মােহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান বর্তমান ইসলাম ধর্মের নানাবিধ কুসংস্কার দূর করে হযরত রাসূল (সঃ) - এর প্রকৃত ইসলাম জগতে তুলে ধরার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ইতিমধ্যেই জগতের অসংখ্য মানুষের ভুল ভেঙ্গেছে। অসংখ্য মানুষ জাগতিক বিপদাপদ থেকে অলৌকিকভাবে রক্ষা পাচ্ছে।সংঘটিত এসব অলৌকিক ঘটনাই প্রমাণ করে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান নূরে মােম্মদীর ধারক ও বাহক।
কয়েক বছর পূর্বে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানের মুরীদ সন্তান জনাব সাইদুর রহমান (২৫), পিতা জনাব মফিজুল হক, উত্তর ভাষানটেক ( হাজী ওছমানের বাড়ী), ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি। কন্ট্রাকটরের অধীনে চাকুরী করেন। সম্প্রতি তার কাজের সাইট ছিল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের নির্মানাধীন নেভি কলােনীতে। ঘটনার দিন তিনি একটি ৫তলা ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে রং করছিলেন। বিল্ডিং এর রংয়ের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাবধানে কাজ করলেও ঝুঁকি থেকেই যায়। মৃত্যুর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন কার্নিশে দাঁড়িয়ে রশি দিয়ে ঝুলে কাজ করতে হয়। একদিন সাইদুরের জীবনে নেমে আসে চরম বিপদ। ৫তলা ভবনের ছাদের উপর পানির ট্যাংকের কার্নিশে দাঁড়িয়ে রং - এর কাজ করার সময় হঠাৎ পা ফসকে ৫তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পড়ার সময় সাইদুর সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজানের ওসিলা ধরে চিৎকার দেয় বাবা বাঁচাও। অতঃপর তার আর জ্ঞান নেই। কিন্তু তার সহকর্মীরা অনুভব করেছেন কি যেন একটি নিচে পড়েছে। সাঈদুর যখন বাবা বাঁচাও বলে চিৎকার করে তখন সবাই শুনতে পায় এবং নিচে তাকিয়ে দেখে সাইদুরের অসার দেহ মাটিতে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। সহকর্মীরা দ্রুত নিচে নেমে আসে।তাদের কন্ট্রাকটর কবির সাহেব ছুটে আসেন। মুমূর্ষ সাইদুরকে গাড়িতে করে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসকগণ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সাইদুরের জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে এলে জানতে চায় সে কোথায়? তার মাের্শেদ সূফী সম্রাট কোথায়? এসব বলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁদতে থাকে আর বলতে থাকে ‘আমার বাবাজান ( সুফী সম্রাট ) যদি আমাকে না বাঁচাতেন তবে আমি বেঁচে উঠতাম না। ৫ তলা থেকে পা ফসকে পড়ার সময় বাবা ! বলে চিঙ্কার দিলে তিনি তার রহমতের হাত দুটো বাড়িয়ে দেন। ফলে আমার মনে হয়েছে যেন তুলতুলে নরম একটি বিছানায় শুয়ে পড়েছি।' সত্যিই সাইদুর ৫তলা থেকে যে স্থানটিতে পড়েছিল ।সে স্থানের মাটি ছিল নরম। অথচ তার মাত্র ১ ফুট দূরে পাকা রয়েছে । পাকার উপর পড়লে তার দেহেটি থেতলে যেত। নির্ঘাত মৃত্যু হতাে। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকগণ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখতে পান সাইদুরের শরীরে কোন আঘাত লাগেনি সে সুস্থ। পরদিন হাসপাতাল থেকে সাইদুর রিলিজ হয়ে বাসায় ফিরে যায়। এ ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সাইদুর রহমানের প্রতি নূরে মােহাম্মদী’র ধারক ও বাহক সূফী স্রাটের নেক দৃষ্টি থাকার কারণে ৫তলা থেকে পড়েও অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেছে।এমনিভাবে জগতের মানুষ যদি নূরে মােহাম্মদী ’র ধারক ও বাহকের সাহচর্যে থাকে জাগতিক বিপদ আপদ তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে নূরে মােহাম্মদী ’র পরিচয় নসীব করেন। আমিন।
marhaba yea musedena
উত্তরমুছুন