Translate

মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

অলৌকিকভাবে বিরিয়ানি ও ফলমূল প্রাপ্তি।


আশেকে রাসূল মশিউর রহমান (সুমন), চাদপুর জেলার অধিবাসী। তিনি ঢাকার আরামবাগস্থ বাবে কুতুবুল আকতাব ভবন। নির্মাণের সময় খেদমত করছিলেন। তার সাথে আরাে একজন জাকের ভাই ছিলেন। তারা মাের্শেদের দরবারে আজিজির সাথে খেদমত করছিল। তবে সমস্যা হল তাদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। সকালের নাস্তা , দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার যখনই দেয়া হতাে, তখন তারা খেদমতে ব্যস্ত থাকত। কেন যেন দেরী হয়ে যেত।দেখা যেত, বাবে রহমতে যখন খাবার খাওয়ানাে হয়, তখন তাদের হাতে অনেক কাজ অগােছালাে থাকে।এমনিভাবে তাদের খাওয়াই হচ্ছিল না। এদিকে তাদেরকে চালের বস্তা নিয়েও নবম তলায় উঠাতে হত। তার সাথের জাকের ভাই বলল - দুদিন হলাে খেদমত করছি, কিন্তু খাবারই পাচ্ছি না। সে বলল - না খেলে আমরা কিভাবে কাজ করছি। মালিক তাে চালিয়ে নিচ্ছেন, তাই ? যাই হােক এভাবে দুদিন পার হয়ে গেল। রাতের বেলায় অন্য সকল জাকের ভাইদের সাথে তারা দু 'জন বাবে রহমতের মসজিদে শুয়ে আছে। এ সময় ঐ জাকের ভাই আবার খাবারের ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করল। সে বলল , মালিক যখন রিজিকের ব্যবস্থা করবেন, তখন এমনিই খেতে পারব। রাত আড়াইটার দিকের ঘটনা।আওলাদে রাসূল, কুতুবুল আকতাব, দুররে মাকনুন, খাতুনে জান্নাত হযরত দয়াল মা (রহঃ)। তিন তলার বাসা মােবারক থেকে একটি ছােট ছেলেকে দিয়ে পর্যাপ্ত বিরিয়ানি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যে ছােট ভাইটি খাবার নিয়ে নিচে এসেছে, সে বলছে - কে খাবার খাবেন? নিচে তখন পঞ্চাশ থেকে ষাট জন জাকের ভাই ঘুমিয়ে ছিল। কিছু ভাই জাগ্রতও ছিল। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার কেউ রাজি হলাে না। অবস্থাদৃষ্টে পরিষ্কার বােঝা যাচ্ছিল যে, মহান আল্লাহ দয়া করে তাদের জন্য খাবার পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি তখন তার সাথের ভাইকে বলল - 'এবার খাও, মালিকের পক্ষ থেকে খাবার চলে এসেছে। তখন তারা দু 'জন দয়াল মার পাঠানাে বিরিয়ানি তৃপ্তির সাথে খেল।জীবনে এত বিরিয়ানি খেয়েছি কিন্তু এমন স্বাদের খাবার আর কোন দিন খাইনি।' ঘটনা এখানেই শেষ নয়, বিরিয়ানি খেয়ে তখনও শেষ করতে পারেনি।ইত্যবসরে ছােট্ট ঐ জাকের ভাই তিন তলার বাসা মােবারক থেকে আমাদের জন্য ঝুড়ি ভর্তি কয়েক প্রকার ফল নিয়ে আসে এবং বলে এগুলাে দয়াল মা আপনাদের জন্য পাঠিয়েছেন। ফলগুলাে দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু, তারা দু 'জন খেতে শুরু করল। কিন্তু শেষ করতে পারল না, তার পূর্বেই তাদের পেট পুরােপুরি ভরে যায়। তখন আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতায় তাদের অন্তর ভরে উঠে। রাত আড়াইটার সময় ক্ষুধায় যখন তাদের ঘুম আসছে না, তখন এ ক্ষুধার খবর জগতের কেউ না রাখলেও আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধু ঠিকই রেখেছেন।হে দয়াময় খােদা ! লাখাে শােকর আপনার নুরের কদম মােবারকে।”

২টি মন্তব্য: