Translate

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

বাহরাইনে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের জন্মদিনে ১০ দিনার খরচ করায় ৭০ দিনার প্রাপ্তি।


আশেকে রাসূল অলি আহম্মেদ। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের নিকটে। ঘটনাটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের, তিনি ২০১৪ সালে বাহরাইনে ছিলেন। সেখানে তিনি একটি সেলুনে কাজ করতেন। দোকানটি ছিল বাহরাইনের আশকর এলাকায়। বলতে গেলে দোকানটি ছিল শহর থেকে দূরে একটি গ্রাম্য অঞ্চলে অবস্থিত। এদিকে মহান মাের্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান খুবই নিকটে চলে আসে। বাহরাইনে সকল আশেকে রাসূল ভাইয়েরা মিলে মানামা শহরে মহান মাের্শেদের শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।২২/২৩ ডিসেম্বর দয়াল বাবাজানের শুভ জন্মদিন।পালনের জন্য সবাই শরীক হচ্ছিলেন। কিন্তু ঐ সময় অনুষ্ঠানের শরীকানা দেয়ার মতাে তার হাতে কোন টাকাই ছিল না। সে সময় তিনি আল্লাহ ও তাঁর বন্ধুকে ভালােবেসে তার হাতের মােবাইলটি ১২ দিনারে বিক্রি করে দেন। অতঃপর মহান মাের্শেদের জন্মদিনের মিলাদ মাহফিলে ১০ দিনার দিয়ে শরীক হন। পরের দিনের ঘটনা- প্রতিদিনের মতাে সে তার কর্মস্থলে যায় এবং কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দুপুর একটার দিকে একজন ইরানী কাস্টমার আসেন।দোকানে তারা তিনজন কর্মচারী ছিল। প্রত্যেকেই কাজে ব্যস্ত ছিল, কেবল সে - ই কাস্টমারের অপেক্ষায় ছিল। ফলে সে - ই তার সেভ করে দিলেন। কাজ শেষে তার বিল হয় ৫ দিনার। উল্লেখ্য বাহরাইনের এক দিনার বাংলাদেশি টাকায় ২২০ টাকা। ওদেশে কাজ শেষে বিল দেয়ার সময় লােকেরা ১ / ২ দিনার বখশিশ দিয়ে থাকে। কিন্তু এ লােকটি বিলসহ তাকে ৭০ দিনার প্রদান করেন। সে কাষ্টমারকে বলে - আপনার বিল হয়েছে ৫ দিনার, অথচ আপনি আমাকে ৭০ দিনার দিয়েছেন, মনে হয় আপনার ভুল হয়েছে। জবাবে সে বলে - না, আমি খুশি হয়ে এ দিনার তােমাকে দিয়েছি। দোকানের সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল। আরাে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলাে - এ কাস্টমারকে ইতিপূর্বে তারা যেমন দেখেনি, এ ঘটনার পরেও আর কোন দিন দেখেনি।তার তখন আর বুঝতে বাকী রইল না যে, এটি আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধুর অপার দয়া। সে তখন উপলব্ধি করে যে, সে যে পথে অর্থ খরচ করেছে, এ পথই আল্লাহ ও তার রাসূলের পথ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন