হযরত মায়মুনার আসল নাম ছিল বারবা। তার পিতার নাম হাসের আর মাতার নাম হিন্দা। মহানবী (সঃ) - এর সাথে বিয়ের পর তার নাম রাখা হয়।মায়মুনা। তিনি ছিলেন যয়নব বিনতে খুয়াইমার মা - শরীক বােন। আর হযরত আব্বাসের স্ত্রী উম্মুল ফজলের বােন এবং ইবনে আব্বাস (রাঃ) - এর খালা। তিনি ছিলেন নবীজীর সর্বশেষ স্ত্রী। অর্থাৎ তারপরে নবীজী আর কোন বিবাহ করেননি। মহানবী (সঃ) উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ৭ম সালের জিলকদ মাসে মক্কায়। এসময় বিধবা মায়মুনা নবীজীর কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তিনি তার বাসনা পূরণের জন্য আকুল আবেদন জানান। নবীজী তার বাসনা পূর্ণ করেন। এ বিয়ের ফলে এক অভাবনীয় সুফল দেখা দিল। বীর কেশরী খালিদ ছিলেন মায়মুনা (রাঃ) - এর আপন বােনের ছেলে। খালিদের অসাধারণ বীরত্ব ও রণকৌশলের ফলেই ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছিল। বিবি মায়মুনার বিয়ের পর খালিদ অপ্রত্যাশিত ভাবে মদীনায় গিয়ে নবীজীর কাছে বায়াত নিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। মহানবী (সঃ) তাঁকে ‘সাইফুল্লাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন। খালিদ সাইফুল্লাহ আরও দুই জনকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল। তারাও ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁদের একজন মক্কার প্রসিদ্ধ কবি অন্যজন কাবা গৃহের চাবি রক্ষক। এ তিনজন শক্তিমান পুরুষের ইসলাম গ্রহণে কুরায়শদের মনােবল একেবারে ভেঙে পড়ে।
ওগো দয়াল মাওলা, দয়াল খোদা, যে পথে চললে তুমি রাজি ও খুশি থাকো দয়া করে আমাকে সে পথে চালাও.. আর, যে পথে চললে তুমি নারাজ সে পথ থেকে তুমি আমাকে ফিরাইয়া রাখো, মাওলা তুমি সর্বশক্তিমান। তোমার শক্তি ব্যতিত চলার কোন উপায় নাই। আমিন।।
Translate
সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
হযরত রাসূল (সঃ) এর স্ত্রী হযরত মায়মুনা (রাঃ) এর পরিচিতি।
হযরত মায়মুনার আসল নাম ছিল বারবা। তার পিতার নাম হাসের আর মাতার নাম হিন্দা। মহানবী (সঃ) - এর সাথে বিয়ের পর তার নাম রাখা হয়।মায়মুনা। তিনি ছিলেন যয়নব বিনতে খুয়াইমার মা - শরীক বােন। আর হযরত আব্বাসের স্ত্রী উম্মুল ফজলের বােন এবং ইবনে আব্বাস (রাঃ) - এর খালা। তিনি ছিলেন নবীজীর সর্বশেষ স্ত্রী। অর্থাৎ তারপরে নবীজী আর কোন বিবাহ করেননি। মহানবী (সঃ) উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ৭ম সালের জিলকদ মাসে মক্কায়। এসময় বিধবা মায়মুনা নবীজীর কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তিনি তার বাসনা পূরণের জন্য আকুল আবেদন জানান। নবীজী তার বাসনা পূর্ণ করেন। এ বিয়ের ফলে এক অভাবনীয় সুফল দেখা দিল। বীর কেশরী খালিদ ছিলেন মায়মুনা (রাঃ) - এর আপন বােনের ছেলে। খালিদের অসাধারণ বীরত্ব ও রণকৌশলের ফলেই ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছিল। বিবি মায়মুনার বিয়ের পর খালিদ অপ্রত্যাশিত ভাবে মদীনায় গিয়ে নবীজীর কাছে বায়াত নিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। মহানবী (সঃ) তাঁকে ‘সাইফুল্লাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন। খালিদ সাইফুল্লাহ আরও দুই জনকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল। তারাও ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁদের একজন মক্কার প্রসিদ্ধ কবি অন্যজন কাবা গৃহের চাবি রক্ষক। এ তিনজন শক্তিমান পুরুষের ইসলাম গ্রহণে কুরায়শদের মনােবল একেবারে ভেঙে পড়ে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন