নবুয়তের যুগে অাল্লাহর পক্ষ থেকে আগত নবী রাসূলগণ মানুষকে চরম বিপদে উদ্ধার করে আল্লাহর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোযেজা দেখিয়েছেন। এ মোযেজা দেখে বিশ্বাসীগণের বিপদ দূর ও ঈমান মজবুত হয়েছে। তেমনি বেলায়েতের যুগে আল্লাহর অলিগণ বিভিন্ন কারামতি দেখিয়ে মানুষের বিপদ দূর ও সিরাতাল মুস্তাকিমের দিকে উঠিয়ে নিচ্ছেন। মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বর্তমান বিশ্বে হাদীদের ইমাম হিসেবে মানুষকে হেদায়েতের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। তার শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য মানুষ মনজিলে মকসুদ পৌছা সহ যেকোনো বিপদে আল্লাহর সাহায্য পেয়ে ধন্য হচ্ছে। এমনি একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।
জনাব মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, গ্রামঃ খামার দশলিয়া, ডাকঘরঃ নলডাঙা, থানাঃ সাদুল্যাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা। তার ভাগ্নি মোসাম্মৎ স্বপ্নার সদ্য বিবাহের ৩/৪ দিন পরের ঘটনা।
দুপুরবেলা স্বপ্না ঘুমিয়েছে। ঘুম ভাঙার পর আর কথা বলতে পারছে না। শত চেষ্টা করেও কথা বলতে না পেরে অনবরত কাঁদছে। তার স্বামী দেখে ভাবছে হয়তো তার পিতা মাতা ভাই বোনের কথা মনে হয়েছে তাই কাদছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কান্না না থামায় তার কারণ জানতে চাইলে স্বপ্না ইশারায় জানায় তার বাকশক্তি রহিত হয়ে গেছে। স্বামী বেচারা একথা শুনে ঘাবড়ে যায়। শশুড়বাড়ির লোকেরা সবাই ছুটে অাসে এবং আপসোস করে কেউ কেউ কানাঘুষা করে এতে স্বপ্না সংসার ভেঙে যাবার ভয়ে আরও কাঁদতে থাকে। এদিকে স্বপ্নার বাড়িতে খবর দিলে তার পিতা ও মামা স্বপ্নাকে এসে নিয়ে যায়। পরে স্বপ্নাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখানো হলো কিন্তু তাতে কোন লাভ হলো না। স্বপ্নার শশুর বাড়ির লোকজন বউ নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে স্বপ্নার পরিবার ও মামা নিরুপায় হয়ে যান। তাদের বাড়িতেও কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ২০ দিন অতিবাহিত হলো স্বপ্না বোবা। এদিকে তার মামা আবু বকর সিদ্দিক বাবে নাজাতে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যাবেন। তিনি প্রতিকূল অবস্থায় বর্তমান যুগের ইমাম তার মোর্শেদ সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরের সাহায্য কামনা করেন। তখন তিনি মোর্শেদের নিকট হতে স্বপ্নে নির্দেশ পান। সূফী সম্রাট তাকে স্বপ্নে বলেন- আবুবকর মিয়া, আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সব পারেন। আপনি আপনার ভাগ্নিকে আত্মার বাণী চুবানো পানি পান করান এবং তার জন্য দেওয়ানবাগ শরীফে একটি মানত করেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। জনাব আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্নে মোর্শেদের নিকট হতে নির্দেশনা পেয়ে একটি মানত করেন ও আত্মার বাণী চুবিয়ে পানি পান করান। অতপর তিনি বাবে নাজাতের আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফিরে দেখে স্বপ্না হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলছে। বাবা মা অাত্মীয় স্বজন সবাই খুব খুশি। শশুরবাড়ির লোকজন এসে শুনে অাশ্চর্য হয়ে যায়। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের অসীম দয়ার সিদ্দিক সাহেব আনন্দে কাঁদতে থাকে। পরে দেওয়ানবাগ শরীফে এসে মানত আদায় করে ঘটনা বর্ণনা করেন।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার অলিবন্ধুর কদমের তলে আশ্রয় ভিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিক। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন