
২ । হযরত রােকেয়া (রাঃ),
৩ । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪ । হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।

হযরত রাসূল (সঃ) - এর পুত্রগণ শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন। ফলে তাদের সম্মন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া তাদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। হযরত রাসূল (সঃ) - এর তিন পুত্র ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) - এর উপাধি ছিল ' তাহের ' এবং ' তেীয়ব '। এ কারণে কেউ কেউ বলেন হযরত রাসূল (সঃ) - এর চার পুত্র ছিল। পক্ষান্তরে হযরত রাসূল (সঃ) - এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন