আশেকে রাসূল চুন্নু মিয়া (শেখ কালু)। তিনি গােপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী। তিনি মােহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন ২০০৭ সালে। তার বর্ণিত ঘটনাটি ২০০৮ সালের। তিনি তরিকা গ্রহণের পর থেকেই দরবার শরীফে খেদমত করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সময় তিনি দরবার শরীফে একটানা ৩ থেকে ৪ মাস নিরবচ্ছিন্ন খেদমতে নিয়ােজিত ছিলেন। এদিকে তিনি যখন তার মহান মাের্শেদ মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের দরবার শরীফে খেদমতে মশগুল, তখনই পবিত্র ঈদুল ফিতর চলে আসে। ঈদের ৩ / ৪ দিন পূর্বে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে তাকে ফোন করে এবং বাড়িতে যাওয়ার অনুরােধ করে যে, আপনি বাড়িতে এসে ছেলে-মেয়েদের ঈদের নতুন পােশাক কিনে দিয়ে যান। তিনি ঢাকায় কাজের সন্ধানে এসে অলী আল্লাহর দরবার শরীফে যে খেদমত করছেন এ বিষয়টি তার স্ত্রীর জানা ছিল না। এদিকে স্ত্রীর আবদারের সাথে তিনিও বুঝতে পারছিলেন যে, সামনে ঈদ, ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীসহ সকলকে নতুন পােশাক কিনে দেয়া দরকার, অনেক টাকা প্রয়ােজন। কিন্তু সে তাে ঢাকায় এসে কোন চাকরি বা ব্যবসা করছিল না। টাকা পাবে কোথায় ? এ কঠিন বাস্তবতায় তিনি তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের মাধ্যমে আল্লাহর উপর নির্ভর করেন এবং মনে মনে আজিজি করেন, “ হে দয়াল মাের্শেদ ! দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। তারপর পুরাে বিষয়টি তিনি দয়াল মাের্শেদের মাধ্যমে আল্লাহর উপর ন্যস্ত করে দেন যে, আপনিই দয়া করে দেখেন আমার পরিবারের কি প্রয়ােজন? অতঃপর যথারীতি দরবার শরীফে তিনি তার খেদমতের কাজ চালিয়ে যান।ঈদের অনুষ্ঠান উদযাপন শেষে দরবার শরীফে খেদমতের কাজ সম্পন্ন করে ২ / ৩ দিন পর তিনি বাড়ি ফিরে যান বাড়ি গিয়ে দেখেন, তার পরিবারের সবাই খুশি, আনন্দের সীমা নেই। তার ছেলে মেয়েদের সকলের পরিধানে ঈদের নতুন পােশাক।ঈদ চলে গেলেও ঈদের আনন্দের জোয়ার তখনো তার পরিবারে বইছে। অতঃপর তার স্ত্রী তাকে ছেলেমেয়েদের জন্য আরো ৫ / ৬ সেট নতুন পােশাক একে একে খুলে দেখাল সে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি এতগুলাে নতুন পােশাক কিভাবে পেলে ? স্ত্রী জানালো - একজন অপরিচিত লােক তাদের বাড়িতে আসে এবং ঈদ করার পণ্যসামগ্রীসহ এ পােশাকগুলাে তার হাতে তুলে দিয়ে বলে, তােমার স্বামী যেখানে খেদমত করছে ; সে বাড়ি আসলে বলবে - আরাে ভালাে করে খেদমত করতে, তবে তােমাদেরকে আরাে বেশি দেয়া হবে। যেখানে সে নতুন পােশাক কিনলে এক সেট কিনেন, সেখানে মাের্শেদের মাধ্যমে আল্লাহর উপর ভরসা করার ফলে, সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে মাের্শেদ কেবলাজান ৫ / ৬ সেট নতুন পােশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।শুধু তাই নয়, ঈদ করার জন্য যা কিছু প্রয়ােজন, তিনি সবকিছুর ব্যবস্থা করেছেন। ঐ বছর তার পরিবারে ঈদের আনন্দ ছিল অকল্পনীয়। ঈদের খাবার দাবার কোন কিছুরই কমতি ছিল না। আর এ সবই সে লাভ করেছে আল্লাহর বন্ধুর দরবার শরীফে খেদমত করে তার মাধ্যমে আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে।
মহান দয়াময় প্রভূ দয়া করে তার অলী বন্ধুকে চিনার ও তার অনুগত হয়ে চলার তৌফিক ভিক্ষা দিন। আমিন।
আমিন
উত্তরমুছুন