Translate

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের উসিলায় ক্যান্সার ভাল হলো।


আশেকে রাসূল শামিম, পিতাঃ নুরুল ইসলাম, গ্রামঃ চরকালীবাড়ি, থানাঃ কোতোয়ালী, জেলাঃ ময়মনসিংহ। ঘটনাটি কয়েক বছর পূর্বের। আশেকে রাসূল শামিমের মাতা নাজমা বেগম, বয়স তখন ৩৫ বছর ছিল। একদিন হঠাৎ তার কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া আরম্ভ করল। এভাবে দিনে প্রায় সময়ই তার কাশির সাথে রক্ত বের হতো। এতে তার মাতা ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ল। সাংসারিক কাজ ঠিকমত করতে পারছিলেন না। তার ছোট বোনই কাজ করতো। মা প্রায়শই শুয়ে থাকত। এভাবে দুই তিন মাস কেটে যায় ভালো হচ্ছিল না কিছুতেই। তখন সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখন সে কিছু টেস্ট করতে বলে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেদিন তার চেকআপ করানো হয়। পরদিন সন্ধ্যায় যখন সে রিপোর্ট আনতে যায়, তখন ডাক্তার বলল, আপনার মায়ের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। আমাদের পক্ষে এ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। আপনারা আল্লাহকে ডাকেন। তখন ডাক্তারের নিকট হতে একথা শুনে তার হাত পা অসাড় হয়ে আসছিল। সে বুঝতে পারছিল তার মাকে আর বাঁচানো যাবে না। তখন সে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাসায় এসে সবাইকে একথা জানায়। সবাই দুঃখ প্রকাশ করে। তার দাদা তাঁকে একটি মানত করতে বলেন। তখন সে তার মায়ের জন্য বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে মানত করেন। আজিজি করে করতে থাকেন, এ বিপদে মোর্শেদই একমাত্র ভরসা। দাদার পরামর্শে তিনি মোরাকাবায় বসে সাহায্য চান। এভাবে ৪/৫ মাসের মধ্যে তার মায়ের অসুস্থতা কেটে গেল। মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারা মাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করান। কিন্তু অাশ্চর্যের বিষয় টেস্টে কোন ক্যান্সার ধরা পড়েনি। এ রিপোর্ট দেখে ডাক্তারগণ ও অবাক হয়ে যান। এটা কি করে সম্ভব। তারা পুনরায় টেস্ট করান, কিন্তু আবারও একই অবস্থা ক্যান্সার ধরা পড়েনি। তখন তারা বুঝতে পারেন মানতে বরকতেই ক্যান্সার দূর হয়েছে। এরপর তারা মানত আদায় করে ঘটনাটি বর্ণনা করেন।

মহান দয়াময় প্রভূ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর উসিলায় সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলার তৌফিক ভিক্ষা দেন, আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন