Translate

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের কথার বরকতে ৬০ বছরের বিরান ভূমিতে বাম্পার ফসল হলো।


আশেকে রাসূল রফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলায় বসবাস করেন। তার জেলার একটি গ্রামের নাম পাঁচফোড়া। ঐ গ্রামে সাত বিঘা জমির বিশাল একটি জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল সুদীর্ঘ ষাট বছর এখানে কোন ফসল হয়নি। উপরন্ত এ বিরান ভূমিতে কেউ ফসলের চাষ করলে তাদের গৃহপালিত গবাদি পশু মরে যেত। এমনকি চাষীরা অসুস্থ হয়ে পড়ত অথবা তাদের পরিবার পরিজনের কেউ কেউ দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ত, যা কখনাে ভাল হতাে না। এ ঘটনাটি তাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে চলে আসছে। বিষয়টি তাদের সবাইকে ভাবিয়ে তােলে। অবশেষে ঘটনাটি তিনি তার মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে অবহিত করে এ সমস্যার সমাধান প্রার্থনা করেন। মহান মাের্শেদ দয়া করে তার সকল কথা শুনলেন, অতঃপর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথনির্দেশনা দেন যে, আপনার এ এলাকায় একটি খানকাহ শরীফ নির্মাণ করেন। অতঃপর আমাদের মােহাম্মদী ইসলামের অনুসারী আশেকে রাসূল জাকেরদের দ্বারা ঐ জমি চাষ করানাের ব্যবস্থা করেন। মহান মাের্শেদের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কতিপয় আশেকে রাসূল ঐ গ্রামে যান এবং চাষাবাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমেই তারা সেখানে তরমুজের চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেচ দিতে গিয়ে তারা সমস্যায় পড়ে যান। অতঃপর আল্লাহর অলৌকিক সাহায্য লাভের আশায় মহান মাের্শেদের দরবার শরীফে এক হাজার টাকা মানত করেন। আর মানত করার সাথে সাথে আকাশ অন্ধকার করে মেঘ আসে এবং মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এভাবে পরম করুণাময় আল্লাহ্ বৃষ্টির মাধ্যমে সেচ সমস্যার সমাধান করে দেন। এদিকে তরমুজের চারা লাগানাে শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ে তরমুজ ধরা শুরু করে। দীর্ঘ ষাট বছরের পরিত্যক্ত জমিতে যখন তরমুজের ফলন হওয়া শুরু করে, তখন সমগ্র গ্রাম জুড়ে আনন্দের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে ভালাে ফলনের আশায় তিনি দরবার শরীফে একশ একটি তরমুজ মানত করেন। একদিন হঠাৎ করেই প্রচণ্ড শিল্লাবৃষ্টি শুরু হয়। অত্র গ্রামের শত শত বিঘা জমির তরমুজের ফলন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মহান মাের্শেদের বরকতে মহান আল্লাহ অলৌকিকভাবে তাদের চাষ করা ফসল রক্ষা করেন। এমনকি একটি তরমুজও নষ্ট হয়নি। বরং বৃষ্টির পরে তরমুজ খেতের চেহারাই পাল্টে যায়। যেখানে ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছিল, সেখানে ফলাফল বিপরীত হলাে। তখন সুবিশাল এ গ্রামের মধ্যে একমাত্র এ জমিনেই তরুমুজের বাম্পার ফলন হয়। অতঃপর তিনি মানত আদায় করেন এবং মহান মাের্শেদের বরকতে সােয়া লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর জমিতে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ চাষ হয়।এভাবে মহান রাব্বুল আলামীন তার অলী বন্ধুর বরকতে তাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর এরূপ দয়া দেখে তাদের হৃদয় কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে।

৪টি মন্তব্য:

  1. আলহামদ্দুলিল্লাহ। মারহাবা ইয়া মোর্শেদেনা। মারহাবা ইয়া রাসুলুল্লাহ।।

    উত্তরমুছুন
  2. অলি আল্লাহ মানে আল্লাহ থেকে যুদা নয়,মহান আল্লাহ পাকের দয়ায় অলি আল্লাহ গনের উচিলায় এমন অনেক অলৌকিক ফসল পেয়েছে,দেওয়ান বাগী আল্লাহর বন্দু এ ঘটনায় তা প্রমান করে।

    উত্তরমুছুন
  3. মহান রাব্বুল ইজ্জত অপার দয়াময়।

    উত্তরমুছুন