Translate

মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৯

দেওয়ানবাগী হুজুরের বিরোধিতা করায় ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর তছনছ হলেও আশেকে রাসূলদের বাড়িঘরের ক্ষতি হয়নি।

১৯৯৪ সালের ঘটনা। রংপুরের পীরগাছা থানার সাতদরগা এলাকায় একটি খানকায়ে মাহবুবীয়া ছিল। আশেকে রাসূল আবদুল মতিন তার মহান মুর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার নির্দেশ অনুযায়ী খানকাহ শরীফে নিয়মিত ওয়াজিফা শরীফের তালিম, মিলাদ শরীফ পাঠ করতেন এবং নামাজ শেষে মােরাকাবা করতেন। ধীরে ধীরে সূফী সম্রাটের অনুসারী আশেকে রাসূলদের সংখ্যা অত্র এলাকায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু অত্র এলাকার কিছু সংখ্যক লােক আশেকে রাসূলদের এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠে। এরা ছিল অলী - আল্লাহ বিদ্বেষী। তাদের খানকাহ শরীফের পাশেই ছিল সাত দরগাহ বাজার, এ বাজারে একটি জামে মসজিদ ছিল। অলী - আল্লাহ বিদ্বেষী এ সকল লােক মিথ্যা অপপ্রচার করে কূটকৌশলে মসজিদের ইমামকে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজানের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে। ফলে উক্ত ইমামও বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় আলােচনা ও খুতবার মধ্যে মােহাম্মদী ইসলাম সম্পর্কে অপপ্রচার শুরু করে। এতে এলাকায় অলী - আল্লাহ বিদ্বেষীরা শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং দেওয়ানবাগী হুজুরের অনুসারীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকায় খানকাভিত্তিক মােহাম্মদী ইসলাম প্রচারে বাধা প্রদান করে। কিন্তু তারা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনটি করতে করতে রমজান মাস এসে যায়। তারা রমজান শেষে খানকাহ শরীফে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করে। ঘটনার সময় তারা খানকাহ শরীফে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ছিলেন। তখন অত্র এলাকার অলী - আল্লাহ বিদ্বেষীরা তাদের উপর হামলা চালানাের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসে। খানকাহ শরীফের পাশেই একটি ঘর ছিল। যে ঘরে মহান মাের্শেদ কেবলার একখানা কুরসি মােবারক ছিল, যা তারা সযত্নে সে ঘরে সংরক্ষণ করতেন। হামলাকারীরা ঐ ঘরের উপর হামলা শুরু করে দেয়। তারা পুরাে ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। আশেকে রাসূলেরা খানকাহ শরীফ থেকে বের হয়ে তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ সময় অলী - আল্লাহ বিদ্বেষীরা বাবাজানের কুরসি মােবারক নিয়ে যেতে চায়। আশেকে রাসূলেরা প্রাণান্তকর চেষ্টা করে কুরসি মােবারক নিতে দেয়নি।

এ ঘটনা তখন তারা মহান মাের্শেদ সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে অবহিত করে। দয়াল বাবাজান বলেন - আপনারা ধৈর্যধারণ করেন, দেখেন আল্লাহ কি করেন? মহান মাের্শেদের কথায় তারা আশ্বস্ত হলেন। এদিকে পরের দিনও সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আবার হামলা করার প্রস্তুতি নেয়। তারা নিরূপায় হয়ে আজিজি করছিলেন যেন আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্রমূলক হামলাকে নস্যাৎ করে দেন। আল্লাহর কি অপার শান! সত্যি সত্যি পরের দিন। এলাকায় খােদায়ী গজব নেমে এলাে। শুরু হলাে প্রলয়ঙ্করী ঝড় তুফান। যারাই উক্ত হামলায় অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের ঘরবাড়ি প্রচণ্ড বাতাসে উড়ে যেতে লাগল। বাতাসের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, টিউবওয়েলর মাথা পর্যন্ত বাতাসে উড়ে গেল।এমনিভাবে একটানা তিনদিন ঝড় তুফানের তাণ্ডবলীলা চলতে থাকে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার মহান আল্লাহ মােহাম্মদী ইসলামের শত্রুদের বাড়িঘর তছনছ করে দিলেও আশেকে রাসূলদের বাড়ি ঘরের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। যদিও তাদের ঘর পাশাপাশিই ছিল। এ ঘটনায় অত্র এলাকায় সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। সবার মুখে তখন রটে যায়, এটি আল্লাহর বন্ধুর সাথে বেয়াদবী করার ফসল। এমনকি তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে যে ঘরটি তারা ভেঙে নিয়ে গিয়েছিল সে ঘরটি পুনঃস্থাপন করে দেয়। এ ঘটনার পর এলাকায় আশেকে রাসূলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে সেখানে দরবার শরীফ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে প্রতি বছর লক্ষাধিক আশেকে রাসূলদের সমন্বয়ে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।

1 টি মন্তব্য:

  1. marhaba marhaba dewnbagi marhaba tumi vokter kaba vubone dormer sons kar korlen nijo gune jatir mukti tumar chorone ...marhaba marhaba dewnbagi marhaba tumi vokter kaba vubone

    উত্তরমুছুন