Translate

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের প্রবর্তিত মিলাদের বরকতে- ৫০ জনের খাবার খেল ৩৫০ জন।


আশেকা রাসূল হালিমা আজাদ, তার স্বামী এ কে আজাদ। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার ২নং বাবুরাইলের অধিবাসী। তিনি ১৯৯৫ সালে মােহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন। বর্ণিত ঘটনাটি ১৯৯৭ সালের। তাদের বাসায় মােহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফের আয়োজন করা হয়। রান্নাঘরে পঞ্চাশ জন লােকের হিসাবে তাবারুক রান্নার সকল উপকরণ প্রস্তুত করা হয়। এদিকে মিলাদ শরীফের অনুষ্ঠানের শুরুতেই যে লােক সমাগমের খবর পেলেন, তাতে আর বুঝতে বাকী রইল না যে, লােক সমাগম অনেক বেশি হবে। তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। মনে মনে মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজানের চেহারা মােবারক স্মরণ করে আজিজি করেন যে, দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করুন। অতঃপর চুলায় তাবারুক রান্নার ডেগ বসিয়ে দেয়। এদিকে চুলার উপর ডেগ বসানাের সাথে সাথে তিনি অন্তর্দৃষ্টিতে দেখতে পান, তার মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজান রূহানীতে হাজির হয়ে তাবারুকের ডেগের উপর বসে আছেন। এ দৃশ্য দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি তখন চুলায় আগুন দিতে পারছিলেন না। মহান মাের্শেদ তখন দয়া করে একটি চেয়ারে তাশরিফ নিলেন এবং একটু পরেই অলৌকিকভাবে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তিনি চুলায় আগুন ধরিয়ে দেন এবং তাবারুক রান্নার কাজ শুরু করেন। এদিকে মিলাদ শরীফ মাত্র শেষ হয়েছে কিন্তু তখনাে মুনাজাত বাকী। বাইরে থেকে ভেতর বাড়িতে খবর আসলাে লােকসংখ্যা তিনশ’র বেশি হবে। তিনি আজিজি শুরু করলেন- হে আল্লাহ! আপনার বন্ধু বাবা দেওয়ানবাগীর উসিলায় আমাদের ইজ্জত রক্ষা করুন, সবাইকে যেন তাবারুক খাওয়াতে পারি। মুহূর্তেই মাের্শেদ কেবলাজান আবার রূহানীতে হাজির হলেন এবং তাকে নির্দেশ করলেন - ডেগের ঢাকনা তুলবে না এবং তাবারুকের পরিমাপের দিকে তাকাবে না। শুধু ঢাকনার একটি অংশ একটু ফাকা করে তাবারুক দিতে থাকে। 'তিনি মহান মাের্শেদের নির্দেশ মােতাবেক তাবারুক বিতরণ শুরু করেন। মাহফিলে উপস্থিত তিনশ’ জন লােকের সকলেই তৃপ্তির সাথে তাবারুক আহার করে। সর্বশেষ ঢাকনা উত্তোলন করে দেখে তাবারুক যে পঞ্চাশ জনের জন্য রান্না করেছে, তার পুরােটাই অবশিষ্ট রয়ে গেছে। অবশেষে উক্ত তাবারুক পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হয়। যা রীতিমত পঞ্চাশজন খেয়েছিল। অর্থাৎ পঞ্চাশজনের জন্য রান্না করা তাবারুক সর্বমােট তিনশ পঞ্চাশজনে আহার করে। এভাবেই সেদিন হযরত রাসূল (সঃ) - এর মিলাদ শরীফের বরকত মহান আল্লাহ তাদের দান করেন। পরে সবাই সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন